থাবাল চোংবা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
থাবাল চোংবা
ইম্ফলে থাবাল চোংবা, এপ্রিল ২০১৯
অবস্থাচালু
ধরনলোকনৃত্য
তারিখ (সমূহ)ফেব্রুয়ারি-মার্চ
পুনরাবৃত্তিবার্ষিক
অবস্থান (সমূহ)মণিপুর
দেশভারত

থাবাল চোংবা (ইংরেজি: Thabal chongba) হল ভারতের মণিপুর রাজ্যের একটি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য। থাবাল চোংবা শব্দবন্ধের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে "চাঁদের আলোতে নৃত্য"। অংশগ্রহণকারী পুরুষ ও মহিলা সকলেই একসাথে বৃত্তাকারে দাঁড়িয়ে পরস্পরের হাত ধরে এই নৃত্য করে।[১] এটি একটি জনপ্রিয় মণিপুরী লোকনৃত্য যা ভারতের ইয়াওসাং উৎসবের সাথে সম্পর্কযুক্ত।[২]

বসন্ত ঋতুতে পাঁচদিন যাবৎ থাবাল চোংবা নৃত্যের আয়োজন করা হয়। মেইতেই বর্ষপঞ্জির ‘লামদা’ মাসের পূর্ণিমার দিন থেকে আরম্ভ করে ইয়াওসাং উৎসবের সমান্তরালে থাবাল চোংবা অনুষ্ঠিত হয়।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

প্রথাগতভাবে, রক্ষণশীল কংলেইচা (মেইতেই ) পিতারা তাদের মেয়েদেরকে তাদের সম্মতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া এবং যুবকদের সাথে দেখা করার অনুমতি দেয় না। মেয়েদের জন্য ছেলেদের সাথে দেখা করা ও কথা বলার একমাত্র সুযোগ হল থাবাল চোংবা। পূর্ববর্তী সময়ে লোকগানের সাথে চাঁদের আলোয় এই নাচটি পরিবেশন করা হত। এতে সঙ্গীত হিসাবে ঢাকের তালবাদ্যের পাশাপাশি অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে সুর ও ছন্দ তোলা হয়। পাহাড়ের উপর দিয়ে চাঁদ উঠার সাথে সাথে বাঁশি, ঢাক এবং করতাল বাজানো শুরু হয়। বৃত্তে থাকা ছেলে এবং মেয়েরা সংগীতের ধীর ও দ্রুত, উচ্চ ও নিম্ন, উপরে ও নিচ তালের সাথে একে অপরের হাত ধরে। লোকের সংখ্যা বেশি হলে তারা দুটি বা তিনটি সারি তৈরি করে থাকে যাতে প্রত্যেকে এবং যে কেউ নাচে অংশ নিতে পারে।

ইয়াওসাং ও থাবাল চোংবা[সম্পাদনা]

ইয়াওসাং হল মণিপুরে বসন্তকালে পাঁচ দিন ধরে উদযাপিত একটি উৎসব,যা লামদা মাসের (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) পূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হয়। এটি মেইতেই জনগোষ্ঠীর দেশীয় ঐতিহ্যবাহী উৎসব।  এটিকে মণিপুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মণিপুরের হিন্দু মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসব চলাকালীন হোলির মতো রং নিয়ে খেলা করে। থাবাল চোংবা হল এই উৎসবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।[৩] উৎসবের পাঁচ দিনেই প্রতিটি এলাকায় এই নৃত্য পরিবেশিত হয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. The religion of Manipur: beliefs, rituals, and historical development by Saroj Nalini Parratt, author's thesis, Australian National University (1974)
  2. Dipanjan Roy Chaudhury (২০০৮)। Northeast: Diverse Complexity। Har-Anand Publications Pvt. Limited। পৃষ্ঠা 106–। আইএসবিএন 978-81-241-1437-7 
  3. http://manipur.gov.in/wp-content/uploads/2013/02/general_holiday_2016.pdf

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]