তেহমিনা জানজুয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তেহমিনা জানজুয়া
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব
কাজের মেয়াদ
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ – ১৬ এপ্রিল ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীনওয়াজ শরীফ
শহীদ খাকান আব্বাসি
ইমরান খান
পূর্বসূরীআইজাজ আহমদ চৌধুরী
উত্তরসূরীসোহেল মাহমুদ
জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৬ অক্টোবর ২০১৫
পূর্বসূরীজামির আকরাম
ইতালি, আলবেনিয়া, সান মেরিনো এবং স্লোভেনিয়ায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত
কাজের মেয়াদ
২০১৩ – ২০১৫
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসলামাবাদ-এর মুখপাত্র এবং পররাষ্ট্র সচিব কার্যালয়ের মহাপরিচালক (কৌশলগত পরিকল্পনা)
কাজের মেয়াদ
২০১১ – ২০১৩
ব্যক্তিগত বিবরণ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (এমআইএ)

তেহমিনা জানজুয়া (উর্দু: تہمینہ جنجوعہ‎‎) হচ্ছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি কূটনীতিক যিনি বিপিএস-২২ গ্রেডে (একজন নিযুক্ত অফিসারের জন্য সর্বোচ্চ অর্জনযোগ্য পদ) পাকিস্তানের ২৯তম পররাষ্ট্র সচিব। তিনি জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এবং ইতালিতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।[১][২][৩][৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি সাহিত্যে অধ্যয়নের পর ১৯৮৪ সালে জানজুয়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিভাগে যোগ দেন। জানজুয়া পরে ১৯৮৯-এ এসআইপিএ, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্স্টাস ইন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে ডিগ্রী লাভ করেন। পররাষ্ট্র সচিব কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে ২০০৪ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি নিউইয়র্ক সিটিজাতিসংঘে পাকিস্তানের মিশনে কাজ করেছেন। তিনি পররাষ্ট্র সচিব কার্যালয়ে কৌশলগত পরিকল্পনা মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন এবং ২০১১-এ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হন।[৫] ডিসেম্বর ২০১১ থেকে অক্টোবর ২০১৫ সময়ের মধ্যে তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইতালিতে কাজ করেছেন।[৬][৭][৮]

৬ অক্টোবর ২০১৫-এ, জেনজুয়া জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে পাকিস্তানের দূত হন, এবং ডিসেম্বর ২০১৬-এ, জানজুয়া হন প্রথম নারী, এবং প্রথম উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধি, যিনি প্রচলিত অস্ত্রের উপর আয়োজিত সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।[৯] ফেব্রুয়ারি ২০১৭-এ প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ জানজুয়াকে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব আইজাজ আহমদ চৌধুরীর পরিবর্তে নিয়োগ দেন। জানজুয়া হন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-এর সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে আসিন হওয়া প্রথম পাকিস্তানি মহিলা।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Statement by Tehmina Janjua, Deputy Permanent Representative, at the 92nd Session of IOM Council, Geneva, 28 Nov – 01 Dec 2006"। জুলাই ৩, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. Uploader (২০১৬-০৬-০১)। "Pakistan's role in UN peacekeeping highlighted by Ambassador Tehmina Janjua" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-২৬ 
  3. "Tehmina Janjua becomes Pakistan's first woman foreign secretary - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-১৪ 
  4. "Tehmina Janjua becomes Pakistan's first woman foreign secretary"The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-১৪ 
  5. "Islamabad: Tehmina Janjua appointed as new spokesperson Foreign Office - Pakistan | Dunya News"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-২৬ 
  6. "Permanent Mission of Pakistan to the United Nations, Geneva"www.pakistanmission-un.org। ২০১৬-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-২৬ 
  7. Kennedy, Randy, "Police Shut Down Mosque Installation at Venice Biennale", New York Times, May 22, 2015. Retrieved 2015-05-22.
  8. "Tehmina Janjua To Be First Woman Foreign Minister | Daily Jang News"jang.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-১৯ 
  9. "Pakistan makes history as Janjua chairs CCW review conference"www.thenews.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-১৮ 
  10. "Tehmina Janjua becomes first woman to be appointed Pakistan's foreign secretary"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]