তেজগাঁও কলেজ
![]() কলেজ লগো | |
নীতিবাক্য | Be a Builder |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৫′২৭″ উত্তর ৯০°২৩′১৮″ পূর্ব / ২৩.৭৫৭৫০° উত্তর ৯০.৩৮৮৩৩° পূর্ব |
অধ্যক্ষ | মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৩০ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | ১৬ ইন্দিরা রোড, ফার্মগেট, ঢাকা |
ওয়েবসাইট | tejgaoncollege |
![]() |
তেজগাঁও কলেজ, বাংলাদেশের ঢাকায়, ফার্মগেটে অবস্থিত একটি বেসরকারি কলেজ। উচ্চ মাধ্যমিক ছাড়াও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা পরিচালনায় কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে জনাব মাওলানা আবুল খায়েরের নিরলস কর্মপ্রচেষ্টায় ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামিয়া হাই স্কুলে ঢাকা নাইট কলেজ নামে সর্বপ্রথম এই কলেজের যাত্রা শুরু। তখন কলেজটির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী জনাব মফিজ উদ্দীন আহমেদ ও সম্পাদক ছিলেন জনাব শফিকুল ইসলাম। সেসময়ে কলেজের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল, শিক্ষকরা বিনা বেতনে ক্লাস নিতেন। তারপর প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে জনাব মফিজ উদ্দীন কলেজটিকে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় স্থানান্তর করেন। এখানে ১৮ মাস ক্লাস চলার পর আবার তেজগাঁও পলিটেকনিক হাই স্কুলে (বর্তমান তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) স্থানান্তর করা হয়। এখানে ক্লাস চলে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। নানা প্রতিকূলতায় কলেজকে আবারও স্থানান্তর করা হয় তেজগাঁও শিল্প এলাকার আসাদুল হকের ক্রাউন লন্ড্রিতে। অব্যবহিত পরে অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে কলেজটিকে নিয়ে আসেন ফার্মগেটের বর্তমান আল-রাজী হাসপাতালে। এসময়ে 'ঢাকা নাইট কলেজ' নামটি পাল্টে বর্তমান 'তেজগাঁও কলেজ ঢাকা' নামটি রাখা হয়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধের পর জনাব তোফায়েল আহমেদ অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিলে কলেজটিকে স্থায়ী একটি নিবাস দিতে প্রাণান্ত প্রয়াস শুরু করেন। তিনি তৎকালীন ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীদের সহায়তায় ঢাকার ফার্মগেটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলেজ ও ছাত্রাবাসের জন্য জায়গা ক্রয় করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী জনাব ইউসুফ আলী কর্তৃক ১২টন ঢেউটিন দিয়ে প্রথমবারের মতো কলেজের নিজস্ব অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বর্তমানে কলেজটি ফার্মগেটের ১৬ নম্বর ইন্দিরা রোডে নিজস্ব ভবন নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।[১]
বিবরণ[সম্পাদনা]

তেজগাঁও কলেজ নিজস্ব চারটি ছয়তলাবিশিষ্ট অট্টালিকা ও দুটি চারতলাবিশিষ্ট ভবন নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই কলেজে সকাল ও বিকালে আলাদা শিফটে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী ছাড়াও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের ব্যবস্থা রয়েছে।[১] কলেজটিতে ছেলে-মেয়ে উভয়ের শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক বা ইউনিফর্ম রয়েছে, অবশ্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর জন্য কোনো নির্ধারিত ইউনিফর্ম নেই।
কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা আলাদা কমনরুম রয়েছে। কলেজ প্রাঙ্গনে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। এছাড়া কলেজের একটি ভবনের দোতলায় পূর্ণাঙ্গ একটি জামে মসজিদ রয়েছে। কলেজের নতুন ভবনের নিচতলায় একটি বিশাল অডিটরিয়াম বা মিলনায়তন রয়েছে। এছাড়া কলেজের প্রয়োজনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কর্তৃক প্রদত্ত একটি বাস রয়েছে।
কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রবৃন্দ রাজনীতির চর্চা করেন এবং এই কলেজের রাজনীতি বেশ সক্রীয়। যদিও এই কলেজের রাজনীতির কিছুটা নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। কলেজের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ভর্তি-বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপেরও অভিযোগ রয়েছে।[২]
অনুষদসমূহ[সম্পাদনা]
তেজগাঁও কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষার ২৫টি আলাদা আলাদা অনুষদ উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা পরিচালনা করে আসছে। এই কলেজের অনুষদসমূহ হলো[৩]:
১.সিএসই(কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল) |
১০. হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ |
১৯. ইতিহাস বিভাগ |
এছাড়াও রয়েছে:
- গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগ
- কম্পিউটার শিক্ষা বিভাগ
- সাচিবিক বিদ্যা ও অফিস ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- প্রকৌশল অঙ্কন বিভাগ
গ্রন্থাগার ও পরীক্ষাগার[সম্পাদনা]
কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সুবিধার্থে তেজগাঁও কলেজে একটি সুপরিসর গ্রন্থাগার রয়েছে। গ্রন্থাগারটি পালাক্রমে একাধিক গ্রন্থাগারিকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ানুগ ব্যবহারিক শিক্ষার প্রয়োজনে রয়েছে পরীক্ষাগার।
সহশিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]
কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে সহশিক্ষা কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতে কলেজে বিভিন্ন সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া ডিবেটিং ক্লাব,থিয়েটার ক্লাব, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট কার্যক্রমও পরিচালিত হয় কলেজে। এছাড়া বার্ষিক মিলাদ মাহফিল, বনভোজন আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা হয়।
শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের সংগঠন "কোয়ালিটি ইম্প্রুভমেন্ট এন্ড ইইন্টারন্যাশনাল টুরিস্ট ক্লাব" রয়েছে। প্রতি বছর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মান উন্নয়ন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে থাকে।
প্রকাশনা[সম্পাদনা]
কলেজ থেকে অনিয়মিতভাবে অর্ণব নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "বিভিন্ন নিবন্ধ"। অর্ণব (তেজগাঁও কলেজ বার্ষিকী) (প্রিন্ট) । ঢাকা: তেজগাঁও কলেজ। ২০০৫-২০০৬ খ্রিস্টাব্দ। পৃষ্ঠা ১৪৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য); - ↑ অবৈধ ৪২১ শিক্ষার্থী বৈধ করতে মন্ত্রী এমপিদের সুপারিশ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে (ওয়েব), সোনার বাংলাদেশ.কম; ২২ ডিসেম্বর, ২০০৯
- ↑ অনুষদসমূহ, তেজগাঁও কলেজের ওয়েবসাইট।