তুরস্কে নারী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এটি ২৯ জুলাই ২০১৭ সালে তুরস্কে নারী আন্দলনের ছবি।

তুরস্কে নারী হল তুরস্কে থাকেন বা তুরস্ক থেকে আসেন এমন মহিলাদের বিষয়ক নিবন্ধ। তুরস্ক ১৯৩০ সালে (১৯৩৪ সালে দেশব্যাপী) স্থানীয়ভাবে নির্বাচন ও নির্বাচিত হওয়ার অধিকার সহ নারীদের পূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার প্রদান করে। মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক কর্তৃক প্রদত্ত অধিকারের মাধ্যমে তুর্কি মহিলারা ফ্রান্স, ইতালিগ্রীসের মতো অনেক ইউরোপীয় দেশের মহিলাদের আগে নির্বাচন ও নির্বাচিত হওয়ার অধিকার অর্জন করেছিলেন। তুর্কি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০ লিঙ্গের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় বা ব্যক্তিগত যে কোন বৈষম্য নিষিদ্ধ করে। এটিই প্রথম দেশ যেখানে একজন নারীকে তার সাংবিধানিক আদালতের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়ে। তুর্কি সংবিধানের ৪১ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে পরিবার "স্বামী-স্ত্রীদের মধ্যে সমতার উপর ভিত্তি করে"।

উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের সময় ১৯ শতকে তুর্কি নারীবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যখন ১৯০৮ সালে অটোমান কল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক প্রশাসন কর্তৃক তুরস্ক প্রজাতন্ত্র ঘোষণার পর লিঙ্গ সমতার আদর্শ গ্রহণ করা হয়, যার আধুনিকীকরণ সংস্কারের মধ্যে বহুবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং ১৯৩০ সালের মধ্যে তুর্কি মহিলাদের পূর্ণ রাজনৈতিক অধিকারের বিধান অন্তর্ভুক্ত ছিল।

তুরস্কে নারীরা ধর্ষণ ও সম্মান রক্ষার্থে হত্যার শিকার হতে থাকে, বিশেষ করে তুর্কির কুর্দিস্তানে, যেখানে নারীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অপরাধ সংঘটিত হয়। [১] পণ্ডিতদের গবেষণা [২][৩] ও সরকারি সংস্থা [৪] তুরস্কের জনগণের পাশাপাশি তুর্কি প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক গার্হস্থ্য সহিংসতার ইঙ্গিত দেয়। তুরস্ক পুরুষতান্ত্রিক সমাজ হওয়া সত্ত্বেও, তুর্কি মহিলাদের জনজীবন ও সক্রিয়তায় জড়িত থাকার অনেক ঐতিহাসিক উদাহরণ রয়েছে।

তুরস্কে নারীরা কর্মসংস্থানে এবং কিছু অঞ্চলে শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৈষম্যের সম্মুখীন হয়। শ্রমশক্তিতে তুর্কি নারীদের অংশগ্রহণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড়ের অর্ধেকেরও কম এবং যখন নারী সাক্ষরতার উন্নয়নে বেশ কয়েকটি অভিযান সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে, তখনও মাধ্যমিক শিক্ষায় লিঙ্গগত পার্থক্য রয়েছে। তুরস্কেও বাল্যবিবাহের বহু ঘটনা রয়েছে, প্রথাটি বিশেষ করে দেশের পূর্ব ও মধ্য অঞ্চলে ব্যাপকভাবে প্রচলিত।

তুরস্কের ২০১৮ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের লিঙ্গ ব্যবধান সূচকে ১৪৯ টি দেশের মধ্যে অবস্থান ১৩০ তম অর্জন করে। [৫]

আইনগত অধিকার[সম্পাদনা]

তুরস্ক ১৯৪৫ সাল থেকে নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্যের সকল প্রকার বিলোপ সংক্রান্ত কনভেনশনের পাশাপাশি ২০০২ সাল থেকে তার ঐচ্ছিক প্রটোকলের অংশীদার।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Turkish girl was 'buried alive'"। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৮ – news.bbc.co.uk-এর মাধ্যমে। 
  2. Sallan Gül, Songül (মে–জুন ২০১৩)। "The role of the State in protecting women against domestic violence and women's shelters in Turkey": 107–116। ডিওআই:10.1016/j.wsif.2013.01.018 
  3. Henneke, J. (২০০৮)। "Combating domestic violence in Turkey" (পিডিএফ)। Goeteborgs University। 
  4. West Yorkshire, Police। "Kadin ve kizlara yönelik şiddetten kaçmanin üç adimi" (পিডিএফ)। Home Office। ; this document is in Turkish, use a translator such as Google, if you cannot read Turkish.
  5. Turkey ranks 130th in gender gap index
  6. "The Right of Women, Gender Equality and Struggle with Violence Against Women"। Rep. of Turkey Ministry of Foreign Affairs। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]