টিকইল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টিকইল
গ্রাম
টিকইল গ্রামের একটি অংশ
টিকইল গ্রামের একটি অংশ
ডাকনাম: আল্পনা গ্রাম
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী
জেলাচাঁপাইনবাবগঞ্জ
উপজেলানাচোল

টিকইল বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাস্থ নাচোল উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এই গ্রামের বিশেষ বৈশেষ্টের কারনে আল্পনা গ্রাম নামে অধিক পরিচিত।[১] হিন্দু-অধ্যুষিত এ গ্রামের প্রতিটি বাড়ির দেয়ালে হাতে আঁকা নানা আলপনা এর কারনে এটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিশেষ পরিচিতি পায়।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

টিকইলে এই ঐতিহ্যের গোড়াপত্তন কীভাবে য়েছিলো তা জানা যায়নি। পূর্বপুরুষের হাত ধরে এখানকার বাসিন্দারা আবহমানকাল ধরে এই শিল্প টিকিয়ে রাখছেন। হিন্দু-অধ্যুষিত এ গ্রামে বিভিন্ন পার্বণে, উৎসব, পূজা, আনন্দময় উপলক্ষ্যে এ গ্রামের গৃহিণী আর মেয়েরা মহাসমারোহে এই কাজটি করেন।[৩] আগের দিনে বাড়িঘরের আলপনার মাধুর্য দেখে ওই বাড়ির বর-কনে পছন্দ করতেন প্রবীন সদস্যরা। গ্রামের নারীরা বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে আল্পনা এঁকে বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধনের সঙ্গে সঙ্গে দেবতার সুদৃষ্টি ও আশীর্বাদ কামনা করে থাকেন৷[৪] এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ, বাল্যবিবাহের কুফল সহ সমসাময়িক ইতিহাস ও স্থান পায় এসব আলপনায়।

গ্রামবাসী তাদের মাটির ঘরের দেয়ালে এসব আলপনা করেন। এই আল্পনা তারা আঁকেন তাদের নিজেদের তৈরি করা মাটির রং দিয়ে। আলপনা গ্রাম নামে খ্যাত টিকইলে এই ঐতিহ্য দেথতে প্রতি বছর প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হয়।[৫]


অবস্থান[সম্পাদনা]

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে ২৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের হাটবাকইল বাজার থেকে উত্তর দিকে অবস্থিত এই গ্রামটি।[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রবিউল হাসান (২ ডিসেম্বর ২০১৬)। "A village of alpona"thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ মে ১৭, ২০২০ 
  2. সুমন্ত গুপ্ত (৩ আগস্ট ২০১৯)। "আল্পনা গ্রামে একদিন"ntvbd.com। সংগ্রহের তারিখ মে ১৭, ২০২০ 
  3. আনোয়ার হোসেন (২৪ মে ২০১৯)। "গৃহিণীরাই আলপনা গ্রামের মূল কারিগর"banglatribune.com। নভেম্বর ১, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১৭, ২০২০ 
  4. "নাচোলের আলপনা গ্রাম"kalerkantho.com। ২১ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ মে ১৭, ২০২০ 
  5. আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ (১৪ এপ্রিল ২০১৯)। "নববর্ষের আবাহন আলপনা গ্রামে"prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ মে ১৭, ২০২০ 
  6. পিন্টু রঞ্জন অর্ক (১৪ এপ্রিল ২০২০)। "রঙিলা গাঁয়ে একবেলা"kalerkantho.com। সংগ্রহের তারিখ মে ১৭, ২০২০