টহল জাহাজ
টহল জাহাজ নৌপথ বা সমূদ্রপথ পাহারায় নিয়োজিত জাহাজ। এগুলো দ্রুতগতিসম্পন্ন ও অস্ত্রসজ্জিত থাকে। নঁকশা ও কার্য়ক্ষমতা ভেদে এসকল জাহাজের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। নেীবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ বাহিনী এ ধরনের জাহাজ ব্যবহার করে। টহল জাহাজ সাধারণত সামুদ্রিক সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত থাকে।
শ্রেনীকরণ
[সম্পাদনা]বৃহৎ পরিসরে টহল জলযানকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, ’ইনসোর প্যাট্রোল ভেসেল’(আইপিভি) এবং অফসোর প্যাট্রোল ভেসেল (ওপিভি)। মিসাইল বোট, টর্পেডো বোট, ফাস্ট এ্যাটাক ক্রাফট ইত্যাদি জাহাজগুলো আকারে ছোট হয়। যদিও ভারি অস্ত্র সজ্জিত ফ্রিগেটও টহল জাহাজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]উভয় বিশ্বযুদ্ধে প্রচুর বেসামরিক নৌযান যেমন মাছধরার জাহাজ, প্রোমদতরী ইত্যাদি জলযানকে মেশিনগান ও অন্যান্য অস্ত্র সজ্জিত করে টহল জাহাজে রূপান্তর করা হয়েছিল। বর্তমানেও এধরনের টহল জাহাজ দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত সমুদ্রগামী টহলযান ৩০ মিটার দীর্ঘ হয়। এসকল জাহাজ, মূল অস্ত্র হিসাবে সাধারণত সিঙ্গেল মিডিয়াম ক্যালিবারের আর্টিলারি গান ব্যবহার করে। এছাড়া অতিরিক্ত গুলিবর্ষণ ক্ষমতা হিসাবে হালকা ও মাঝারি মেশিনগান ব্যবহার করে। অভিযানের গুরোত্ব ও প্রয়োজনিয়তা ভেদে টর্পেডো, সারফেস টু সারফেস মিসাইল, এন্টি মিসাইল ইত্যাদি অস্ত্রও দ্বারা টহল জাহাজ সজ্জিত থাকে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]১.বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হলো ১২ টি পেট্রোল ভেসেল।:দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ,১৬ই সেপ্টম্বর,২০১৫ .