জেনারেল রাণী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আকলিমা আখতার, এছাড়া আকলিম আখতার, জেনারেল রাণী,[১] রাণী-ই-ইহাইয়া খান ইত্যাদি নামে পরিচিত, একজন পাকিস্তানি যৌনকর্মী। তিনি যৌনব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন তার একটি নিজস্ব পতিতালয় ছিলো।[২] জেনারেল রাণীর সাথে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো।

জেনারেল রাণী

আকলিমা আখতার
জন্ম১৯৩১ ইং
মৃত্যুজুলাই ১, ২০০২ ইং
শেখ জায়েদ হাসপাতাল, লাহোর
মৃত্যুর কারণস্তন ক্যান্সার
জাতীয়তাপাকিস্তানি
পরিচিতির কারণপাকিস্তানের যৌনকর্মী
উপাধিজেনারেল রাণী
আত্মীয়ফখরে আলম (নাতি)

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

আকলিমা আখতার ১৯৩১ অথবা ১৯৩২ সালে পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তিনি একজন পুলিশ অফিসারকে বিয়ে করেন। তার স্বামী বয়সে তার চেয়ে অনেক বড় ছিলো।[২] পরবর্তীতে তিনি তার স্বামীকে ছেড়ে চলে আসেন।[২]

বিবাহের নাটকীয় উপসংহার আকলিমা আখতারের জীবন পাল্টে দেয়। মে ২০০২ সালে একটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেনঃ

“আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলাম যে পুরুষদের তাদের নিজেদের ফাঁদেই শায়েস্তা করবো। আমার স্বামী ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার। তার মধ্য দিয়ে আমি দেখেছি যে একজন ক্ষমতাশালী পুরুষের অবকাশ দরকার। এরমধ্যে অন্যতম হলো তাদের বিছানার সঙ্গী, যা কোন বিশ্বস্ত সংস্থা সরবরাহ করবে। যে যত উচ্চ ক্ষমতাশালী, তার চাহিদা তত আকাশচুম্বী।”[২]

আকলিমা আখতার জীবনের একটি নীতিবাক্য গ্রহণ করেন, তা হলো "miyan ki juti miyan ke sir" যার মানে 'পুরুষদের শায়েস্তা করো তাদের নিজেদেরই দুর্বলতায়'। এরপর তিনি পতিতাবৃত্তি ব্যবসা শুরু করেন।[২]

ইয়াহিয়া খানের সাথে সম্পর্ক[সম্পাদনা]

ইয়াহিয়া খানের সাথে আকলিমা আখতারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে তার নাম হয় জেনারেল রাণী, অর্থাৎ জেনারেলের রাণী। তার দাপ্তরিক কোন পদবী ছিলো না, তবুও রাষ্ট্র থেকে তিনি পূর্ণ প্রোটোকল সুবিধা পেতেন। অনেকে মনে করে আকলিমা আখতার ছিলেন ইয়াহিয়া খানের উপপত্নী। তবে আকলিমা তা অস্বীকার করেন এবং বলেন তারা দুইজন খুব ভালো বন্ধু।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

প্রথম জীবনে আকলিমা আখতারের বিয়ে হয়েছিলো এবং তিনি ৬ জন সন্তানের জন্ম দেন।

নেতৃস্থানীয় পপ তারকা ফখরে আলম হলেন আকলিমা আখতারের নাতি।[৪] আকলিমার মাতৃ সম্পর্কীয় ভাইঝি, নওরীন, আদনান সামির মা।[২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মে ২০০২ সালে পাকিস্তানি গণমাধ্যম প্রচার করে আকলিমা আখতার স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, এছাড়া তার লিভার ও কিডনিও আক্রান্ত।[২]

এরপর ১ জুলাই, ২০০২ সালে ৭৩ (প্রায়) বছর বয়সে শেখ জায়েদ হাসপাতাল, লাহোর এ মারা যান।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The fascinating tale of General Rani"Friday Times। ২৮ মার্চ ২০১৪। 
  2. Nasir, Ayesha (৪ মে ২০০২)। "Night of the General"Newsline। Newsline Publications। ২৮ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৭ 
  3. "'Gen Rani' dies of cancer"। Dawn.com। ২ জুলাই ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১২ 
  4. "Fakhar-e-Alam: Actor, VJ and Singer"Pakistan Herald। Gibralter Information Technologies। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৮