জিরা ভাত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিরা ভাত
Jeera rice
জিরা ভাত
অন্যান্য নামজীরা ভাত
প্রকারমূল খাবার
অঞ্চল বা রাজ্যভারতীয় উপমহাদেশ
পরিবেশনগরম
প্রধান উপকরণচাল, গোটা জিরা, পিঁয়াজ

জিরা ভাত বা জীরা ভাত হল ভাত এবং জিরার সমন্বয়ে তৈরি একটি ভারতীয় খাবার।[১] প্রতিদিনের প্রধান খাদ্য হিসেবে এটি উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় খাবার।[২] এটি তৈরি করা সহজ, বিরিয়ানি তৈরির মত সময় সাপেক্ষ নয়। ব্যবহৃত উপাদানগুলো হল চাল, জিরা, উদ্ভিজ্জ তেল, পেঁয়াজ এবং ধনে পাতা। চালের সঙ্গে প্রধান উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত গোটা জিরা থেকে এই খাবারের নাম হয়েছে জিরা ভাত।

প্রস্তুতি[সম্পাদনা]

জিরা ভাত একটি খুব সাধারণ খাবার এবং এটি খুব কম উপাদান দিয়ে প্রস্তুত করা যায়। গরম তেলে জিরা ভাজা হয়। এতে লম্বা দানার বাসমতী চাল এবং লবণ যোগ করা হয়। চালের মাপের প্রায় দ্বিগুণ মাপের জল দিয়ে আগুনের উচ্চ শিখায় রেখে ঢাকনা দিয়ে চাল ও জল ফুটতে দেওয়া হয়। তারপর কম আঁচে চাল ফুটিয়ে সিদ্ধ করা হয়, যতক্ষণ না সমস্ত জল শোষিত হয়।

জিরা ভাত সাধারণত কুচি করে কাটা তাজা ধনে পাতা দিয়ে সজ্জিত করা হয়, তবে কিছু ভারতীয় হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় গোল করে কাটা পেঁয়াজ দিয়েও সাজানো হয়।

এটি শুধু খাওয়া যায়; অথবা রায়তা, তরকারির সাথে দেওয়া যেতে পারে। ভারতীয় রন্ধনপ্রণালীতে, এটি রাজমা তরকারি, ছোলে, মাটন কারির পাশাপাশি বিভিন্ন রন্ধনশৈলীর ডালের সাথে সবচেয়ে ভাল স্বাদযুক্ত।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

জিরা ভাতের রন্ধন প্রনালীটি অতি প্রাচীন বই বা ভারতীয় রন্ধন কৌশলের লেখায় পাওয়া যায় না। এই রন্ধন প্রনালী সম্পর্কে লেখা প্রাচীন মুঘল সাম্রাজ্যের বই এবং ভ্রমণকাহিনীতে দেখতে পাওয়া গেছে। মুঘলরা চালের তৈরি খাবার পছন্দ করত, এবং তাই বাবুর্চিরা চালের নতুন রন্ধন প্রনালী উদ্ভাবন করত এবং ঐতিহ্যগত পুরানো রন্ধন প্রনালী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করত। এইভাবেই জিরা ভাতের উদ্ভাবন হয়েছিল। পরবর্তীকালে, এটি ভারতীয় রন্ধনশৈলীতে গৃহীত হয় এবং এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে রন্ধন প্রনালীটি এখন খুব সাধারণ হয়ে গেছে।

জিরা ভাতের স্বাস্থ্য উপকারিতা[সম্পাদনা]

এখানে জিরা ভাতের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্বন্ধে বলা হয়েছে: ● সহজে হজম হয়: জিরা যে হজমে সাহায্য করে এবং পাকস্থলীতে স্বাস্থ্যকর উৎসেচক তৈরি করে তা প্রমাণিত। এটি পেটের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ● আয়রন সমৃদ্ধ: জিরা ভাতে রয়েছে পরিপূর্ণ পুষ্টি এবং বিশেষ করে আয়রন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Rajmah and chawal rule royally over tastebuds"Times of India 
  2. "Rices of the world - Epicure -"The Age। ২০০৫-০৪-১৮। 
  3. "Jeera Rice"। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  4. "Jeera Rice"। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]