জামিয়াতুর রশিদ, করাচি

স্থানাঙ্ক: ২৪°৫০′৪৪.৭৪″ উত্তর ৬৭°৯′৫৫.১৭″ পূর্ব / ২৪.৮৪৫৭৬১১° উত্তর ৬৭.১৬৫৩২৫০° পূর্ব / 24.8457611; 67.1653250
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জামিয়াতুর রশিদ, করাচি
جامعتہ الرشید کراچی
ধরনইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত১৯৭৭
অধিভুক্তি
রেক্টরমুফতি আব্দুর রহিম
অবস্থান, ,
২৪°৫০′৪৪.৭৪″ উত্তর ৬৭°৯′৫৫.১৭″ পূর্ব / ২৪.৮৪৫৭৬১১° উত্তর ৬৭.১৬৫৩২৫০° পূর্ব / 24.8457611; 67.1653250
ওয়েবসাইটwww.kulyatushariah.edu.pk
মানচিত্র

জামিয়াতুর রশিদ, করাচি (উর্দু: جامعتہ الرشید کراچی‎‎ ) পাকিস্তানের করাচিতে অবস্থিত একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা)। রশিদ আহমদ লুধিয়ানভি মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ফেডারেল শিক্ষা ও পেশাদার প্রশিক্ষণ মন্ত্রণালয় এবং উচ্চ শিক্ষা কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত পাঠক্রম পরিচালনা করে। মাদ্রাসাটিতে "কুলিয়াতুশ শরিয়াহ" সহ ৩৬টি বিভাগ রয়েছে। এটি "জামিয়া উম্মে হাবিবা লিল-বানাত", "জামিয়া হাফসা লিল-বানাত" এবং "আল-বৈরুনি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়" নামক মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করে।

মুফতি আব্দুর রহিম মাদ্রাসাটির বর্তমান প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।[১][২] ২০২১ সালের মে মাসে "মাদ্রাসাগুলিতে" ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্মীয় শিক্ষার মধ্যে সামঞ্জস্য করার জন্য মাদ্রাসাটি জামিয়া বিন্নুরীয়ার সাথে যুক্ত হয়ে "মাজমা'আ উলুম আল-ইসলামিয়া" (ইসলামিক বিজ্ঞান বোর্ড) নামে একটি সমন্বিত বোর্ড গঠন করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

জামিয়াতুর রশিদ মাদ্রাসাটি রশিদ আহমেদ লুধিয়ানভি প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসাটির স্থাপনের পটভূমি ছিল "দারুল ইফতা" (আইনশাসন পরিষদ) গঠন করা। "তমরন-ই-ইফতা" বিভাগটি পাকিস্তানের অন্য কোন মাদ্রাসায় বিদ্যমান ছিল না এবং এটি লুধিয়ানভিকে আহসানবাদে নতুন একটি মাদ্রাসা স্থাপনের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল।[৩] মাদ্রাসাটিতে ৩৬ টি বিভাগ রয়েছে।

বিভাগগুলিতে "মাহাদ আল-রাশাদ আল-আরবি" রয়েছে যা আরবি ভাষার প্রচার করে এবং "তখাসসুসাত ফিল ইফতা", যেটি পুরো পাকিস্তানের এই জাতীয় বিভাগ প্রথম এই মাদ্রাসাটিতে চালু করা হয়। ১৯৬৪ সালে লুধিয়ানভি বিভাগটি প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] বিভাগটি এর পাশাপাশি জ্যোতির্বিদ্যা এবং ভূগোল বিষয়েও শিক্ষা প্রদান করে। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মতিন-উর-রেহমান মুর্তাজা মাদ্রাসাটিতে যোগাযোগ বিভাগের যাত্রা শুরু করেন।[৪]

চার বছর মেয়াদী প্রচলিত ইসলামি বিজ্ঞান দিয়ে সজ্জিত করার জন্য এই মাদ্রাসাটিতে ২০০৩ সালে শীর্ষ গ্রেড প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য "কুলিয়াতুশ-শরিয়াহ" প্রোগ্রাম এবং বিভাগের যাত্রা শুরু হয়।[৩]

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেডারেল শিক্ষা ও পেশাদার প্রশিক্ষণ মন্ত্রণালয় এবং উচ্চ শিক্ষা কমিশন জামিয়াতুর রশিদকে পুরস্কৃত করে।[৫] মাদ্রাসাটির ডিগ্রি একটি দ্বিগুণ এমএ সমমান হিসেবে অনুমোদিত হয়।

২০২১ সালের মে মাসে জামিয়াতুর রশিদ জামিয়া বিন্নুরীয়ার সাথে "মজমা'আ উলুম আল-ইসলামিয়া" নামে একটি নতুন বোর্ড গঠন করেন এবং যা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান থেকে মাদ্রাসাটিকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।[৬] নতুন বোর্ডটি ফেডারেল শিক্ষা ও পেশাদার প্রশিক্ষণ মন্ত্রণালয় দ্বারা অনুমোদিত। নতুন বোর্ডটি সম্পর্কে একাডেমিয়া ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, বোর্ডটি "মাদ্রাসায়" ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা প্রদান করবে যাতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় সমান সুযোগ গ্রহণ করতে পারে এবং সমাজের উন্নয়নে তারাও ভূমিকা রাখতে পারে "।[৭]

অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

জামিয়া তুর রশিদের অধীনে "জামিয়া উম্মে হাবিবা লিল-বানাত", "জামিয়া হাফসা লিল-বানত" এবং "আল-বৈরুনি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়" নামক তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। যেখানে মেয়েরা ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার পাশাপাশি প্রচলিত ইসলামি বিজ্ঞান শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।[৩] জামিয়া সিন্ধু সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এবং স্বীকৃত "আল-বেরুনি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়" এবং ইন্টারমিডিয়েট কলেজও পরিচালনা করে।

জেটিআর মিডিয়া হাউস[সম্পাদনা]

"শিক্ষা, সম্প্রচার এবং পরিষেবা" ত্রি-দর্শন স্লোগানের উপর ভিত্তি করে এই মাদ্রাসাটির একটি মিডিয়া হাউস রয়েছে।[৩] মাদ্রাসাটির লক্ষ্য একটি শিক্ষামূলক ওয়েব চ্যানেল এবং একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল শুরু করা।

অধ্যাপক[সম্পাদনা]

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

মাদ্রাসাটি নিম্নোক্ত প্রকাশনাগুলো প্রকাশ করে:

  • সাপ্তাহিক বাচোএন কা ইসলাম, প্রায় ১০০,০০ এরও বেশি শিশু পড়েছে।[৩]
  • সাপ্তাহিক খাওয়াতিন কা ইসলাম
  • শারিয়া ও বিজনেস, উর্দুতে প্রকাশিত এই বিষয়ের বৃহত্তম ম্যাগাজিন।
  • দ্য ট্রুথ, ইংরেজিতে প্রকাশিত।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Delegation Of Jamia Tur Rasheed Led By Mufti Abdul Raheem Called On Governor Sindh Imran Ismail"Governor Of Sindh, Pakistan website। ১৪ নভেম্বর ২০২০। ২৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২১ 
  2. Zia Ur Rehman (১৮ জানুয়ারি ২০১৯)। "Deobandi clerics meet to avoid Tablighi Jamaat's crisis (including Jamia Tur Rashid's Mufti Abdul Rahim)"The News International (newspaper)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২১ 
  3. Tariq Iqbal (২০১৯)। "Life and services of Mufti Rasheed Ahmad Ludhyanwi" (উর্দু ভাষায়)। Department of Usooluddin: 100–105। 
  4. "Journalist, academic Prof Mateen-ur-Rehman Murtaza passes away"Dawn। ১৭ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২১ 
  5. "JTR delegations thanks federal government"Daily Dunya। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২১ 
  6. "نیا دیوبند مدرسہ بورڈ قائم، کراچی کے 2 بڑے مدارس وفاق المدارس العربیہ سے الگ ہوگئے"Islam Times Urdu। ১০ মে ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২১ 
  7. "Federal Ministry of education approves new examination board for seminaries"Academia Magazine। ১০ মে ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]