জাপান–ডেনমার্ক সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাপান–ডেনমার্ক সম্পর্ক
মানচিত্র Denmark এবং Japan অবস্থান নির্দেশ করছে

ডেনমার্ক

জাপান

জাপান–ডেনমার্ক সম্পর্ক, জাপান এবং ডেনমার্ক এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। জাপানের রাজধানী টোকিওতে ডেনমার্কের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন-এ জাপানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। [১][২] বর্তমানে ডেনমার্কের প্রায় ৫০০ জন নাগরিক জাপানের টোকিওতে অভিবাসী হিসেবে বসবাস করছেন।[৩]

এই দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৯ শতক থেকে এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। ১৮৬৭ সালে এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হয়। দেশ দুটির মধ্যকার এই চুক্তির নাম ছিল ট্রিটি অব ফ্রেন্ডশিপ। সেই চুক্তি হওয়ার পর থেকেই এই দুই দেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। [৪] যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরে এবং যুদ্ধ চলাকালীন সময় এই দুই দেশ তাদের মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন করে।[৫] তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই দুই দেশ আবার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। ১৯৫২ সালে এই বিষয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সাক্ষর করে এই দুই দেশ।[৬] ফ্রাঞ্জ-মাইকেল স্কোল্ড মেলবিন, জাপানে নিযুক্ত ডেনমার্কের বর্তমান রাষ্ট্রদূত। তিনি ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জাপানের সম্রাট আকিহিতোর নিকট তার বিবরণী জমা দেন।[৭][৮]

বাণিজ্য[সম্পাদনা]

ডেনমার্ক দূতাবাস, জাপান

১৯৮৮ সালে, জাপান এবং ডেনমার্কের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) মার্কিন ডলার[৯]

ডেনমার্কে, জাপানের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো হল; ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটর সাইকেল এবং কম্পিউটার। ঔষধ, চিংড়ি মাছ, পনির প্রভৃতি খাদ্যদ্রব্য হল, জাপানের, ডেনমার্কের প্রধান রপ্তানি পণ্য। জাপানে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লেগো, নভো নরডিস্ক প্রভৃতি।[১০]

শীর্ষপর্যায়ের সফর[সম্পাদনা]

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, জুনিচিরো কোইজুমি, ২০০২ সালে এক রাষ্ট্রীয় সফরে ডেনমার্কে যান। অপরদিকে ডেনমার্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, আন্দেরস ফো রাসমুসেন তার মেয়াদকালে মোট ২ বার জাপান সফর করেন। প্রথমবার ২০০২ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০০৬ সালে। এছাড়াও জাপানের আরেক প্রধানমন্ত্রী ইউকিয়ো হাতোয়ামা ২০০৯ সালে তিনবার জাপান সফরে যান। তবে হাতোয়ামার সফর ৩ টি ছিল ব্যক্তিগত সফর।

হাতোয়ামা প্রথমবার অলিম্পিক সংক্রান্ত কারণে ডেনমার্কে যান। ২০০৯ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অলিম্পিকের স্বাগতিক বাছাই সংক্রান্ত কার্যক্রমে অংশ নিতে তিনি সেখানে যান। উল্লেখ্য টোকিও শহর ২০২০ সালের অলিম্পিকের আয়োজক হওয়ার জন্য আবেদন জানায়। বাকি দুইবার তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সভা কপ ১৫ এর কাজে ডেনমার্কে যান। এছাড়াও ডেনমার্কের আরেক প্রধানমন্ত্রী লারস লোকে রাসমুসেন ২০০৯ সালে ব্যক্তিগত এক সফরে জাপানে যান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Danish embassy in Japan"। ২০১১-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-২৬ 
  2. "Japanese embassy in Denmark"। ২২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. 500 Danes in Tokyo ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে (ডেনীয়)
  4. History of the Bilateral Relationship
  5. 講談社 (১৯৯৩)। Japan: an illustrated encyclopedia Part one। Kodansha। পৃষ্ঠা ১৯২৪। 
  6. Exchange of notes constituting an agreement concerning the resumption of diplomatic relations. Tokyo, ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
  7. "Ambassadøren - Danmarks Ambassade Tokyo"। Ambtokyo.um.dk। ২০১০-০৮-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-০৭ 
  8. "Event 2008 Accreditation in Tokyo - Mellbin's Photo and Pictures Franz-Michael S. Mellbin JPG JPEG"। Photo.mellbin.com। ২০০৮-১১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-০৭ 
  9. কেইজাই কোহো সেন্তা (১৯৮১)। Speaking of Japan part 10টোকিও, জাপান: কেইজাই কোহো সেন্টার। 
  10. Economic relations

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]