জাতীয় মহাসড়ক ২১৯ (চীন)
২১৯ নং জাতীয় সড়ক | |
---|---|
২১৯国道 | |
পথের তথ্য | |
দৈর্ঘ্য | ১,২৯৬ মা (২,০৮৬ কিমি) |
অস্তিত্বকাল | ১৯৫৭–বর্তমান |
প্রধান সংযোগস্থল | |
উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত: | ইয়েচেং |
দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্ত: | ল্হাৎসে |
মহাসড়ক ব্যবস্থা | |
জাতীয় মহাসড়ক ২১৯ চীনের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে জিনজিয়াং প্রদেশের ইয়েচেং থেকে তিব্বতের ল্হাৎসে শহরকে সংযোগকারী জাতীয় সড়ক।
অবস্থান
[সম্পাদনা]২১৯ নং জাতীয় সড়ক চীনের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে জিনজিয়াং প্রদেশের ইয়েচেং থেকে তিব্বতের ল্হাৎসে শহরকে সংযোগ করে। ২,০৮৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই রাস্তা বিতর্কিত আকসাই চিনের ওপর দিয়ে গেছে। এই অঞ্চল চীনের অধিকারে থাকলেও ভারত দাবী করে[১]
নির্মাণ ইতিহাস
[সম্পাদনা]এই জাতীয় সড়কের নির্মাণ ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় [২], ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে জিনজিয়াং থেকে আমতোগার পর্যন্ত এবং ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে রুদোগ পর্যন্ত জীপ চালানোর মতো রাস্তা তৈরী হয়। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসের মধ্যে হোতিয়েন থেকে কার্নাং পর্যন্ত এবং জুলাই মাসে জিনজিয়াং থেকে গার্তোক পর্যন্ত রাস্তা তৈরী হয়ে যায়। [৩] ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে চীন এই সড়ক নির্মাণ সম্বন্ধে ঘোষণা করে এবং ঐ বছর ৬ই অক্টোবর জিনজিয়াং থেকে গার্তোক পর্যন্ত রাস্তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। [৩][৪]
বিতর্ক
[সম্পাদনা]আকসাই চিন অঞ্চলের ওপর দিয়ে নির্মিত এই সড়কের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারত সরকার ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জানতে পারেনি। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে চীনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এই সংক্রান্ত তথ্য ভারত সরকারকে জানালে ভারত সরকার দুইটি টহলদার বাহিনীকে আকসাই চীন অঞ্চলের ওপর নির্মিত রাস্তার ব্যাপারে সত্যতা অনুসন্ধানের জন্য পাঠায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দলটি হট স্প্রিংস থেকে শামুল লুংপা, দেহরা কম্পাস, সিংলুং হয়ে হাজী লঙ্গরের দিকে রওনা দেয় এবং চীন তাদের বন্দী করে। ভারত তিব্বত সীমান্ত পুলিশের অপর একটি দল শামুল লুংপা থেকে সারিগ জিলগানাং কোল হ্রদের দিকে যাত্রা করে চীনের সেনাবাহিনীর যাতায়াতের চিহ্নের প্রমাণ পান ও চীনের সেনাবাহিনী আলোকচিত্র তুলে আকসাই চিন অঞ্চলে চীনের সেনাসমাবেশের প্রমাণ নিয়ে আসেন। ভারত সরকার এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মুক্তির দাবী করলে চীন কারাকোরাম গিরিবর্ত্মের নিকটে তাদের মুক্তি দেয়, কিন্তু আকসাই চিন অঞ্চলের ওপর দিয়ে নির্মিত সড়কের ব্যাপারে ভারতের প্রতিবাদ শারিজ করে দেয়। [৩] ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে ভারত-চীন যুদ্ধ শুরু হলে চীন এই সড়কের ওপর দিয়ে যুদ্ধক্ষত্রে সরাসরি সৈন্য ও সরঞ্জাম পাঠায়। [৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ google maps
- ↑ MemCons of Final sessions with the Chinese, White House, 1971-08-12
- ↑ ক খ গ ঘ B. N. Mullik, The Chinese Betrayal, Allied Publishers, New Delhi, August, 1971
- ↑ 50th anniversary of Xinjiang-Tibet Highway marked ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ মে ২০১০ তারিখে, China Tibet Information Center, 2007-11-01
- Dorje, Gyurme. (2009). Footprint Tibet Handbook. (4th Ed.) Footprint Handbooks, Bath, England. আইএসবিএন ৯৭৮-১-৯০৬০৯৮-৩২-২.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Xinjiang-Tibet Highway (Yecheng-Burang)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- The Highway 219 from Yecheng over Western Tibet to Kathmandu ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে Description and profile of the route.
- From Kashgar to Lhassa Photos along highway 219 (text in French).
- Some photos along the Highway 219
- A detailed description of a bicycle ride along highway 219 with photos