জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯
জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ বাংলাদেশের একটি বিশেষ আইন এবং বাংলাদেশে সমালোচিত আইনগুলোর মধ্যে অন্যতম। আইনটি ১৩ অক্টোবর ২০০৯-এ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০০১ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার কর্তৃক এই আইনটি 'জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিল-২০০১' নামে সংসদে উপস্থাপিত হয় এবং ২০ জুন ২০০১ খ্রীস্টাব্দের ২৯ নম্বর আইন[২] হিসাবে গৃহীত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নেতৃত্বাধীন সরকার অষ্টম সংসদে ২ ডিসেম্বর ২০০১ খ্রীস্টব্দের ৬০ নম্বর আইনের[২] মাধমে তা্ রহিত করে।[৩][৪][৫] ৫ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে উপর্যুক্ত রহিত আইনটি নতুনভাবে প্রণয়নের জন্য সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়।[৬] ২০০৯-এ আ্ইনটি সংসদে সর্বোসম্মতভাবে গৃহীত হলেও এ সময় সংসদে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের কোনো শরিক দল সংসদে উপস্থিত ছিলো না।[৩]
আইনের উদ্দেশ্য
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ খ্রীস্টাব্দের ১৫ আগস্ট সপিরবারে হত্যা করা হয়। তবে বিদেশে অবস্থানরত তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে জাতির পিতার পরিবারের জীবিত সদস্যদের একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ জন্য ওই সদস্যদের নিরাপত্তা রক্ষায় রাষ্ট্র কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে এ আইনটি করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিলের সঙ্গে উপস্থাপিত সরকারি বক্তব্যেও এই উদ্দেশ্য বিশদ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।[৬]
সঙ্গার্থ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত। আইনের ২ ধারায় বলা হয়েছে, "জাতির পিতা" অর্থ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতার রূপকার, বাংলাদেশের স্খপতি এবং সংবিধান (চতুর্থ সংশোধনী) আইন, ১৯৭৫-এর ধারা ৩৪-এর দফা(খ) দ্বারা সাংবিধানিকভাবে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃত। "পরিবারের সদস্য" অর্থ জাতির পিতার জীবিত দুই কন্যা এবং তাদের সন্তানাদি। ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি কার্যকর হবে।
আইনের বিধান
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
এই আইনে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তদীয় বংশধর ভিআইপি নিরাপত্তা ও সরকারিভাবে নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসন এবং প্রয়োজনীয় অন্য সুবিধাদি পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেস অর্ডিন্যান্স-১৯৮৬ এর আওতায় জাতীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের (ভিআইপি) জন্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। আইনের ৪ নম্বর ধারায় সরকার জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের আজীবন যেকোন স্থানে সেরকম নিরাপত্তা প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। এ নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার পরিবার-সদস্যদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও উল্লেখি হয়েছে। একই ধারার উপধারা ৩-এ, সরকার জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সেই বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অন্য সুবিধাদি প্রদান করার বিধান রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "দৈনিক ভোরের কাগজ:জাতির পিতার পরিবারের নিরাপত্তা বিল পাস"। ১৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০০৯।
- ↑ ক খ http://www.bdlaws.gov.bd/bangla_pdf_part.php?act_name=&vol=??&id=881[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ ইউকে বিডি নিউজ: জাতির পিতার পরিবার নিরাপত্তা বিল-২০০৯ সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাস[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]।
- ↑ "দৈনিক প্রথম আলো: বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় সংসদে বিল পাস"। ২০১৭-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১২।
- ↑ http://bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=111405&hb=3[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] বিডি নিউজ ২৪:সংসদে বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা বিল পেশ
- ↑ ক খ http://www.newagebd.com/2009/oct/14/front.html#2[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]