জন চাইল্ডস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জন চাইল্ডস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজন হেনরি চাইল্ডস
জন্ম (1951-08-15) ১৫ আগস্ট ১৯৫১ (বয়স ৭২)
লিপসন, প্লাইমাউথ, ডেভন, ইংল্যান্ড
ডাকনামচার্লি
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৮১
রানের সংখ্যা ১৬৯০
ব্যাটিং গড় - ৯.০৮
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ২* ৪৩
বল করেছে ৫১৬ ৭০৬৬৭
উইকেট ১০২৮
বোলিং গড় ৬১.০০ ২৯.৭৬
ইনিংসে ৫ উইকেট - ৫২
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/১৩ ৯/৫৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ১১৬/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

জন হেনরি চাইল্ডস (ইংরেজি: John Childs; জন্ম: ১৫ আগস্ট, ১৯৫১) ডেভনের প্লাইমাউথের লিপসন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন ‘চার্লি’ ডাকনামে পরিচিত জন চাইল্ডস[১] ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার ও এসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

কাউন্টি ক্রিকেট[সম্পাদনা]

গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতে শুরু করেন। এরপর থেকে পরবর্তী দশ মৌসুম খেলেন। ১৯৮৪ সালের শেষদিকে তিনি ঐ দল থেকে মুক্তি পান। এরপর পরের মৌসুমে এসেক্সে যোগদান করেন। কলিন বেটম্যানের অভিমত, ৩৩ বছর বয়সে কাউন্ট দল ত্যাগ করা জন চাইল্ডসের জন্যে বেশ উজ্জ্বীবনী শক্তির পরিচয় বহন করেছিল। এসেক্সে এসে ফ্রেড টিটমাসের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন ও দৌঁড়ানোর কৌশল পরিবর্তনে বেশ সফল হন।[২]

ঘরোয়া ক্রিকেটে অনিন্দ্যসুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন। পূর্বেকার বছর তিনি এসেক্স দলকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রেখেছিলেন।

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে জন চাইল্ডসের। ৩০ জুন, ১৯৮৮ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩৬ বছর ৩২০ দিন বয়সে বয়োজ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডের পক্ষে অন্তর্ভুক্ত হন। এরফলে ১৯৪৭ সালে ডিক হাওয়ার্থের ইংল্যান্ডের পক্ষে বয়োজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটার ন্যায় স্থাপিত রেকর্ডটি ভঙ্গ হয়ে যায়।[২] অবশেষে ৪১ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। এরফলে ইংল্যান্ডের সর্ববয়োজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। খেলায় কার্ল হুপারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে ৯১ রান খরচায় একমাত্র উইকেট পেয়েছিলেন। উভয় ইনিংসেই দুই রান তুলে অপরাজিত থাকেন। টেস্টে তার দল ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।

ঐ সিরিজে তিনি আর একটিমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ওভালে ম্যালকম মার্শালগর্ডন গ্রীনিজের উইকেট পেলেও ব্যাট হাতে কোন রান সংগ্রহ ছাড়াই উভয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন। খেলায় সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয় পেয়েছিল। পরবর্তী শীতকালে ভারত গমনের জন্য দলের সদস্যরূপে মনোনীত করা হলেও রাজনৈতিক কারণে সফরটি বাতিল হয়ে যায়।

অবসর[সম্পাদনা]

জুলাই, ১৯৯২ সালে ৪১ বছর বয়সে সফররত পাকিস্তান দলের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্ট খেলার জন্যে জন চাইল্ডসকে মনোনীত করা হয়েছিল। তবে চূড়ান্ত টেস্ট দলে তাকে আর রাখা হয়নি। একপর্যায়ে পেশাদার ক্রিকেট থেকে জন চাইল্ডস অবসর গ্রহণ করেন। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৮১ খেলায় অংশ নিয়ে ৩০-এর কম গড়ে সহস্রাধিক উইকেট পেয়েছেন।

বর্তমানে চেমসফোর্ডে এসেক্স যুব একাডেমি পরিচালিত করছেন। সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সালে আংশিকভাবে অবসর নিয়েছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "John Childs"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০৪ 
  2. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 37আইএসবিএন 1-869833-21-X 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]