চার্লস ডিকেন্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চার্লস ডিকেন্স
Charles Dickens
জন্মচার্লস জন হাফ্যাম ডিকেন্স
(১৮১২-০২-০৭)৭ ফেব্রুয়ারি ১৮১২
ল্যান্ডপোর্ট, পোর্টসমাউথ,
ইংল্যান্ড
মৃত্যু৯ জুন ১৮৭০(1870-06-09) (বয়স ৫৮)
গ্যাড'স হিল প্লেস, হাইয়াম, কেন্ট,
ইংল্যান্ড
সমাধিস্থলপোয়েট'স কর্নার, ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে
পেশালেখক
জাতীয়তাব্রিটিশ
নাগরিকত্বযুক্তরাজ্য
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিস্কেচেস বাই বজ, দি ওল্ড কিউরিওসিটি শপ, অলিভার টুইস্ট, নিকোলাস নিকোলবি, বার্নাবি রাজ, আ ক্রিসমাস ক্যারোল, মার্টিন চাজলউইট, আ টেল অফ টু সিটিজ, ডেভিড কপারফিল্ড, গ্রেট এক্সপেক্টেশনস, ব্লেক হাউস, লিটল ডরিট, হার্ড টাইমস, আওয়ার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড, দ্য পিকউইক পেপারস
সক্রিয় বছর১৮৩৩ - ১৮৭০
দাম্পত্যসঙ্গীক্যাথারিন ডিকেন্স
সন্তানচার্লস ডিকেন্স জুনিয়র, মেরি ডিকেন্স, কেট পেরুগিনি, ওয়াল্টার ল্যান্ডর ডিকেন্স, ফ্র্যান্সিস ডিকেন্স, অ্যালফ্রেড ডি'অরসে টেনিসন ডিকেন্স, সিডনি স্মিথ হ্যালডিম্যান্ড ডিকেন্স, হেনরি ফিল্ডিং ডিকেন্স, ডোরা অ্যানি ডিকেন্স ও এডওয়ার্ড ডিকেন্স।

স্বাক্ষর

চার্লস জন হাফ্যাম ডিকেন্স (ইংরেজি: Charles John Huffam Dickens; জন্ম: ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮১২ – মৃত্যু: ৯ জুন, ১৮৭০)[১] ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক। তাকে ভিক্টোরিয়ান যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হিসেবে মনে করা হয়। ডিকেন্স জীবদ্দশাতেই তার পূর্বসূরি লেখকদের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। মৃত্যুর পরও তার জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ণ থাকে। তার প্রধান কারণ হচ্ছে, ডিকেন্স ইংরেজি সাহিত্যে প্রবাদপ্রতিম বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও চরিত্র সৃষ্টি করেছিলেন।[২]

তার অধিকাংশ রচনাই পত্র-পত্রিকায় মাসিক কিস্তিতে প্রকাশিত হত। এই পদ্ধতিতে রচনা প্রকাশকে জনপ্রিয় করে তোলার পিছনেও ডিকেন্সের কিছু অবদান আছে। অন্যান্য লেখকগণ ধারাবাহিক কিস্তি প্রকাশের আগেই উপন্যাস শেষ করতেন, কিন্তু ডিকেন্স কিস্তি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী অধ্যায়গুলি রচনা করে যেতেন। এই পদ্ধতিতে উপন্যাস রচনার ফলে তার উপন্যাসগুলির গল্পে একটি বিশেষ ছন্দ দেখা যেত। অধ্যায়গুলির শেষটুকু হত রহস্যময়, যার জন্য পাঠকেরা পরবর্তী কিস্তিটি পড়ার জন্য মুখিয়ে থাকত।[৩] তার গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাসগুলি এতই জনপ্রিয় যে এগুলি কখনই আউট-অফ-প্রিন্ট হয়ে যায়নি।[৪]

লিও টলস্টয়, জর্জ অরওয়েল, জি. কে. চেস্টারটন প্রমুখ লেখকবৃন্দ ডিকেন্সের রচনার বাস্তবতাবোধ, রসবোধ, গদ্যসৌকর্য, চরিত্রচিত্রণের দক্ষতা ও সমাজ-সংস্কার চেতনার উচ্চ প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে হেনরি জেমস, ভার্জিনিয়া উল্‌ফ প্রমুখ লেখকবৃন্দ ডিকেন্সের রচনার বিরুদ্ধে ভাবপ্রবণতা ও অবাস্তব কল্পনার অভিযোগ এনেছেন।[৫] সাহিত্যিক জীবনে তিনি অনেকগুলো বিখ্যাত উপন্যাস রচনা করে গিয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ডেভিড কপারফিলড, আ টেল অব টু সিটিজ, অলিভার টুইস্ট, দি ওল্ড কিউরিয়াসিটি শপ ইত্যাদি।

নির্বাচিত গ্রন্থাবলী[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Lansbury, Coral। "Dickens, Charles (1812-1870)"Australian Dictionary of Biography On Line Edition (ইংরেজি ভাষায়)। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-১৬ 
  2. "Victorian squalor and hi-tech gadgetry: Dickens World to open in England" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ মে ২০০৭ তারিখে, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২৩ মে ২০০৭।
  3. Stone, Harry. Dickens' Working Notes for His Novels. শিকাগো, ১৯৮৭.
  4. Swift, Simon. "What the Dickens?", দ্য গার্ডিয়ান, ১৮ এপ্রিল ২০০৭।
  5. Henry James, "Our Mutual Friend", দ্য নেশন, ২১ ডিসেম্বর ১৮৬৫।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

কাজ[সম্পাদনা]

সংস্থা ও পোর্টাল[সম্পাদনা]

জাদুঘর[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:চার্লস ডিকেন্স