গ্রন্থাগারের ইতিহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

গ্রন্থাগারের ইতিহাস সংগৃহীত নথিগুলিকে সাজানোর প্রাথমিক প্রচেষ্টা দিয়ে শুরু হয়েছিল। আগ্রহের বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে সংগ্রহের  অভিগম্যতা, বিষয়বস্তু সংগ্রহ , সরঞ্জাম সন্ধান এবং ব্যবস্থাপনা  , বইয়ের ব্যবসা , বিভিন্ন লেখার উপকরণগুলির ভৌতিক বৈশিষ্ট্যের প্রভাব, ভাষার বিতরণ, শিক্ষার উপর প্রভাব , স্বাক্ষরতার হার, বাজেট, কর্মী নিয়োগ , বিশেষ প্রকার পাঠকদের উদ্দেশ্যে নির্মিত গ্রন্থাগার ,  স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য , ব্যবহারের ধরন এবং কোনও রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে গ্রন্থাগারগুলির ভূমিকা এবং এ ব্যাপারে  সরকার, গির্জা বা ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষকদের ভূমিকা। ১৯৬০ এর দশক থেকে কম্পিউটারাইজেশন এবং ডিজিটাইজেশনের বিষয়গুলি উঠে এসেছে।

গ্রন্থাগারের ইতিহাস একটি অধ্যয়নের শাখা যেটি   গ্রন্থাগারের ইতিহাস বিষয় জানার জন্য নিবেদিত ; এটি ইতিহাস এবং গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের একটি উপক্ষেত্র।

প্রাচীন গ্রন্থাগারগুলি[সম্পাদনা]

আসুরবানিপালের গ্রন্থাগার থেকে পাওয়া গিলগামেশের মহাকাব্য সমৃদ্ধ মৃত্তিকা ফলক

আদিম গ্রন্থাগারগুলি লেখার প্রাথমিক ধরনগুলির  মহাফেজখানা ছিল - যেমন সুমের অঞ্চলের মন্দিরের কক্ষগুলিতে কিউনিফর্ম লিপিতে মাটির মৃত্তিকা ফলক পাওয়া গেছে ,[১][২] এর মধ্যে কিছু খ্রিস্টপূর্ব ২৬০০ বছরের পুরানো । [৩] প্রায় এক ইঞ্চি পুরু  মৃত্তিকা ফলকগুলি বিভিন্ন মাপ এবং আকারে নির্মিত । মাটির মতো কাদামাটিকে কাঠের কাঠামোয় স্থাপন করা হত , পৃষ্ঠতলটিকে লেখার জন্য মসৃণ করা হত এবং শুধুমাত্র স্যাঁতসেঁতে ভাব না আসা পর্যন্ত শুকতে দেওয়া হত । শিলালিপি খোদাই করার পর  সেটিকে রোদে শুকানো হত বা আরও মজবুতভাবে তৈরী করার জন্য  একটি চুল্লীতে  স্যাঁকা হত। সংরক্ষণ করার সময় মৃত্তিকা ফলকগুলিকে প্রান্ত বরাবর , পাশাপাশি রাখা হত , শিরোনাম দ্বারা বিষয়বস্তু বর্ণনা করে এমন প্রান্তে সজ্জিত করা হত যাতে    সহজেই দেখা যায়। প্রথম গ্রন্থাগারগুলি পাঁচ হাজার বছর আগে দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার উর্বর চন্দ্রকলা অঞ্চলে উদ্ভূত হয়েছিল, এটি এমন একটি অঞ্চল যা মেসোপটেমিয়া থেকে আফ্রিকার নীল নদ পর্যন্ত  বিস্তৃত ছিল। সভ্যতার জন্মস্থান হিসাবে পরিচিত , উর্বর চন্দ্রকলা অঞ্চলে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ এর কিছু আগে লেখার জন্ম হয়েছিল ( মারে , স্টুয়ার্ট এ. পি.) ।  এই মহাফেজখানাগুলি মূলত বাণিজ্যিক লেনদেন বা হিসাব নিকাশের ব্যাপার সম্পর্কিত  ছিল , যা প্রাগৈতিহাসিকের  শেষ এবং ইতিহাসের সূচনা নির্দেশ করে ৷ [৪][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Casson, Lionel (১১ আগস্ট ২০০২)। Libraries in the Ancient World বিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। Yale University Press। পৃষ্ঠা 3আইএসবিএন 0300097212। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১২ 
  2. Krasner-Khait, Barbara (২০১০)। "Survivor: The History of the Library"History Magazine। ২১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১২ 
  3. Maclay, Kathleen (৬ মে ২০০৩)। "Clay cuneiform tablets from ancient Mesopotamia to be placed online"University of California, Berkeley। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১২ 
  4. Renfrew, Colin (2008) Prehistory The Making of the Human Mind, New York: Modern Library.
  5. Roberts, John Morris (১৯৯৭)। A Short History of the World । Oxford University Press। পৃষ্ঠা 35। আইএসবিএন 9780195115048। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১২