শেখ গোলাম মাকসুদ হিলালী

গোলাম মকসুদ হিলালী
গোলাম মকসুদ হিলালী
জন্ম	৩০ নভেম্বর ১৯০০; সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু	১৭ ডিসেম্বর ১৯৬১; রাজশাহী, পূর্ব পাকিস্তান
পেশা	অধ্যাপনা
পরিচিতির কারণ	সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ

ডঃ শেখ গোলাম মকসুদ হিলালী (৩০ নভেম্বর ১৯০০ - ১৭ ডিসেম্বর ১৯৬১) হলেন একজন সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও ভাষাবিদ।^[১] বাংলা, ইংরেজি, আরবি, ফারসিসহ প্রায় ১৮টি ভাষায় তিনি ব্যুৎপন্ন ছিলেন।^[২]

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি

মকসুদ ১৯০০ সালের ৩০ নভেম্বর^[৩] তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সিরাজগঞ্জের ফুলবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।^[২]

শিক্ষাজীবন

হিলালী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৪ সালে ফারসিতে ও ১৯৩২ সালে আরবিতে এমএ এবং ১৯২৭ সালে আইন বিষয়ে সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন।^[১] ১৯৪৯ সালে তিনি ‘ইরান ও ইসলাম: তাদের পারস্পরিক প্রভাব’ সম্পর্কিত গবেষণার জন্যে ডিফিল ডিগ্রি লাভ করেন।^[২]

কর্মজীবন

গোলাম মকসুদ টাঙ্গাইল জেলার করটিয়া কলেজে ফারসি ভাষার অধ্যাপক (১৯২৬) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন; পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে কৃষ্ণনগর কলজ, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজ ও রাজশাহী কলেজে অধ্যাপনা করেন। মাঝে দু বছর (১৯২৮-১৯৩০) তিনি পাবনা জজ কোর্টে ওকালতি করেন। ১৯৪০-৪১ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্কুলসমূহের সহকারী পরিদর্শকের দায়িত্বও পালন করেন।^[৪]

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় তার বিশেষ অবদান রয়েছে^[৫] রাজশাহী কলেজে অধ্যাপনাকালে তিনি রাজশাহী বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের (১৯৫৭) কিউরেটর হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৭ সালের ৩০ নভেম্বর সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর তিনি সিরাজগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ (১৯৫৭-১৯৫৮) ও বাংলা একাডেমীর গবেষণাধ্যক্ষের (১৯৫৯) দায়িত্ব পালন করেন। বাংলা, ইংরেজি, আরবি, ফারসিসহ প্রায় ১৮টি ভাষায় তিনি ব্যুৎপন্ন ছিলেন।^[৬]

রচনাবলী

ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় রচিত তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:^[২]

হালিদা হানুম (১৯৩৩),
A Manual of Persian Grammar (১৯৩৪),
আল বেরুণী (১৯৩৭),
Islamic Attitude Towards Non-Muslims (১৯৫২),
হজরতের জীবননীতি (১৯৬৫),
Perso-Arabic Elements in Bengali (১৯৬৭) ও
Iran and Islam: Their Reciprocal Influence (গবেষণা প্রতিবেদন)।

সম্প্রতি বাংলা একাডেমী থেকে "হিলালী রচনাবলী" (২ খণ্ডে সমাপ্ত) প্রকাশিত হয়েছে।

মৃত্যু

তিনি ১৯৬১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।^[২]

আরও দেখুন

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর।

তথ্যসূত্র

1 2 "ভাষা ও সংস্কৃতি : সিরাজগঞ্জের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
1 2 3 4 5 তসিকুল ইসলাম (জানুয়ারি ২০০৩)। "হিলালী, গোলাম মকসুদ"। সিরাজুল ইসলাম (সম্পাদক)। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন ৯৮৪-৩২-০৫৭৬-৬। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
↑ "এই দিনে" (ওয়েব)। দৈনিক আজাদী। চট্টগ্রাম। ৩০ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}
↑ "হিলালী, গোলাম মকসুদ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৫।
↑ "বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর"। ট্রাভেল নিউজ। ২৭ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
↑ "হিলালী, গোলাম মকসুদ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৫।

বহিঃসংযোগ

হিলালী, গোলাম মকসুদ - বাংলাপিডিয়া সাইটে।

[তবা১-1] 1 2 "ভাষা ও সংস্কৃতি : সিরাজগঞ্জের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।

[বাপি১-2] 1 2 3 4 5 তসিকুল ইসলাম (জানুয়ারি ২০০৩)। "হিলালী, গোলাম মকসুদ"। সিরাজুল ইসলাম (সম্পাদক)। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন ৯৮৪-৩২-০৫৭৬-৬। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।

[দৈআ-3] "এই দিনে" (ওয়েব)। দৈনিক আজাদী। চট্টগ্রাম। ৩০ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}

[4] "হিলালী, গোলাম মকসুদ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৫।

[টিনি-5] "বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর"। ট্রাভেল নিউজ। ২৭ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।

[6] "হিলালী, গোলাম মকসুদ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৫।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]