শেখ গোলাম মাকসুদ হিলালী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শেখ গোলাম মাকসুদ হিলালী বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক। তার জন্ম সিরাজগঞ্জের ফুলবাড়িতে, ১৯০০ সালের ৩০ নভেম্বরে। ১৯১৮ সালে সিরাজগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৪ সালে ফার্সিতে এবং ১৯৩২ সালে আরবিতে এমএ পরীক্ষায় যথাক্রমে প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় এবং দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক পান। ১৯৪৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. ফিল ডিগ্রি লাভ করেন। গবেষণার বিষয় ছিল "ইরান ও ইসলামের পারস্পরিক প্রভাব"। ১৯২৬ সালে টাঙ্গাইলের করটিয়া কলেজে ফার্সি সাহিত্যের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। পাবনা জজকোর্টে দুই বছর আইন ব্যবসা (১৯২৮-১৯৩০) করার পর করটিয়া কলেজে অধ্যাপনার পেশায় যোগদান করেন। ১৯৩৪-১৯৩৭ সালে কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজে ও কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে, ১৯৩৭-১৯৩৯ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে এবং ১৯৩৯-১৯৪০ সালে আবার প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪০-১৯৪১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্কুলগুলোয় সহকারী পরিদর্শক ছিলেন। ১৯৪১-১৯৪৩ সাল পর্যন্ত  চট্টগ্রাম কলেজে, ১৯৪৩-১৯৫৬ সাল পর্যন্ত রাজশাহী সরকারি কলেজে প্রফেসর ছিলেন। বেশ কিছুকাল বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়ামের কিউরেটর ছিলেন। ১৯৫৭ সালের ৩০ নভেম্বর সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর ১৯৫৭-১৯৫৮ সালে সিরাজগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৫৯ সালে বাংলা একাডেমীতে গবেষণাধ্যক্ষের পদে যোগদান করেন। স্বাস্থ্যগত কারনে ওই বছরই একাডেমির চাকরিতে ইস্তফা দেন এবং সিরাজগঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষের পদে যোগদান করেন। বাংলা ও ইংরেজি সহ ১৮টি ভাষা জানতেন।

সঙ্গীতানুরাগী, মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ ও নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী গোলাম মকসূদ হিলালী ছিলেন একনিষ্ঠ ধার্মিক। বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ইসলামি জীবন ও প্রজ্ঞার প্রসার সম্পর্কে গবেষণা করেছেন।

১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে মৃত্যুবরণ করেন এই মহান ব্যক্তিত্ব।

প্রকাশিত গ্রন্থ[সম্পাদনা]

  • হালিদা হানুম (১৯৩৩),
  • আলবেরুনী (১৯৩৭),
  • অ্যা ম্যানুয়েল অব পার্সিয়ান গ্রামার (ফার্সি ভাষার ব্যাকরণ, ১৯৩৪),
  • আশের-ই-তার-আন বা পার্সিয়ান ভার্সেস ও রানতারাম মুখার্জি (অনুবাদ, ১৯৩৮),
  • ইসলাম’স অ্যাটিচুড টুয়ার্ডস নন-মুসলিমস (ইসলাম আদর্শ সংবলিত, ১৯৫২), হজরতের জীবন-নীতি (ধর্মীয় দর্শন, ১৯৬৫),
  • পার্সো-অ্যারাবিক এলিমেন্টস ইন বেঙ্গলি (শাব্দিক অভিধান, ১৯৬৭),
  • ইরান অ্যান্ড ইসলাম : দেয়ার রেসিপ্রোক্যাল ইনফ্লুয়েন্স (অভিসন্দর্ভ, ১৯৬৩-তে এশিয়াটিক সোসাইটি জার্নালে প্রকাশিত),
  • হিলালী রচনাবলী (১ম খণ্ড, ১৯৮১)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]