গামারি
গামারি Gmelina arborea | |
---|---|
![]() | |
Gmelina arborea tree plantation | |
![]() | |
Gmelina arborea sapling from Mindanao, Philippines | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
(শ্রেণীবিহীন): | Angiosperms |
(শ্রেণীবিহীন): | Eudicots |
(শ্রেণীবিহীন): | Asterids |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Lamiaceae |
গণ: | Gmelina |
প্রজাতি: | G. arborea |
দ্বিপদী নাম | |
Gmelina arborea Roxb. | |
প্রতিশব্দ | |
|
গামারি বৈজ্ঞানিক নাম Gmelina arborea (ইংরেজি: Chandahar Tree, Cashmere Tree, Comb Teak, White Teak ইত্যাদি) পরিবার Lamiaceae।এছাড়াও বাংলা নাম গামার, গাম্বার। আদিবাসি নাম হিসাবে গাম্ভার, বল-কোবাক(গারো), রামানি (মগ), রেমেনিবা (মারমা), গামারি গাছ (তঞ্চঙ্গা), আব্বেই(খুমি)। গামারি-ফঙ(মান্দি)বলা হয়।
পরিচ্ছেদসমূহ
বিবরণী[সম্পাদনা]
গামারি সবুজ ও ঘন বিশিষ্ট একটি বৃক্ষ। ভারতবর্ষের গাছ। এই গাছের অনেক আয়ুর্বেদ গুণ আছে।
বৃক্ষ বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]
গামারি একটি দ্রুত বর্ধনশীল গাছ। লম্বা গড়নে ১৫ থেকে ২০ মিটার উঁচু হয়। পত্রমোচী গাছ, প্রশাখা ও কুঁড়ি রোমশ। বাকল সাদাটে। পাতা তাম্বুলাকৃতি, ১০ থেকে ২০ সেমি লম্বা। উপরে উজ্জ্বল সবুজ,নিচে পান্ডুর,বোটা ৬ থেকে ১০ সেমি লম্বা। শীতে পাতা ঝরে। এটি অত্যধিক খরা সহনশীল।[২]
ভৌগলিক অবস্থা[সম্পাদনা]
বাংলাদেশসহ দক্ষিণপুর্ব এশিয়ায় জন্মে। ভারতের আসাম, দক্ষিণ বিহার, উড়িষ্যা, ও পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় এ গাছ হয়।
ফুল[সম্পাদনা]
বসন্ত কালে পাতাহীন ডালে ডালে দেখা যায় গাঢ় হলুদ বরণ ফুল।ফুলের অনেক মিষ্টি গন্ধ, ফুল ৩ থেকে ৩.৫ সেমি লম্বা, ২ ভাগে বিভক্ত। এর পুষ্পমধু ভোমরাদের খুবই প্রিয়।[২]
ফল[সম্পাদনা]
গামারির ফল দেখতে গোলাকার। ৩ সেমি চওড়া, শাঁসাল, পাকলে হালকা হলুদ হয়।
ঔষধি ব্যবহার[সম্পাদনা]
এটি ঔষধিসমৃদ্ধ এক ভেষজ উদ্ভিদ।
- কটুতিক্ত রস, গুরুপাক, উষ্ণবীর্য, কফ ও ত্রিদোষনাশক, বিষদোষ দাহ, জ্বর তৃষ্ণা ও রক্তদোষনাশক।
- এর ছাল ও কাঠে আছে অনেক তিক্ত পদার্থ ও স্থেরোল।
- পাতার রসে আছে জীবাণুনাশক শক্তি।
- গণোরিয়া ও বেশ কিছু চর্মরোগে ব্যবহার করা হয়।
- শিকড় কৃমিনাশক ও কুষ্ঠরোগে উপকারী।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ http://www.theplantlist.org/tpl/record/kew-91180
- ↑ ক খ দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে ১৯৮৮; পৃষ্ঠা- ২২, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭