গাঙ্গেয় পটকা
গাঙ্গেয় পটকা Chelonodon patoca | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
উপপর্ব: | Vertebrata |
মহাশ্রেণী: | Osteichthyes |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Tetraodontiformes |
পরিবার: | Tetraodontidae |
গণ: | Chelonodon |
প্রজাতি: | Chelonodon patoca |
দ্বিপদী নাম | |
Chelonodon patoca (Hamilton, 1822) | |
প্রতিশব্দ | |
Chelonodon kappa (Bleeker, 1852)[১] |
গাঙ্গেয় পটকা (বৈজ্ঞানিক নাম: Chelonodon patoca) (ইংরেজি: Gangetic Pufferfish) হচ্ছে Tetraodontidae পরিবারের চেলোন্ডন গণের একটি স্বাদুপানির মাছ।
বর্ণনা
[সম্পাদনা]দেহ চোঙাকৃতির, লেজ সরু, মাথা ও পৃষ্ঠদেশ প্রশস্ত, মুখছিদ্র কিছুটা উপরের দিকে অবস্থান করে। পৃষ্ঠ পাখনার গোড়া পর্যন্ত প্রসারিত এবং বক্ষ-পাখনার গোড়ার সমান উচ্চতা বিশিষ্ট । শ্রোণী পাখনা অনুপস্থিত। পৃষ্ঠ পাখনা দেহের বেশ পিছন থেকে শুরু হয়, কিছুটা পায়ুপাখনার উৎপত্তির সম্মুখভাগ হতে আরম্ভ হয়। পৃষ্ঠ পাখনার উৎপত্তিস্থল ও পুচ্ছ পাখনার গোড়ার মধ্যবর্তী দূরত্ব নাসারন্ধ থেকে পৃষ্ঠ পাখনার উৎপত্তির মধ্যবর্তী দূরত্বের অর্ধেক। পুচ্ছ পাখনা পিরামিডাকার দেহের উপরিভাগ কালো বা বাদামী বর্ণের এবং অসংখ্য ডিম্বাকার বা গোলাকার দাগযুক্ত।[৪]
স্বভাব এবং আবাসস্থল
[সম্পাদনা]সর্বভূক প্রজাতি মাছ এবং সমুদ্র হতে লোনাপানিতে অভিপ্ৰায়ন করে। এটি সাধারণত স্বাদুপানির মাছ নয়, বস্তুত মাঝে মাঝে ঈষৎ লোনাপানিতে যায় । সাধারণত নদীর মুখে, ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের মোহনায় ঈষৎ লোনাপানিতে এবং মাঝে মাঝে স্বাদুপানির নদীতে দেখা যায়, কিন্তু সমুদ্র হতে কয়েক কিলোমিটার এর মধ্যে কখনও দেখা যায় না ।[৪]
বিস্তৃতি
[সম্পাদনা]এ মাছ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। ইন্দো-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এ সচরাচর পাওয়া যায়।[৪]
অর্থনৈতিক গুরুত্ব
[সম্পাদনা]বাণিজ্যিকভাবে এর গুরুত্ব খুবই কম। এটি অখাদ্য হিসাবে বিবেচিত। উপকূলীয় এলাকায় এ মাছ খাবার কারণে মানুষের মৃত্যু হয়।[৪]
বাস্তুতান্ত্রিক ভুমিকা
[সম্পাদনা]ঈষৎ লোনাপানিতে পাওয়া যায়। স্বাদু ও লোনা উভয় পানিতে এরা থাকতে পারে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হয়। এরা শান্ত প্রকৃতির মাছ।[৪]
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ
[সম্পাদনা]আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়।[৪]
মন্তব্য
[সম্পাদনা]বাংলাদেশে এ মাছের সর্ব্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২১ সেমি পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে।[৪]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Weber, M. and L.F. De Beaufort (1962) The fishes of the Indo-Australian Archipelago. XI. Scleroparei, Hypostomides, Pediculati, Plectognathi, Opisthomi, Discocephali, Xenopterygii., A.J. Reprints Agency, New Delhi, India. 481 p.
- ↑ Munro, I.S.R. (1967) The fishes of New Guinea., Department of Agriculture, Stock and Fisheries, Port Moresby, New Guinea. 651 p.
- ↑ ক খ Talwar, P.K. and A.G. Jhingran (1991) Inland fishes of India and adjacent countries. Volume 2., A.A. Balkema, Rotterdam.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ এ কে আতাউর রহমান, গাউছিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩০৪–৩০৫। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)।