খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ
পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৭০ – ১৯৭১
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৩৬
খন্দকার বাড়ি, নন্দীবাড়ি, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
মৃত্যু২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
খন্দকার বাড়ি, নন্দীবাড়ি, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীসুরাইয়া মালেক
সন্তান২ ছেলে
পিতামাতাখন্দকার আবদুল মান্নান (পিতা),

কে, এন, খানম (মাতা)

খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ (১৯৩৬- ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১) বাংলদেশের ময়মনসিংহ জেলার রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাংবাদিক। তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ছিলেন।[১][২][৩]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

খন্দকার আবদুল মালেক শহীদুল্লাহ ১৯৩৬ সালে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার নন্দীবাড়ির খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খন্দকার আবদুল মান্নান চিকিৎসক ছিলেন। মাতা কে, এন, খানম। তার স্ত্রী সুরাইয়া মালেক, এই দম্পতীর ২ ছেলে খোন্দকার মাহমুদ-উল মালেক ও খোন্দকার মনজুর মালেক।[২][১]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

খোন্দকার আব্দুল মালেক ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় ময়মনসিংহের তৎকালীন মহকুমা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ কো-অপারেটিভ স্কুলের ছাত্রদের সঙ্গে ভাষা আন্দোলনের মিছিলে যোগ দেন নবম শ্রেণির কিশোর। তার বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় হলেও বাবার সরকারি চাকরির কারণে ওই স্কুলে পড়তেন তিনি। আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় স্কুল থেকে হয়েছিলেন বরখাস্ত।[৪][৫]

তিনি ১৯৫৩ সালে মুক্তাগাছায় শাসনতন্ত্র প্রতিরোধ কমিটির যুগ্মসম্পাদ ছিলেন। ১৯৫৬ সালে মুক্তাগাছা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩]

তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদসহ কয়েকটি পত্রিকার মুক্তাগাছা প্রতিনিধি ছিলেন।[৩]

১৯৬৪ সালে মুক্তাগাছা পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হন।[৬]

১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৬][২][১]

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আসামের গৌহাটি থেকে 'মুক্তি'নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা ইবনে আদম ছদ্মনামে বের করতেন।[৬][২][১]

তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সালে পর্যন্ত মুক্তাগাছা পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে বিকেল ৩টায় য়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার নন্দীবাড়ির নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে মৃত্যুবরণ করেন।[২][১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. প্রতিনিধি, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ (২ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "ভাষাসৈনিক খোন্দকার আব্দুল মালেক আর নেই"দৈনিক সমকাল। ২৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২৩ 
  2. ময়মনসিংহ, জেলা প্রতিনিধি (২ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "ভাষাসৈনিক খোন্দকার আব্দুল মালেক আর নেই"জাগোনিউজ২৪.কম। ২৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২৩ 
  3. মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি (১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "মানুষ দেখলে শুধু কাঁদেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবদুল মালেক"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২০ 
  4. মাহমুদুল হাসান মিলন (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "ভাষাসৈনিক আজ ভাষাহীন, অসহায়"রাইজিংবিডি.কম। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২০ 
  5. নিজস্ব প্রতিবেদক (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না ভাষা সৈনিক আব্দুল মালেক"চ্যানেল টুয়েন্টিফোর। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. অনলাইন ডেস্ক (৬ মার্চ ২০২০)। "ভাষা সৈনিক আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহর পাশে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২০