খসড়া:ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ বা ক্ষমতার বিচ্ছিন্নতা হলো রাষ্ট্র পরিচালনার এমন একটি পদ্ধতি যেখানে সরকারকে পৃথক, স্বাধীন ক্ষমতা এবং দায়িত্বসহ বিভিন্ন শাখায় ভাগ করা হয়। এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো একটি শাখার ক্ষমতা অন্য শাখার ক্ষমতার সঙ্গে সংঘর্ষে না যায়, এমন ব্যবস্থা করা। সাধারণত এই পদ্ধতিতে তিনটি শাখা থাকে, যাকে ট্রায়াস পলিটিকা মডেলও বলা হয়। এই তিনটি শাখা হলো:

  • বিধানসভা: আইন প্রণয়নকারী শাখা
  • কার্যনির্বাহী শাখা: আইন কার্যকর করার শাখা
  • বিচার বিভাগ: আইন ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের শাখা

এই পদ্ধতি একক রাজতন্ত্রের ক্ষমতার একত্রীকরণের বিপরীত, যেখানে একজন ব্যক্তিই সব ক্ষমতা ধারণ করে। তবে সংসদীয় ও আধা-রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থায়ও ক্ষমতার কিছুটা মিশ্রণ থাকতে পারে, বিশেষ করে কার্যনির্বাহী ও বিধানসভা শাখার মধ্যে।

ক্ষমতার বিচ্ছিন্নতার মূল উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন রোধ করা এবং ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিটি শাখা অন্য শাখাকে নজরে রাখে এবং কেউ যাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা অর্জন না করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা প্রদান করে। এটি সরকারকে আরও জবাবদিহি করে তোলে এবং জনগণের অধিকার রক্ষা করে।

ক্ষমতার বিচ্ছিন্নতা মডেলটি সরকারকে সীমিত করার জন্য সবসময় ব্যবহার করা হয় না। এটি প্রায়ই ভুলভাবে ট্রায়াস পলিটিকা নীতির সঙ্গে একই রকম বলে মনে করা হয়। যদিও ট্রায়াস পলিটিকা মডেলটি ক্ষমতার বিচ্ছিন্নতার একটি সাধারণ ধরন, তবে এমন কিছু সরকার আছে যেখানে তিনটির চেয়ে বেশি বা কম শাখা থাকতে পারে।