ক্লোরামফেনিকল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্লোরামফেনিকল
রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য
বাণিজ্যিক নামক্লোরোমাইসেটিন[১]
এএইচএফএস/
ড্রাগস.কম
মনোগ্রাফ
মেডলাইনপ্লাসa608008
লাইসেন্স উপাত্ত
গর্ভাবস্থার শ্রেণি
  • অস্ট্রে:
প্রয়োগের
স্থান
Topical (eye drops), by mouth, intravenous therapy (IV), intramuscular injection (IM)
এটিসি কোড
আইনি অবস্থা
আইনি অবস্থা
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত
জৈবপ্রাপ্যতা৭৫–৯০%
প্রোটিন বন্ধন৬০%
বিপাকযকৃত
বর্জন অর্ধ-জীবন১.৬–৩.৩ ঘন্টা
রেচনবৃক্ক (৫–১৫%), মল (৪%)
শনাক্তকারী
  • 2,2-dichloro-N-[(1R,2R)-1,3-dihydroxy-1-(4-nitrophenyl)propan-2-yl]acetamide[২]
সিএএস নম্বর
পাবকেম সিআইডি
ড্রাগব্যাংক
কেমস্পাইডার
ইউএনআইআই
কেইজিজি
সিএইচইবিআই
সিএইচইএমবিএল
পিডিবি লিগ্যান্ড
কমপটক্স ড্যাশবোর্ড (আইপিএ)
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড100.000.262 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য
সংকেতC11H12Cl2N2O5
মোলার ভর৩২৩.১৩ g·mol−১
থ্রিডি মডেল (জেএসমোল)
  • c1cc(ccc1[C@H]([C@@H](CO)NC(=O)C(Cl)Cl)O)[N+](=O)[O-]
  • InChI=1S/C11H12Cl2N2O5/c12-10(13)11(18)14-8(5-16)9(17)6-1-3-7(4-2-6)15(19)20/h1-4,8-10,16-17H,5H2,(H,14,18)/t8-,9-/m1/s1 YesY
  • Key:WIIZWVCIJKGZOK-RKDXNWHRSA-N YesY

ক্লোরামফেনিকল হলো একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা অনেকগুলি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য কার্যকর।[৩] এর মধ্যে কনজাংক্টিভাইটিসের চিকিৎসার জন্য চোখের মলম হিসাবে ক্লোরামফেনিকল ব্যবহৃত হয়।[৪] মুখের মাধ্যমে বা শিরায় ইনজেকশন দিয়ে, এটি মেনিনজাইটিস, প্লেগ, কলেরা এবং টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।[৩] মুখের মাধ্যমে বা ইনজেকশন দ্বারা এর ব্যবহার শুধুমাত্র তখনই সুপারিশ করা হয় যখন অন্য কোনো নিরাপদ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যায় না।[৩] চিকিৎসা চলাকালে প্রতি দুই দিনে রক্তে ওষুধের মাত্রা এবং রক্তকণিকার মাত্রা উভয়ই পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।[৩]

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অস্থি মজ্জা দমন, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া।[৩] অস্থি মজ্জা দমনের ফলে মৃত্যু হতে পারে।[৩] পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঝুঁকি কমাতে চিকিৎসার সময় যতটা সম্ভব কমানো উচিত।[৩] যাদের যকৃত বা বৃক্কে সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য কম ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।[৩] ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে গ্রে বেবি সিনড্রোম নামে পরিচিত একটি অবস্থা দেখা দিতে পারে যার ফলে পেট ফুলে যায় এবং নিম্ন রক্তচাপ হয়।[৩] গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এটির ব্যবহার সাধারণত সুপারিশ করা হয় না।[৫] ক্লোরামফেনিকল হল একটি ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক যা সাধারণত প্রোটিনের উৎপাদন বন্ধ করার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়।[৩]

১৯৪৭ সালে স্ট্রেপ্টোমাইসেস ভেনিজুয়েলা থেকে আলাদা করার পর এই অ্যান্টিবায়োটিকটি[৬] আবিষ্কৃত হয়। ১৯৪৯ সালে এর রাসায়নিক গঠন চিহ্নিত করা হয়েছিল। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রয়েছে[৭] এটি জেনেরিক ওষুধ হিসেবে পাওয়া যায়।[৩]

চিকিৎসায় ব্যবহার[সম্পাদনা]

ক্লোরামফেনিকলের মূল ব্যবহার ছিল টাইফয়েডের চিকিৎসায়, কিন্তু এখন প্রায় সার্বজনীন একাধিক ওষুধ-প্রতিরোধী সালমোনেলা টাইফির উপস্থিতিতে এটি খুব কমই ব্যবহৃত হয়।

নিম্ন-আয়ের দেশগুলিতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মেনিনজাইটিসের চিকিৎসার জন্য শুধুমাত্র ক্লোরামফেনিকলকে প্রথম সারির হিসাবে সুপারিশ করে না। তবে স্বীকৃতি দেয় যে যদি কোনও বিকল্প অ্যান্টিবায়োটিক না থাকে তবে এটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে।

গত দশকে ক্লোরামফেনিকলকে বহু ওষুধ-প্রতিরোধী গ্রাম পজিটিভ অণুজীবের কারণে (ভ্যানকোমাইসিন প্রতিরোধী এন্টারোকোকি সহ) পদ্ধতিগত সংক্রমণের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য একটি পুরানো এজেন্ট হিসাবে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। ইন ভিট্রো ডেটাতে ক্লোরামফেনিকল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ (> ৮০%) ভ্যানকোমাইসিন প্রতিরোধী ই. ফেসিয়াম স্ট্রিয়ানের বিরুদ্ধ কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

কার্যপদ্ধতি[সম্পাদনা]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Woods, Adrienne L. (২০০৮)। Delmar nurse's drug handbook. (2009 সংস্করণ)। Clifton Park, N.Y.: Delmar। পৃষ্ঠা 296। আইএসবিএন 9781428361065। ২০১৬-০৩-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "Chloramphenicol"। PubChem। ২০১৬-১১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "Chloramphenicol"। The American Society of Health-System Pharmacists। ২০১৫-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১, ২০১৫ 
  4. Edwards, Keith H. (২০০৯)। Optometry: Science, Techniques and Clinical Management (ইংরেজি ভাষায়)। Elsevier Health Sciences। পৃষ্ঠা 102। আইএসবিএন 978-0750687782। ২০১৭-০৩-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. "Chloramphenicol Pregnancy and Breastfeeding Warnings"Multum Information Services। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৫ 
  6. Pongs, O. (১৯৭৯)। "Chapter 3: Chloramphenicol"। Mechanism of Action of Antibacterial Agents। Antibiotics Volume V Part 1। Springer Berlin Heidelberg। পৃষ্ঠা 26–42। আইএসবিএন 978-3-642-46403-4 
  7. World Health Organization (২০১৯)। World Health Organization model list of essential medicines: 21st list 2019। World Health Organization। WHO/MVP/EMP/IAU/2019.06. License: CC BY-NC-SA 3.0 IGO।  |hdl-সংগ্রহ= এর |hdl= প্রয়োজন (সাহায্য)