কোহরাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোহরাম
কোহরাম চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকমেহুল কুমার
প্রযোজকঅমিতাব বচ্চন কর্পোরেশন[১]
রচয়িতাইকবাল দুরানি
ভাষাহিন্দী

কোহরাম ১৯৯৯ সালের মেহুল কুমার পরিচালিত ভারতীয় হিন্দি অ্যাকশন চলচ্চিত্র । [২] এতে প্রধান চরিত্রে অমিতাভ বচ্চন, নানা পাটেকর, ড্যানি ডেনজংপা এবং তাবু অভিনয় করেছেন, জয়া প্রধা, জ্যাকি শ্রফ এবং অন্যান্য সহায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

পটভূমি[সম্পাদনা]

গল্পটি একটি সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুর সঙ্গে শুরু হয়, কর্নেল বলবীর সিং সোধা (বচ্চন) কে এই বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয় এবং তিনি আবিষ্কার করেন যে মন্ত্রী বীরভদ্র সিং (ড্যানি ডেনজংপা) এই ষড়যন্ত্রে জড়িত। কর্নেল সোধি চেংগিজিকে হত্যার চেষ্টা করেন ও ব্যর্থ হন। লোকে জানে সোধি মারা গেছেন। তিনি মুম্বইয়ের দাদাভাই/দেবরাজ হাতোদা ছদ্মনাম নিয়ে বসবাস শুরু করেন। মেজর অজিত আর্যকে (পাটেকর) একজন বাঙালি সাংবাদিকের ছদ্মবেশে দাদাভাই/দেবরাজ হাতোদার সত্য পরিচয় জানতে প্রেরণ করা হয়। আর্য সমস্ত ঘটনা জানার পরে, কর্নেল সোধির সাথে যোগ দেন ও সাথে মন্ত্রীকে বিচারের সামনে আনতে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি খতম করতে চান। মেজর অজিত আর্যের প্রেমিকা যিনি একজন পুলিশ অফিসার, তাদেরকে সহায়তা করেন। [৩]

অভিনয়ে[সম্পাদনা]

সঙ্গীত[সম্পাদনা]

  1. "জে মাতা দে হি আম্বে বলিহারী" - সঞ্জীবনী
  2. "পালাকন কো কলম বানা কে, তো মেরা নাম না" - আলকা ইয়াজনিক, হরিহরণ
  3. "সাতানাম ওয়াহেগুরু, বাবা নানক দুখিয়ান দে নাথ ভী" - কিশানপাল সিং
  4. "জানেমান জানেমান লাদাকি খুব নম্বর ওয়ান" - উদিত নারায়ণ, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি
  5. "পাগল হুয়া হুয়া হুয়া" - শঙ্কর মহাদেবন, জসপিন্দর নারুলা
  6. "ইক মাশুকা হ্যায় যে জিন্দেগী তুম হো ইসপে শাইদা" - সুদেশ ভোঁসলে, অমিত কুমার
  7. "লাদাকী লাদাকী খুব ভোট লাদাকি" - আলকা ইয়াগনিক, অভিজিৎ
  8. "হাম হাই বানারস কে ভায়া" - সুदेश ভোঁসলে, অমিত কুমার

নির্মাণ[সম্পাদনা]

মৃত্যুদাতা (১৯৯৯) ছবিটি বক্স অফিসে ফ্লপ হওয়ার পরে পরিচালক মেহুল কুমার অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে আরও একটি ছবি বানাতে চেয়েছিলেন। এই দুটি ছবিই প্রযোজনা করেছে অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন। এই যখন তিনি কোহরামের জন্য ধারণা নিয়ে এসেছিলেন,[৪] তখন ঘোষিত মুল অভিনয় শিল্পী হিসেবে ডিম্পল কাপাডিয়া, আরশাদ ওয়ারসি এবং কারিশমা কাপুরকে নিয়েছিলেন। এবং শিরোনাম দিয়েছিলেন "আয়ে ওয়াতনে তেরে লিয়"। তবে পরে তা বাতিল হয়ে যায় এবং এই চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছিল। প্রাথম দিকে নানা পাটেকর, মেহুল কুমারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তবে পরে ছবিটি করতে রাজি হন। প্রথমদিকে ছবিটি ১৩ আগস্ট মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও তারপরে মেহুল কুমার এটিকে ৬ আগস্টে মুক্তি দিয়েছিলেন। [৫]

সমালোচকদের অভ্যর্থনা[সম্পাদনা]

কোহরাম মিশ্র পর্যালোচনা পেয়েছিলেন তবে কুমার আগের ছবি মৃত্যুদাতার চেয়ে ভাল পেয়েছিলেন। যদিও রোটেন টমেটোতে মাত্র ১৬% ব্যবহারকারী এটি পছন্দ করেছেন,[৬] সমালোচক অজয় চতুর্বেদী এটিকে গড় চলচ্চিত্র বলে অভিহিত করেছেন। [৭] তিনি বলেছিলেন যে প্রথমার্ধটি ভাল থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধটি জোর করে সম্পাদিত হয়, তবে ছবিটি নানা পাটেকর ভক্তদের জন্য একটি ট্রিট। ছবিতে তাবুর অভিনয়ের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

বক্স অফিস[সম্পাদনা]

কোহরাম বক্স অফিসে ১৩৩ মিলিয়ন আয় করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটির সংগ্রহ ছিল $৭০,২৫৭। এটি একটি গড় পারফর্মার হিসাবে ঘোষিত হয়েছিল এবং অভ্যন্তরীণ এবং উপগ্রহ টেলিভিশনে ভাল আয় করেছিল। [৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bollyspice article
  2. Siddiqui, Rana (২৫ মে ২০০৭)। "Tabu returns, and how!"The Hindu। ২৭ মে ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ 
  3. "Friday Moviez review"। ১২ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১২ 
  4. IMDB trivia
  5. Rediff News
  6. Rotten Tomatoes review
  7. Ajay Chaturvdedi's review on Apunkachoice.com
  8. Box office collections at Ibos[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]