কোরুদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোরুদ

কোরুদ একটি পাম জাতীয় উদ্ভিদ যা চট্টগ্রাম, রাঙামাটি (কাসালং), এবং সিলেটের গহীন বনে জন্মে থাকে।[১][২] কোরুদ। এর আরেক নাম কুরকুটি।[৩]

পরিচিতি[সম্পাদনা]

এর বৈজ্ঞানিক নাম Licula peltata Roxb। গোত্র Arecaceae[৪][২] এটি ছোট আকৃতির গুপ্তবীজী উদ্ভিদ ও চিরসবুজ দলবদ্ধ পামজাতীয় গাছ। সাধারণত লম্বায় ২-৩ মিটার এবং কাণ্ড ১৫ সেমি ব্যাসবিশিষ্ট হয়ে থাকে। পত্রবৃন্ত প্রায় ১.৫ সেমি লম্বা ও পত্র ফলক প্রায় গোলাকৃতির।[১][৩]

অঞ্চল[সম্পাদনা]

এটি মিশ্র প্রকৃতির বনে আর্দ্র ছায়াযুক্ত স্থানে জন্মে। চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও সিলেটের গহিন জঙ্গলে বিলুপ্তপ্রায় এ উদ্ভিদটি পাওয়া যায়।। বাংলাদেশের বাইরে মায়ানমার এবং ভারতের বিহার, মণিপুর, ত্রিপুরা, নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে পাওয়া যায়।[১] তবে অতি আহরণ এবং বসতি ধ্বংসের ফলে বর্তমানে কোরুদ বাংলাদেশে দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের Red Data Book (২০০১)-এর তথ্য অনুযায়ী কোরুদ গাছ অন্যতম শঙ্কাকুল প্রজাতি।[৩]

ব্যবহার[সম্পাদনা]

এর পাতা দিয়ে এক রকম ঝাঁপি বা ছাতা তৈরি করা হয় এবং ঘরের ছাউনি দেওয়া হয়। এর মূল ঐতিহ্যবাহী মূত্রবর্ধক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৩][১]

পরিশিষ্ট[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. উচ্চমাধ্যমিক জীববিজ্ঞান (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি): ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান
  2. "দুষপ্রাপ্য কোরুদ | আয়োজন | The Daily Ittefaq"archive1.ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "কোরুদ | বাংলাদেশ প্রতিদিন"Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০১ 
  4. "বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০১