কেন্টাকি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়

স্থানাঙ্ক: ৩৮°১২′০০″ উত্তর ৮৪°৫১′৩০″ পশ্চিম / ৩৮.২০০০০° উত্তর ৮৪.৮৫৮৩৩° পশ্চিম / 38.20000; -84.85833
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেন্টাকি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়
লাতিন: Statum Universitas Kentuckiensis
প্রাক্তন নাম
স্টেট নর্মাল স্কুল ফর কালারড পারসন্স (১৮৮৬-১৯০২)
কেন্টাকি নর্মাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনস্টিটিউট ফর কালারড পারসন্স (১৯০২-১৯২৬)
কেন্টাকি স্টেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনস্টিটিউট ফর কালারড পারসন্স (১৯২৬-১৯৩৮)
কেন্টাকি স্টেট কলেজ ফর নিগ্রোস (১৯৩৮-১৯৫২)
কেন্টাকি স্টেট কলেজ (১৯৫২-১৯৭২)
নীতিবাক্য"Onward, Upward."
ধরনসরকারি ঐতিহাসিক কৃষ্ণাঙ্গ জমি অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত১৮৮৬; ১৩৮ বছর আগে (1886)[১]
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
স্পেস-গ্র্যান্ট
সভাপতিরোনাল্ড এ. জনসন (অন্তর্বর্তীকালীন)
প্রাধ্যক্ষমাইকেল ডেইলি (অন্তর্বর্তীকালীন)
শিক্ষার্থী২,২২০ (বসন্ত ২০২০)[২]
অবস্থান, ,
৩৮°১২′০০″ উত্তর ৮৪°৫১′৩০″ পশ্চিম / ৩৮.২০০০০° উত্তর ৮৪.৮৫৮৩৩° পশ্চিম / 38.20000; -84.85833
শিক্ষাঙ্গন৯১৫ একর (৩.৭০ কিমি)
পোশাকের রঙকেলি সবুজ ও হালকা সোনালি
         
সংক্ষিপ্ত নামথরোব্রেডস অ্যান্ড থরোব্রেটস
ক্রীড়ার অধিভুক্তি
এনসিএএ ডিভিশন টু - এসআইএসি
ওয়েবসাইটwww.kysu.edu
মানচিত্র

কেন্টাকি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের ফ্রাঙ্কফোর্টের অবস্থিত সরকারি ঐতিহ্যবাহী কৃষাঙ্গ জমি অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮৬ সালে স্টেট নর্মাল স্কুল ফর কালারড পারসন্স নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটিকে ১৮৯০ সালে জমি-অনুদানপ্রাপ্ত কলেজে পরিণত করা হয়। এটি কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর কেন্টাকিতে প্রতিষ্ঠিত দ্বিতীয় প্রাচীন অঙ্গরাজ্য-সমর্থিত প্রতিষ্ঠান।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৮৬ সালে ফ্রাঙ্কফোর্টের শতবর্ষ উৎযাপনকালে, শহরটি একটি নতুন কলেজ স্থাপনের জন্য ১,৫০০ মার্কিন ডলার অনুদান দেয়। ১৯৮৬ সালের মে মাসে স্টেট নর্মাল স্কুল ফর কালারড পারসন্স প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর কেন্টাকিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত দ্বিতীয় প্রাচীন অঙ্গরাজ্য-সমর্থিত প্রতিষ্ঠান।[১] ১৮৮৭ সালের ১১ই অক্টোবর জন এইচ. জ্যাকসনের সভাপতিত্বে ৩ জন শিক্ষক, ৫৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই নতুন প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়।[১] একই বছর এই কলেজের প্রথম স্থায়ী ভবন রিসাইটেশন হল (বর্তমানে জ্যাকসন হল) স্থাপিত হয়।

1898
১৮৯৮ সালে কলেজ প্রাঙ্গন
2020
২০২০ সালের প্রধান ফটক

কলেজটি ১৮৯০ সালে মরিল ল্যান্ড-গ্র্যান্ড আইন জারির পর জমি-অনুদানপ্রাপ্ত কলেজে পরিণত হয় এবং কারিকুলামে গার্হস্থ্য অর্থনীতি, কৃষিবিজ্ঞানবলবিজ্ঞান যোগ করা হয়।[১][৩] এই বছরের বসন্তে এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম বার ৫ জন শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ১৮৯৩ সালে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বিংশ শতাব্দী জুড়ে এই প্রতিষ্ঠানের নাম ও প্রোগ্রামের বিস্তৃতি চলতে থাকে। ১৯০২ সালে এই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় কেন্টাকি নর্মাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনস্টিটিউট ফর কালারড পারসন্স। ১৯২৬ সালে আবারও এর নাম পরিবর্তন করা হয় এবং নতুন নামকরণ করা হয় কেন্টাকি স্টেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনস্টিটিউট ফর কালারড পারসন্স।

১৯২৯ সালে সভাপতি রুফাস বি. অ্যাটউড উচ্চ বিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেন, কারণ তখন শিক্ষার্থীরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার জন্য কলেজে ভর্তি হতে শুরু করে।[৩] ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় কেন্টাকি স্টেট কলেজ ফর নিগ্রোস।[১] ১৯৫২ সালে "ফর নিগ্রোস" বাদ দেওয়া হয়।

কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন কৃষাঙ্গ শিক্ষার্থী প্রকৌশল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চাইলে এনএএসিপি মামলা করার হুমকি দিলে ১৯৪২ সালে এই প্রতিষ্ঠানে পুরকৌশল প্রোগ্রাম চালু করা হয়।[৪]

১৯৫৭ সালে "ফেসিং দ্য চ্যালেঞ্জ অব আ নিউ এজ" শীর্ষক স্নাতক সমাবর্তনে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।[৫][৬]

১৯৬০ সালে প্রথম শ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।[৩] ১৯৭২ সালে কেন্টাকি স্টেট কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় কেন্টাকি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়।[৩]

সভাপতি[সম্পাদনা]

  • জন হেনরি জ্যাকসন, ১৮৮৬-১৮৯৮[৭]
  • জেমস এডওয়ার্ড গিভেন্স, ১৮৯৮-১৯০০[৮]
  • জেমস শেল্টন হ্যাথাওয়ে, ১৯০০-১৯০৭
  • জন হেনরি জ্যাকসন, ১৯০৭-১৯১০
  • জেমস শেল্টন হ্যাথাওয়ে, ১৯১০-১৯১২
  • গ্রিন পিঙ্কনি রাসেল, ১৯১২-১৯২৩[৯]
  • ফ্রান্সিস ম্যারিয়ন উড, ১৯২৩-১৯২৪[১০]
  • গ্রিন পিঙ্কনি রাসেল, ১৯২৪-১৯২৯[৯]
  • রুফাস বি. অ্যাটউড, ১৯২৯-১৯৬২[১১]
  • কার্ল ম্যাক্লিলান হিল, ১৯৬২-১৯৭৫[১১]
  • উইলিয়াম এ. বাটস, ১৯৭৫-১৯৮২
  • রেমন্ড এম. বার্স, ১৯৮২-১৯৮৯[১২][১৩]
  • জন টি. উলফ জুনিয়র, ১৯৯০-১৯৯১[১৪][১৫]
  • ম্যারি এল. স্মিথ, ১৯৯১-১৯৯৮[১৬]
  • জর্জ ডাব্লিউ. রেইড, ১৯৯৮-২০০২
  • ম্যারি ইভান্স সিয়াস, ২০০৪-২০১৪
  • রেমন্ড এম. বার্স, ২০১৪-২০১৬
  • দ্বিতীয় এম. ক্রিস্টোফার ব্রাউন, ২০১৭-২০২১[১৭][১৮]
  • রোনাল্ড এ. জনসন, (অন্তর্বর্তীকালীন), ২০২২-বর্তমান[১৯]

শিক্ষাব্যবস্থা[সম্পাদনা]

শিক্ষার্থী ভর্তি - ২০১৯ [২]
ভর্তি
আফ্রিকান মার্কিন ৫১.০%
এশীয় মার্কিন ০.৭%
শ্বেতাঙ্গ মার্কিন ১০.৮%
হিস্পানিক মার্কিন ২.৩%
অন্যান্য ৩৫.১%
ভর্তির ইতিহাস
বছরজন.ব.প্র. ±%
২০০৬ ২,৫০০—    
২০০৭ ২,৬৯৬+৭.৮৪%
২০০৮ ২,৬৫৯−১.৩৭%
২০০৯ ২,৮৩৪+৬.৫৮%
২০১০ ২,৮৫১+০.৬%
২০১১ ২,৭৪৬−৩.৬৮%
২০১২ ২,৫২৪−৮.০৮%
২০১৩ ২,৫৩৩+০.৩৬%
২০১৪ ১,৮৯৫−২৫.১৯%
২০১৫ ১,৫৮৬−১৬.৩১%
২০১৬ ১,৭৩৬+৯.৪৬%
২০১৭ ১,৯২৬+১০.৯৪%
২০১৮ ১,৭৮১−৭.৫৩%
২০১৯ ২,১৭১+২১.৯%
২০২০ ২,২২০+২.২৬%

অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম তিনটি কলেজে বিভক্ত।[২০]

  • কলেজ অব অ্যাগ্রিকালচার, কমিউনিটি অ্যান্ড দ্য সায়েন্সেস
    • স্কুল অব অ্যাগ্রিকালচার, কমিউনিটিজ, অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্ট
    • স্কুল অব অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড অ্যাকুয়াটিক সায়েন্সেস
    • স্কুল অব সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স
    • স্কুল অব এডুকেশন, হিউম্যান ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার সায়েন্সেস
    • স্কুল অব নার্সিং
  • কলেজ অব হিউম্যানিটিজ, বিজনেস, অ্যান্ড সোসাইটি
    • স্কুল অব বিজনেস
    • স্কুল অব বিহেভিয়ারাল অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস
    • স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস
    • স্কুল অব সোশ্যাল ওয়ার্ক
    • স্কুল অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
    • স্কুল অব ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স
  • হুইটনি ইয়াং অনার্স কলেজিয়াম

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "History of Kentucky State University"। কেন্টাকি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  2. "Enrollment Data - Ky. Council on Postsecondary Education"Kentucky Council on Postsecondary Education। ২৩ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  3. কাবিয়াও, হাওয়ার্ড (জানুয়ারি ৫, ২০১১)। "Kentucky State University (1886- )"ব্ল্যাকপাস্ট.ওআরজি 
  4. "Key Events in Black Higher Education"। ২০১১-০৯-২২। 
  5. "King delivers "Facing the Challenge of a New Age" at Kentucky State College graduation ceremony"কিং এনসাইক্লোপিডিয়াস্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় | Martin Luther King, Jr. Research and Education Institute। ১৯৫৭-০৬-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৯ 
  6. "The Day Pastor King came 'blowin' in the wind'"ফ্র্যাঙ্ক। নং 124। ২০১৮-০১-১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  7. "Library Homepage: Jackson, John Henry"Hutchins Library, Berea College (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  8. "Past Presidents"কেন্টাকি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  9. A History of Blacks in Kentucky: In Pursuit of Equality, 1890–1980 (ইংরেজি ভাষায়)। ইউনিভার্সিটি প্রেস অব কেন্টাকি। ১৯৯২-০১-০১। পৃষ্ঠা 129–130। আইএসবিএন 978-0-916968-21-2 
  10. "E.C. Lynch Offers B.C.C. Scholarship"দ্য বাল্টিমোর সান। Baltimore, Maryland। ১৯২৫-০৭-১০। পৃষ্ঠা 26। আইএসএসএন 1930-8965। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  11. স্মিথ, জেরাল্ড এল. (১৯৯৪)। A Black Educator in the Segregated South: Kentucky's Rufus B. Atwood। Lexington, KY: ইউনিভার্সিটি প্রেস অব কেন্টাকি। পৃষ্ঠা 176–177। আইএসবিএন 9780813118567 
  12. "KSU dean suspended after accusing superior of writing racist memo"দ্য কুরিয়ার-জার্নাল। অক্টোবর ৩১, ১৯৮৮। পৃষ্ঠা 7। 
  13. লুক, জেমি (নভেম্বর ১৮, ১৯৮৮)। "'Disgusted' Burse will leave KSU"লেক্সিংটন হেরাল্ড-লিডার। পৃষ্ঠা 9। 
  14. "President chosen"দ্য মেসেঞ্জার। মার্চ ১০, ১৯৯০। পৃষ্ঠা 3। 
  15. গ্রেগরি, এরিক (অক্টোবর ৮, ১৯৯১)। "KSU regents charge Wolfe with 9 counts of misconduct"মেসেঞ্জার-ইনকোয়ারার। পৃষ্ঠা 13। 
  16. আউলবাক, লুকাস (নভেম্বর ৩০, ২০২০)। "Mary L. Smith, first woman to lead Kentucky State University, dies"দ্য কুরিয়ার-টাইমস। পৃষ্ঠা 5। 
  17. হর্ন, অস্টিন। "Former KSU president charged $73,000 on university credit card for trips in US, abroad"দ্য কুরিয়ার-জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  18. "Brown resigns as president of Kentucky State University"কেন্টাকি টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। অক্টোবর ৬, ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  19. "Kentucky State University announces Dr. Ronald A. Johnson as interim president"লেক্স এইটিন নিউজ, লেক্সিংটন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৬-২৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  20. "Kentucky State University | Academic Affairs"কেন্টাকি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]