কেনটিশ প্লোভার
কেনটিশ প্লোভার | |
---|---|
একটি পুরুষ কেনটিশ প্লোভার, ভারত | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | কর্ডাটা (Chordata) |
গোষ্ঠী: | ডাইনোসরিয়া (Dinosauria) |
গোষ্ঠী: | সরিস্কিয়া (Saurischia) |
গোষ্ঠী: | থেরোপোডা (Theropoda) |
গোষ্ঠী: | Maniraptora |
গোষ্ঠী: | আভিয়ালে (Avialae) |
শ্রেণি: | এভিস (Aves) |
বর্গ: | Charadriiformes |
পরিবার: | Charadriidae |
গণ: | Charadrius লিনিয়াস, ১৭৫৮ |
প্রজাতি: | C. alexandrinus |
দ্বিপদী নাম | |
Charadrius alexandrinus লিনিয়াস, ১৭৫৮ | |
Subspecies | |
| |
Range of Ch. alexandrinus Breeding Resident Non-breeding Vagrant (seasonality uncertain) | |
প্রতিশব্দ | |
|
কেনটিশ প্লোভার (বৈজ্ঞানিক নাম: Charadrius alexandrinus) হলো চ্যারাড্রিডি পরিবারের একটি ছোট পাখি। এদের ওজন ৪০ থেকে ৪৪ গ্রাম পর্যন্ত হয়। সমুদ্র তীরবর্তী লবণাক্ত হ্রদ, উপকূল, বালির টিলা, জলাভূমি, আধা-শুষ্ক মরুভূমি এবং তুন্দ্রার তীরে এরা বসবাস ও বংশবৃদ্ধি করে।[২][৩]
কেনটিশ প্লোভারের একটি বড় ভৌগোলিক ক্ষেত্র রয়েছে ষেখানে এদের দেখা মেলে। এই ভৌগোলিক ক্ষেত্রটি ১০ ডিগ্রি থেকে ৫৫ ডিগ্রি অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। উত্তর আফ্রিকার উভয় মূল ভূখণ্ড, যেমন সেনেগাল এবং দ্বীপ যেমন কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জে এদের দেখা মেলে। তেমনি আবার মধ্য এশিয়ার যেমন চীনের ক্ষারীয় হ্রদে এদের দেখা যায়। তেমনি আবার ইউরোপের স্পেন এবং অস্ট্রিয়ার কিছু অঞ্চলে এদের ক্ষুদ্র জনসংখ্যা রয়েছে। শীতকালে আফ্রিকায় এই পাখির কিছু সংখ্যক প্রায়শই পরিযায়ী। তবে অন্যান্য দ্বীপপুঞ্জে এরা পরিযায়ী নয় অর্থাৎ স্থানান্তর করে না।[৪][৫] কেনটিশ নামটি দক্ষিণ পূর্ব ইংল্যান্ডের কেন্ট কাউন্টি থেকে এসেছে যেখানে এদের প্রথম দেখা মেলে। তবে ১৯৭৯ সালের পরে ব্রিটেনে এই প্রজাতির প্রজননের খবর পাওয়া ষায়নি।[৬]
খাদ্যাভ্যাস
[সম্পাদনা]কেনটিশ প্লোভার খাবারের খোঁজে একা একা ঘুরে বেড়ায় বা অনেকসময় ২০-৩০ জনের (প্রজনন ঋতুর বাইরে) ঝাঁকেও দেখা যায়। তাছাড়া বিভিন্নরকম প্রজাতির সাথে প্রায় ২৬০ জন মতো বড় ঝাঁকেও দেখা যায়। [৭] [৮] তাদের খাদ্যের প্রধান উপাদান হল ক্ষুদ্র জলজ ও স্থলজ অমেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন কীটপতঙ্গ ও তাদের লার্ভা (গুবরে পোকা, গঙ্গাফড়িং, মাছি ইত্যাদি), কম্বোজ, ক্রাস্টাসিয়ান, মাকড়সা ও সামুদ্রিক কীট। [৭] সাধারণত অমেরুদণ্ডী প্রাণী সমৃদ্ধ হ্রদ, বড় জলাশয়, নদীর তীরে তীক্ষ্ণ নজরের সাহায্যে খাদ্যের সন্ধান করে। [৯] খাওয়ার সময় শিকারকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে বা দৌড়িয়ে ঠোকর মেরে তুলে নেয় বা কাদামাটি, বালিমাটি থেকে মাটি ফুঁড়েও শিকার বের করে। অনেকসময় মুখ খুলে রেখে অন্য পোকামাকড় ধরেও খায়। [১০] শিকার শনাক্তকরণে আলো, বাতাস, বৃষ্টির প্রভাব লক্ষণীয়। [১১] রাতে তাদের শিকার করার ক্ষমতা সীমিত হলেও তাদের বড় বড় চোখ ও সংবেদনশীল রেটিনাল ভিজ্যুয়াল থাকায় রাত্রিকালীন দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। [১২] [১৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ BirdLife International (২০১৯)। "Charadrius alexandrinus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন। 2019: e.T22727487A155485165। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০। অজানা প্যারামিটার
|amends=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Székely, T., A. Argüelles-Ticó, A. Kosztolányi and C. Küpper. 2011. Practical guide for investigating breeding ecology of Kentish plover Charadrius alexandrinus, Unpublished Report, University of Bath
- ↑ del Hoyo, J., Collar, N.J., Christie, D.A., Elliott, A. and Fishpool, L.D.C. 2014. HBW and BirdLife International Illustrated Checklist of the Birds of the World, Lynx Edicions BirdLife International, Barcelona, Spain and Cambridge, UK
- ↑ Meininger, P., Székely, T., and Scott, D. 2009. Kentish Plover Charadrius alexandrinus. In: Delaney, S., Scott, D. A., Dodman, T., Stroud, D. A. An atlas of wader populations in Africa and Eurasia. Wetlands International, pp 229-235
- ↑ Kosztolányi, A., Javed, S., Küpper, C., Cuthill, I., Al Shamsi, A. and Székely, T. 2009. Breeding ecology of Kentish Plover Charadrius alexandrinus in an extremely hot environment, Bird Study, 56:2, 244-252
- ↑ "Focus on: Kentish Plover"। BirdGuides (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৪-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৫।
- ↑ ক খ del Hoyo, J., Elliott, A., and Sargatal, J. 1996.
- ↑ Urban, E.K., Fry, C.H. and Keith, S. 1986.
- ↑ Anderson, J.T., Smith, L.M. 2000.
- ↑ European birds online guide (no date) Available at: http://www.avibirds.com/html/Kentish_Plover.html (Accessed: 16 January 2017)
- ↑ McNeil, R., Drapeau, P. and Goss-Custard, J.D. 1992.
- ↑ Rojas de Azuaje, L.M., Tai, S. and McNei, l.
- ↑ Thomas, R.J., Székely, T., Powel,l R.F. and Cuthill, I.C. 2006.