বিষয়বস্তুতে চলুন

কেদারনাথ গোস্বামী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেদারনাথ গোস্বামী
জন্ম১৯০১
মৃত্যু৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬
আন্দোলনসাম্যবাদ

কেদারনাথ গোস্বামী (১৯০১―১৯৭৬) ছিলেন একজন কৃষকদরদী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা। তার জন্ম ১৯০১ সালে আসামের নগাঁও জেলায়

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

কলেজের শিক্ষা সম্পূর্ণ না হলেও নিজ আগ্রহে হিন্দি, ইংরেজি শিখেছিলেন। জানতেন আরবি, ফারসি ও উর্দু ভাষা। সমস্ত ধরনের সাহিত্যপাঠ করতেন। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ, কোরান, বাইবেল ইত্যাদির পাশাপাশি মার্কসবাদী সাহিত্য, মার্ক্স-এঙ্গেলসের রচনাও পড়তেন।

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

১৯২১ - ১৯৩৮ পর্যন্ত জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থক। ডিব্রুগড় ছিল তার কর্মকেন্দ্র। ডিব্রুগড় শহর কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। প্রগতিশীল চিন্তার ব্যতিক্রমী মানুষ ছিলেন কেদারনাথ। অস্পৃশ্যতা, বর্ণভেদ ও পর্দা প্রথার ঘোর বিরোধী ছিলেন। আসাম টাইমস পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন ১৯৩০-১৯৩৯।সাংবাদিক হিসেবে সবিশেষ খ্যাতি ছিল। শ্রমিকদের নিয়ে তার জ্বালাময়ী লেখাগুলির জন্যে আসাম চা বাগিচা মালিকেরা ক্ষুব্ধ হয় ও পত্রিকাটি আর্থিক সহায়তা হারায়।

শ্রমিক আন্দোলন

[সম্পাদনা]

১৯৩৮ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত আর.সি.পি.আই দলে যোগ দেন এবং সরাসরি শ্রমিক কৃষক আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৩৯ সালে 'কৃষক বড়ুয়া পঞ্চায়েত' স্থাপন করেন ও তার সভাপতি হন। শ্রমিক শোষন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে তার বহু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। মূলত তারই নেতৃত্বে আসামে তীব্র শ্রমিক-কৃষক আন্দোলন গড়ে ওঠে। আসাম রেলওয়ে ও ট্রেডিং কোম্পানির শ্রমিকদের বিরাট ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেন যা ব্যাপকভাবে সফল হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও আরো চোদ্দজন ধর্মঘটীদের সাথে গ্রেপ্তার হন কেদারনাথ গোস্বামী।[১]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

সারাজীবন দরিদ্র মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত কেদারনাথ গোস্বামীর দারুন দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যু ঘটে। গোয়ালপাড়ায় অন্তরীন থাকাকালীন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।[২]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Deepali Barua, Freedom Struggle II (১৯৯৪)। Urban History of India। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 166। 
  2. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ১০৮। আইএসবিএন 81-85626-65-0