কাল তিওদোর দ্রায়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাল তিওদোর দ্রায়া
১৯৬৫ সালে দ্রায়া
জন্ম(১৮৮৯-০২-০৩)৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৯
মৃত্যু২০ মার্চ ১৯৬৮(1968-03-20) (বয়স ৭৯)
কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
মৃত্যুর কারণনিউমোনিয়া
জাতীয়তাডেনীয়
অন্যান্য নামকাল ত. দ্রায়া
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক
কর্মজীবন১৯১৯-১৯৬৮
দাম্পত্য সঙ্গীএবা লারসেন (বি. ১৯১১)
সন্তান
পুরস্কারগোল্ডেন লায়ন (১৯৫৫)

কাল তিওদোর দ্রায়া (ডেনীয়: [kɑːˀl teːodoɐ̯ ˈdʁɑjɐ]; ৩রা ফেব্রুয়ারি ১৮৮৯ - ২০শে মার্চ ১৯৬৮) ছিলেন একজন ডেনীয় চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি কাল ত. দ্রায়া নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। অনেক চলচ্চিত্র সমালোচক ও চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাকে চলচ্চিত্র শিল্পের অন্যতম সেরা পরিচালক বলে অভিহিত করেন।[১][২][৩][৪] তার সর্বজন পরিচিত চলচ্চিত্রগুলো হল লা পাসিওঁ দ্য জান দার্ক (১৯২৮), ভাম্পির (১৯৩২), ভ্রেদেন্স দাগ (১৯৪৩), ওরেথ (১৯৫৫) এবং গেরত্রুদ (১৯৬৪)।

জীবনী[সম্পাদনা]

জন্ম ও দত্তক[সম্পাদনা]

দ্রায়া ১৮৮৯ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জোসেফিন বের্নহার্দিন নিলসন নামে অবিবাহিত স্ক্যানীয় পরিচারিকা ও তার মনিব জেন ক্রিশ্চিয়ান তর্পের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে তার জন্ম হয়। তর্প ছিলেন সুইডেনে বসবাসকারী ডেনীয় কৃষক। তার জন্মের পর তর্প দত্তক গ্রহীতার খোঁজ করেন। দ্রায়া প্রথম দুই বছর একটি অনাথালয়ে কাটান। পরে কাল তিওদোর দ্রায়া নামে এক মুদ্রাঙ্কণবিদ ও তার স্ত্রী ইঙ্গার মারি (জন্মনাম: ওলসেন) তাকে দত্তক নেয়। তার দত্তক গ্রহণকারী পিতার নামে তার নামকরণ করা হয়। ডেনীয় রীতি অনুসারে নামের সাথে "সিনিয়র" বা "জুনিয়র" যুক্ত করে দুজনকে আলাদা করার বিধান নেই।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

যুবক বয়সে দ্রায়া সাংবাদিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু পরে তিনি চলচ্চিত্র শিল্পে নির্বাক চলচ্চিত্রের শিরোনাম পত্র লেখার কাজে যোগ দেন এবং এই ধারাবাহিকতায় চিত্রনাট্য রচনা শুরু করেন। ১৯১৩ সালে তাকে নর্ডিস্ক চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য ডাকা হয়।

তার প্রথম চলচ্চিত্র পরিচালনার প্রচেষ্টা সীমিত সাফল্য আসে। তিনি ডেনমার্ক ছেড়ে ফরাসি চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ করার জন্য ফ্রান্স চলে যান। সেখানে তিনি ফ্রান্সে শৈল্পিক নির্মাণের সাথে জড়িত জঁ ককতো, জঁ হ্যুগো ও অন্যান্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ১৯২৮ সালে তিনি তার প্রথম ধ্রুপদী চলচ্চিত্র লা পাসিওঁ দ্য জান দার্ক নির্মাণ করেন। দ্রায়া তার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য বারোঁ নিকলাস দ্য গুঞ্জবুর্গের কাছ থেকে অর্থায়ন গ্রহণ করেন। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র ভাম্পির ১৯৩২ সালে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটির বেশির ভাগ অংশই নির্বাক ছিল, তবে এতে ইংরেজি, ফরাসি ও জার্মান ভাষা সংবলিত কিছু বিরল ও রহস্যময় সংলাপ ছিল।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The 1,000 Greatest Films (Top 250 Directors)"দে শুট পিকচার্স, ডোন্ট দে। ২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮ 
  2. "Review of Day of Wrath, Order and Gertrud"। ব্রাইট লাইট চলচ্চিত্র সাময়িকী 
  3. "Carl Dreyer - kamera.co.uk"কামেরা.কো.ইউকে (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮ 
  4. ইবার্ট, রজার (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭)। "The Passion of Joan of Arc Movie Review (1928)"শিকাগো সান-টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮ 
  5. "Watch with mother"দ্য গার্ডিয়ান। ৩০ মে ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]