কাঞ্চনজঙ্ঘা সংরক্ষণ এলাকা

স্থানাঙ্ক: ২৭°৪২′৫৬″ উত্তর ৮৭°৫৫′৪২″ পূর্ব / ২৭.৭১৫৫° উত্তর ৮৭.৯২৮২° পূর্ব / 27.7155; 87.9282
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাঞ্চনজঙ্ঘা সংরক্ষণ এলাকা
নেপালি: कञ्चनजङ्घा संरक्षण क्षेत्र
আইইউসিএন বিষয়শ্রেণী VI (প্রাকৃতিক সম্পদের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের সাথে সংরক্ষিত অঞ্চল)
মানচিত্র কাঞ্চনজঙ্ঘা সংরক্ষণ এলাকার অবস্থান দেখাচ্ছে
মানচিত্র কাঞ্চনজঙ্ঘা সংরক্ষণ এলাকার অবস্থান দেখাচ্ছে
অবস্থাননেপাল
স্থানাঙ্ক২৭°৪২′৫৬″ উত্তর ৮৭°৫৫′৪২″ পূর্ব / ২৭.৭১৫৫° উত্তর ৮৭.৯২৮২° পূর্ব / 27.7155; 87.9282
আয়তন২,০৩৫ কিমি (৭৮৬ মা)
স্থাপিত১৯৯৭
কর্তৃপক্ষজাতীয় উদ্যান ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ

কাঞ্চনজঙ্ঘা সংরক্ষণ এলাকা হল পূর্ব নেপালের হিমালয়ের একটি সংরক্ষিত অঞ্চল, যেটি ১৯৯৭ সালে সংরক্ষিত হয়েছিল। এই এলাকাটি তাপ্লেজুঙ জেলা এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার দুটি চূড়ার মধ্যে ২,০৩৫ কিমি (৭৮৬ মা) বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে গঠিত। উত্তরে এটি তিব্বতের কোমোলাংমা জাতীয় প্রকৃতি সংরক্ষণের সাথে এবং পূর্বে সিকিমের কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যানের সাথে সংলগ্ন।[১] পশ্চিমে এটি শঙ্খুয়াসভা জেলার সীমানা। এটি ১,২০০ থেকে ৮,৫৮৬ মি (৩,৯৩৭ থেকে ২৮,১৬৯ ফু) উচ্চতা জুড়ে বিস্তৃত। এটি পবিত্র হিমালয় ভূমির অংশ, যেটির বিকাশের কাজ করছে ডব্লিউডব্লিউএফ নেপাল এবং সহযোগিতায় আছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালের মার্চ মাসে যখন কাঞ্চনজঙ্ঘা সংরক্ষণ এলাকা মনোনীত করা হয়েছিল, তখন এটি ছিল নেপালের তৃতীয় সংরক্ষণ এলাকা। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে, ডব্লিউডব্লিউএফ, নেপাল-এর সাহায্য নিয়ে একটি কাঞ্চনজঙ্ঘা সংরক্ষণ এলাকা ব্যবস্থাপনা পরিষদ গঠিত হয়েছিল, যার মধ্যে সাতটি সংরক্ষণ এলাকা ব্যবহারকারী কমিটি, ৪৪টি ব্যবহারকারী গোষ্ঠী এবং ৩২টি মাতৃ গোষ্ঠী (মাদার গ্রুপ) রয়েছে। এই সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলি সমস্ত পরিকল্পিত কার্যক্রমের কার্যকর বাস্তবায়নে সহায়তা করে। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে, নেপাল সরকার কাঞ্চনজঙ্ঘা সংরক্ষণ এলাকার ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর করে পরিচালন পরিষদের কাছে।[২]

গাছপালা[সম্পাদনা]

কাঞ্চনজঙ্ঘা সংরক্ষণ এলাকার ভূদৃশ্য চাষের জমি, অরণ্য, চারণভূমি, নদী, উচ্চ ভূমির হ্রদ এবং হিমবাহ নিয়ে গঠিত।[১]

প্রাণীজগত[সম্পাদনা]

এখানকার স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে রয়েছে তুষার চিতা, এশিয়ান কালো ভাল্লুক এবং লাল পান্ডা। এই এলাকার প্রতীকী পাখির প্রজাতির মধ্যে রয়েছে সোনালি বক্ষ ফুলভেটা, তুষার মোরগ, লোহিত তিতির এবং রেড-বিলড কাক[১]

২০১২ সালের এপ্রিল মাসে, ৪,৪৭৪ মি (১৪,৬৭৮ ফু) উচ্চতায় ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে একটি চিতা বিড়ালের ছবি নথিবদ্ধ করা হয়েছিল। এই নথিটি এখনো পর্যন্ত এখানে সর্বাধিক উচ্চতায় সন্ধান পাওয়া জীবের ছবি। ২০১২ সালের মে মাসে, ৪,৩০০ মি (১৪,১০০ ফু) উচ্চতায় একটি মেলানিস্টিক চিতাবাঘের ছবি তোলা হয়েছে।[৩] আলপাইন তৃণভূমিতে ৪,৫১০ মি (১৪,৮০০ ফু) উচ্চতায় হলুদ-গলা মার্টিনের ছবি নথিবদ্ধ করা হয়েছে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bhuju, U. R.; Shakya, P. R. (২০০৭)। Nepal Biodiversity Resource Book. Protected Areas, Ramsar Sites, and World Heritage Sites। International Centre for Integrated Mountain Development, Ministry of Environment, Science and Technology, in cooperation with United Nations Environment Programme, Regional Office for Asia and the Pacific। আইএসবিএন 978-92-9115-033-5 
  2. Aryal, K. P.; Kerkhoff, E. E. (২০১০)। Shifting Cultivation in the Sacred Himalayan Landscape. A Case Study in the Kangchenjunga Conservation Area (পিডিএফ)। WWF Nepal। 
  3. Thapa, K.; Pradhan, N. M. B. (২০১৩)। "High elevation record of a leopard cat in the Kangchenjunga Conservation Area, Nepal": 26–27। 
  4. Appel, A.; Khatiwada, A. P. (২০১৪)। "Yellow-throated Martens Martes flavigula in the Kanchenjunga Conservation Area, Nepal": 14–19। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Province No. 1 topics