কাঁকসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাঁকসা
কাঁকসা
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩০′ উত্তর ৮৭°২৪′ পূর্ব / ২৩.৫° উত্তর ৮৭.৪° পূর্ব / 23.5; 87.4
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট১,৫১,২৭৬
ওয়েবসাইটhttp://paschimbardhaman.gov.in/
কালী মন্দির

কাঁকসা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমার অন্তর্গত একটি শহর। এটি পানাগড়ের কাছে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কাঁকসা এই অঞ্চলের প্রাচীনতম থানাগুলির অন্যতম। ১৮৪৭ সালে রাণীগঞ্জ বর্ধমান জেলার একটি পৃথক মহকুমার স্বীকৃতি পেলে, এই মহকুমার অধীনে রাণীগঞ্জ, কাঁকসা ও নিয়ামতপুর থানা তিনটি গঠিত হয়।[১] কাঁকসা থানার আড়া গ্রামের শিবমন্দিরটি প্রাচীন রেখ দেউল মন্দির স্থাপত্যের একটি নিদর্শন।[২] অনুমিত হয়, প্রাচীনকালেও এখানে একটি শহর অবস্থিত ছিল।[৩]

ভূগোল[সম্পাদনা]

কাঁকসা ২৩°৩০′ উত্তর ৮৭°৩০′ পূর্ব / ২৩.৫° উত্তর ৮৭.৫° পূর্ব / 23.5; 87.5 অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।

কাঁকসা যে অঞ্চলে অবস্থিত সেই আসানসোল-দুর্গাপুর অঞ্চলটি তরঙ্গায়িত ল্যাটেরাইট মৃত্তিকায় গঠিত। গোটা অঞ্চলটি অজয়দামোদর নদের মাঝখানে অবস্থিত। এই বিরাট নদীদুটি প্রায় ৩০ কিলোমিটারের ব্যবধানে সমান্তরালে প্রবাহিত হয়েছে। বহুকাল এই অঞ্চল ঘন অরণ্যে আবৃত ছিল। এখানে কয়লাখনি আবিষ্কৃত হওয়ার পর বন পরিষ্কার করে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয়।[৪]

কাঁকসা পানাগড়–মোরগ্রাম সড়কের ধারে অবস্থিত।

কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির অধীনস্থ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল: বিদবিহার, মোলানদিঘি, গোপালপুর, বনকাটি, তিলকচন্দ্রপুর, কাঁকসা ও আমলাজোড়।[৫]

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, কাঁকসা শহরের জনসংখ্যা হল ১৬,৫২৮ জন।[৬] এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৬৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কাঁকসার সাক্ষরতার হার বেশি।

এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

রাজনীতি[সম্পাদনা]

সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, ২০১১ সালে কাঁকসা বিধানসভা কেন্দ্রটি অবলুপ্ত হয়েছে। কাঁকসা ব্লকের আমলাজোড়া, গোপালপুর ও মোলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হয়েছে। কাঁকসা, তিলকচন্দ্রপুর, বনকাটি ও বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি গলসি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।[৭]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

কাঁকসায় ছয়টি প্রাথমিক, একটি মাধ্যমিক ও দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Chattopadhyay, Akkori, Bardhaman Jelar Itihas O Lok Sanskriti (History and Folk lore of Bardhaman District.), (বাংলা), Vol I, p 381, Radical Impression. আইএসবিএন ৮১-৮৫৪৫৯-৩৬-৩
  2. Chattopadhyay, Akkori, p. 251
  3. Chattopadhyay, Akkori, p. 7
  4. Chattopadhyay, Akkori, pp. 14–15
  5. "List of Pradhan of Gram Panchayats, District: Bardhaman" (পিডিএফ)। Government of West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-২৯  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  6. "ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি"। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৫,২০০৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  7. "Delimitation Commission Order No. 18" (পিডিএফ)। Government of West Bengal। ২০১১-০৮-১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২১ 
  8. "7th All-India School Education Survey 2003"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১১