কলার্ড স্কোপ্স পেঁচা
কলার্ড স্কোপ্স পেঁচা Otus lettia | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Strigiformes |
পরিবার: | Strigidae |
গণ: | Otus |
প্রজাতি: | O. lettia |
দ্বিপদী নাম | |
Otus lettia Hodgson, 1836 |
কলার্ড স্কোপ্স পেঁচা (Otus lettia) হল প্রধানত প্যাঁচা প্রজাতির পাখি যারা প্রধানত দক্ষিণ এশিয়াতে বসবাস করে এছাড়াও উত্তর পাকিস্তান, উত্তর ভারত এবং হিমালয় পর্বতমালা অঞ্চলের পূর্ব থেকে দক্ষিণ চীন পর্যন্ত এদের বসবাস। এরা পার্শিক পরিযায়ী পাখি, যাদের মধ্যে কিছু পাখি শীতকালে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং মালয়েশিয়াতে পরিযান করে। এদেরকে আগে ইন্ডিয়ান স্কোপ্স পেঁচা(Otus bakkamoena) এই প্রজাতির উপজাতি বলে ধরা হত, কিন্তু এখন তাকে আলাদা হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়।
এই প্রজাতিটি পেঁচাদের বড় দল টিপিকাল আউল দলের মধ্যে পড়ে, যারা পেঁচাদের প্রজাতির বেশিরভাগ প্রজাতিকেই ধরে রাখে। অন্য দলটি হল লক্ষ্মীপেঁচা দের দল।
কলার্ড স্কোপ্স পেঁচা হল একটা সাধারণ পাখি যারা প্রধানত বনে জঙ্গলে বসবাস করতে পছন্দ করে এবং সেখানেই প্রজনন করে। এরা প্রধানত গাছের গর্তে বাসা বাঁধে এবং ৩ থেকে ৫ টা ডিম পাড়ে ওই বাসার মধ্যে।
কলার্ড স্কোপ্স পেঁচা হল ছোটো আকারের পেঁচা (২৩–২৫ সেমি), যদিও তারা স্কোপ্স পেঁচাদের মধ্যে সবথেকে বড়ো আকারের হয়। অন্যান্য স্কোপ্স পেঁচাদের মতোন এদের মাথায় ছোটো ছোটো কানের মতোন অংশ দেখতে পাওয়া যায়। এদের দেহের ওপরের অংশ ধূশর রঙের হয় অথবা বাদামি রঙের হয়, যেটা প্রধানত উপজাতিদের ওপরে নির্ভর করে। গায়ের ওপরে থাকে হলদে-বাদামি রঙের ছিট ছিট রঙ। দেহের নিচের অংশও বাদামি রঙের হয় এবং এর ওপরে থাকে গাঢ় রঙের দাগ।
মুখের রঙ হয় সাদাটে অথবা হলদে-বাদামি রঙের, এবং এদের চোখ হয় কমলা অথবা বাদামি রঙের। ঘাড়ের কাছে থাকে বাদামি রঙের ব্যান্ড। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই একইরকম দেখতে হয়। এদের উড়ান গভীর ভাবে উৎকলিত হয়।
এরা প্রধানত নিশাচর প্রজাতি কিন্তু এদেরকে মাঝে মাঝেই গাছগাছলিতে দল বেঁধে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। এরা প্রধানত পোকামাকড় খেয়েই বেঁচে থাকতে ভালবাসে। এদের ডাক অনেকটা এরম - গুগ গুক।
এই প্রজাতিটিকে প্রধানত পাওয়া যায় উত্তর ভারতে। এদেরকে অনেকটা ওরিয়েন্টাল স্কোপ্স পেঁচাদের Otus sunia মতোন দেখতে লাগে। এরা ইন্ডিয়ান স্কোপ্স পেঁচা O. bakkamoena প্রজাতির মতোন দেখতে হলেও এই প্রজাতির থেকে সামান্য আকারে বড়ো হয়। এদেরকে এদের ডাকের মাধ্যমে সহজেই চেনা যায়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- Birds of India by Grimmett, Inskipp and Inskipp, আইএসবিএন ০-৬৯১-০৪৯১০-৬
- Owls of the Northern Hemisphere, Karel Voous, আইএসবিএন ০-০০-২১৯৪৯৩-৭