ওমান–কাতার সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওমান-কাতার সম্পর্ক
মানচিত্র Qatar এবং Oman অবস্থান নির্দেশ করছে

কাতার

ওমান

ওমান-কাতার সম্পর্ক, ওমানকাতার এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ওমান এবং কাতার, উভয় দেশই গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) এর সদস্য। কাতারের রাজধানী দোহাতে, ওমানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে ওমানের রাজধানী মাস্কাট এ কাতারের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।

কূটনৈতিক প্রতিনিধি[সম্পাদনা]

ওমানে নিযুক্ত কাতারের বর্তমান রাষ্ট্রদূত হলেন আলি বিন ফাহাস আল হাজরী (২০১৭ সালে)।[১] আবার, কাতারে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত হলেন নাজিব নিন ইয়াহিয়া আল-বালুশি (২০১৭ সালে)[২]

কূটনৈতিক সফর[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে কাতার যুক্তরাজ্য এর নিকট হতে স্বাধীনতা লাভ করে। এর ১ বছরে হওয়ার পূর্বেই ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে ওমানের সুলতান, কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ, রাষ্ট্রীয় সফরে কাতার সফরে যান। কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ, এর দুই বছর আগে ওমানের সুলতান হন।[৩]

২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, কাতারের আমির, হামাদ বিন খলিফা আল-থানি তিন দিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে ওমান যান। [৪]

২০১০ সালের ২২ এপ্রিল, আমির হামাদ বিন খলিফা আল-থানি, দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ওমানে যান। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে যৌথ পদক্ষেপের একটি অংশ হিসেবে তিনি ওমান সফরে যান।[৫]

রাজনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০১৭ কাতারের কূটনৈতিক সংকট এর সময়কালে যখন পারস্য উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তখন কাতারের পণ্য পরিবহনের জন্য, ওমান ছিল প্রধান পরিবহন পথ। এই সংকটের সময় যেসব পণ্যের গন্তব্য ছিল কাতার সেগুলো ওমানের সালাহ বন্দর এবং সোহার বন্দর দিয়ে পরিবহন করা হত।[৬] এছাড়াও, সেই মাসেই কাতারের হামাদ বন্দর এবং ওমানের এই দুটি বন্দরের মাঝে সরাসরি নৌপথ তৈরি করা হয়।[৭] সৌদি আকাশসীমায় কাতার এয়ারওয়েজ কে নিষিদ্ধ করা হলে, ওমান তখন কাতারকে সাহায্য করে।[৮] এই দন্দের মধ্যে ওমান কখনই যুক্ত হয় নি, তবে বিকল্প পরিবহনপথ হিসেবে, কাতারকে নিজেদের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে, দেশটি কাতারকে প্রতিবেশী দেশগুলোর অবরোধ মোকাবিলা করার সুযোগ দিয়েছে। [৮]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০১৪ সালে ওমান এবং কাতারের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৮১৪ মিলিয়ন (৮১.৪ কোটি) মার্কিন ডলার[৯]

২০১৭ সালের জুন কাতারে কূটনৈতিক সংকট শুরু হয়। এইসময় কাতারের অর্থনীতিতে এক সংকটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী জুন মাসের তুললায়, কাতার ও ওমানের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২,০০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭ সালের এই সময় পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।[১০]

প্রবাসী[সম্পাদনা]

১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ওমানী নাগরিক কাতারে বসবাস করছেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Deputy PM Sayyid Asa'ad receives Qatari ambassador to Oman"। টাইমস অব ওমান। ৩০ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. "PM receives Omani ambassador"। গালফ টাইমস। ২২ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  3. Joseph A. Kechichian (১৯৯৫)। Oman and the World: The Emergence of an Independent Foreign Policy। র‍্যান্ড কর্পোরেশন। পৃষ্ঠা ৮২। 
  4. আরিফ আলি (৬ ফেব্রুয়ারি ২০০১)। "Emir of Qatar winds up visit to Oman"। গালফ নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "Qatar Emir ends visit"। টাইমস অব ওমান। ৩১ অক্টোবর ২০১৩। ১৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  6. মালাক হার্ব এবং জন গ্যাম্ব্রেল (১২ জুন ২০১৭)। "Qatar begins shipping cargo through Oman to bypass Gulf rift"। টাইমস কলোনিস্ট। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  7. "More ships dock at Hamad Port"। গালফ টাইমস। ২৪ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  8. "Oman is benefiting from the standoff over Qatar, for now"। দ্যা ইকোনমিস্ট। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  9. "Greater investment in Qatar from Oman"। মিডল ইস্ট মনিটর। ১৭ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  10. পল ম্যাকলাফলিন (১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Oman sees trade boost following Qatar blockade"। আল-আরাবি আল-জাদিদ। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭