একরামউদ্দিন আহমেদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
একরামউদ্দিন আহমেদ
জন্ম১৮৭২
মৃত্যু১৯৪০(1940-00-00) (বয়স ৬৭–৬৮)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাসাহিত্যিক

একরামউদ্দিন আহমেদ (১৮৭২–১৯৪০) সরকারী কর্মকর্তা এবং বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি সরকারী চাকরি করার সময় সাঁওতাল জনগণকে সহযোগিতা এবং অবসর গ্রহণের পরে তাঁর শিল্প-সাহিত্যের জন্য পরিচিত।

শৈশব এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

আহমদ ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিের বর্ধমান জেলাের রায়না থানার কুলিয়ায় ১৮৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯২ সালে বর্ধমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কুল জীবন এবং ১৮৯৪ সালে তিনি বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে এফএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বিএ ডিগ্রির জন্য হুগলি কলেজে ভর্তি হন তবে শেষ হবার আগেই ঝরে পড়েন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আহমদ ১৮৯৬ সালে সরকারের জরিপকারী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীকালে উপ-ব্যবস্থাপকে পদোন্নতি পান। তিনি ১৯১৮ সালে বীরভূমের সাঁওতাল জমিদারদের দ্বারা নিপীড়ন ও শোষণের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এই প্রতিবেদনের ফলে সাঁওতালদের দমন-পীড়নের বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। সাঁওতালদের অধিকার তুলে ধরার প্রয়াসে তিনি সর্বদা পুলিশের সমর্থন পাননি। ১৯২৭ সালে সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[১][২]

আহমদ সাহিত্য সমালোচক ও লেখক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মুসলিম লেখক এবং ১৯১৪ সালে রবীন্দ্রপ্রতিভা লিখেন।তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়েরও সাহিত্য সমালোচক। তিনি রোম্যান্টিক উপন্যাস কাঁচ ও মনি (১৯১৯) সহ বেশ কয়েকটি উপন্যাস লিখেন।

তার উপন্যাসগুলি সেই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি মুসলিম সাহিত্য পত্রিকা সওগাত এবং মোহাম্মদীতে ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়।[১] তিনি একজন রসিক, প্রাবন্ধিক এবং ছোটগল্প লেখক এবং তাঁর একটি গল্প "ভিক্ষুক" পূর্ব পাকিস্তানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি নির্ধারিত পাঠ্য ছিল।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

একরামউদ্দীন আহমদ ১৯৪০ সালের ২০ নভেম্বর কাইথা গ্রামে মারা যান। তাকে ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কাইথায় সমাহিত করা হয়।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ওয়াকিল আহমদ (২০১২)। "আহমদ, একরামুদ্দীন"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  2. Samāddāra, Raṇabīra (১৯৯৮)। Memory, Identity, Power: Politics in the Jungle Mahals (West Bengal), 1890-1950 (ইংরেজি ভাষায়)। Orient Longman। পৃষ্ঠা ৯৯, ১৪১। আইএসবিএন 978-81-250-1025-8