উমা মুখোপাধ্যায়
উমা মুখোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | ১৯২৬ শিলচর আসাম ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ভারত |
পেশা | ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক ও লেখক |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | ওরিজিনস অফ দি ন্যাশনাল এডুকেশন মুভমেন্ট |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৫৯) |
দাম্পত্যসঙ্গী | হরিদাস মুখোপাধ্যায় |
উমা মুখোপাধ্যায় (১৯২৬ - ১৬ জানুয়ারি ২০০৮) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ ও লেখক। [১]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]
উমা মুখোপাধ্যায় ব্রিটিশভারতের অধুনা আসামের শিলচরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ছিলেন চিকিৎসক। মাতা ননীবালা। উমা সেনগুপ্ত অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। শিলচরের গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুল থেকে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স-সহ বি.এ পাশ করেন। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ইতিহাসের উপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন এবং স্বর্ণপদক লাভ করেন।
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজে অধ্যাপনা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজের শেষে প্রায় চার দশক ধরে গড়িয়ার দীনবন্ধু এন্ড্রুজ কলেজে অধ্যাপনা করেন। তার লেখা গবেষণাধর্মী গ্রন্থটি হল- টু গ্রেট ইন্ডিয়ান রিভলিউশনারিজ: রাসবিহারী বসু অ্যান্ড যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও, তিনি ও তার স্বামী হরিদাস মুখোপাধ্যায় যুগ্মভাবে রচনা করেন- ওরিজিন্স অফ দ্য ন্যাশনাল এডুকেশন মুভমেন্ট।
অধ্যাপিকা উমা মুখোপাধ্যায় রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল —
- রচিত গ্রন্থসমূহ—
- অরবিন্দজ পলিটিক্যাল থট
- স্বদেশী আন্দোলন ও বাংলার নবযুগ
- উপাধ্যায় ব্রহ্মবান্ধব ও ভারতের ডাতীয়তাবাদ
- জাতীয় আন্দোলনে সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
সম্মাননা[সম্পাদনা]
- ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার ও তার স্বামীর যৌথভাবে লেখা- ওরিজিন্স অফ দ্য ন্যাশনাল এডুকেশন মুভমেন্ট গ্রন্থটির জন্য তাদের রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে।
- ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সাম্মানিক ডি.লিট প্রদান করে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ৬৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬