উড়ুপি মাট্টু গুল্লা (বেগুন)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উদুপি মট্টু গুল্লা

উডুপি মাট্টু গুল্লা, অথবা উডূপী মাট্টি গুল্লা হলো সবুজ বেগুনের একটি প্রকার, যা ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের উড়ুপি জেলার মাট্টি গ্রামে সর্বাধিক ফলন হয়ে থাকে। একে ২০১১ সালে ভৌগোলিক সূচক ট্যাগ দেওয়া হয়েছিল

বর্ণনা[সম্পাদনা]

কথিত আছে মাট্টু গুল্লা ৪০০ বছর ধরে মাট্টিতে জন্মে আসছে, কিংবদন্তীর সাথে এর উৎসটি উদোপীর সোদে বদিরাজ মাঠের শ্রী বদিরাজ তীর্থের সাথে যুক্ত হয়েছে।[১][২] উদয়ভার নদী ও স্বর্ণা নদীর মধ্যে ৫০০ একরও বেশি জমির মধ্যে এটি চাষ করা হয়েছিল।[৩] মাট্টি ছাড়াও এটা পার্শ্ববর্তী পাঙ্গোলা, কোপলাএবং কাইপুঞ্জাল গ্রামে চাষ হয়। যে জমিতে এটি জন্মেছে তা মাছের খাবার সার দিয়ে সমৃদ্ধ হয়।

মাট্টু গুল্লা সবুজ রঙের হয়, যা অন্যান্য বেগুনি বেগুনের থেকে আলাদা। "গুল্লা" শব্দটি ইঙ্গিত করে এটি গোলক আকার।[৩] এটি একটি মৌসুমী সবজি যা সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস থেকে বর্ষা মৌসুমের পরে জন্মে।[২][৪] এটিতে আর্দ্রতা কম রয়েছে এবং এটি এর অনন্য স্বাদের জন্য পরিচিত।[৫] মাট্টু গুল্লা উদুপি রান্নার একটি বহুল ব্যবহৃত সবজি বিশেষত সাম্বার রান্নায়।[৬] মাট্টু গুল্লা তার অস্বাভাবিক এবং অনন্য স্বাদ এবং উৎপাদনের একচেটিয়া অবস্থানের জন্য ২০১১ সালে ভৌগোলিক সূচক ট্যাগটি পেয়েছিলেন।

মাট্টু গুল্লা উৎপাদন বিভিন্ন কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমে গিয়েছে। বিভিন্ন কারণে যেমন- কীটপতঙ্গের আক্রমণ ও বিটি বেগুনের আবির্ভাব।[১] উদ্যানতত্ত্ব অধিদপ্তরের মতে, এটি হেক্টর প্রতি আনুমানিক ৪০ টন ফলন সহ, ২০১৫ সালে ৬৭ হেক্টর জমিতে জন্মেছিল।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Pinto, Stanley। "Udupi paryaya will get enough mattu gulla, say growers"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. Prabhu, Ganesh। "Udupi's Mattu Gulla set to go international"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. "Udupi's famed brinjal losing race to hybrid variety"। DNA India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. Vinayak, AJ। "With a GI tag in the bag, Udupi farmers cash in on rare green brinjal"। The Hindu Business Line। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  5. Prabhu, Ganesh। "Udupi's brinjal to go places"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  6. Hebbar, Nandini। "Go Matti Gulla!"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬