ইসমাইল ইবনে শরীফ
ইসমাইল ইবনে শরীফ | |
---|---|
![]() ইসমাইল ইবনে শরীফের পোর্ট্রেইট | |
মরক্কোর সম্রাট | |
রাজত্ব | ১৬৭২-১৭২৭ |
রাজ্যাভিষেক | ১৪ এপ্রিল ১৬৭২[১] |
পূর্বসূরি | রশীদ ইবনে শরীফ |
ফেজের গভর্নর | |
রাজত্ব | ১৬৬৭-১৬৭২ |
জন্ম | ১৬৪৫ সিজিলমাসা, মরক্কো |
মৃত্যু | ২২ মার্চ ১৭২৭ মেকনেস, মরক্কো | (বয়স ৮১–৮২)
সমাধি | |
দাম্পত্য সঙ্গী | খিনাতা বিনতে বাক্কার আয়িশা বিনতে মুবারক হালিমা সুফিয়ানিয়া উম্মুল ইয তাবা |
বংশধর | মাওলায়ে মুহাম্মাদ যাইদান মাওলায়ে আহমাদ মাওলায়ে আব্দুল্লাহ ৫২৫ পুত্র ও ৩৪৩ কন্যা |
রাজবংশ | আলাওয়ি রাজবংশ |
পিতা | শরীফ ইবনে আলী |
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
মাওলায়ে ইসমাইল ইবনে শরীফ (ইংরেজি: Moulay Ismaïl Ibn Sharif) (আরবি: مولاي إسماعيل بن الشريف ابن النصر) (১৬৩৪? বা ১৬৪৫?-১৭২৭, রাজত্বকাল ১৬৭২-১৭২৭)[২] ছিলেন মরক্কোর আলাউই বংশের প্রথম দ্বিতীয় শাসক। অন্যান্য বংশের মতোই ইসমাইলও নিজেকে মুহাম্মাদের বংশধর হিসেবে দাবি করেছেন। তার দাবি অনুসারে তিনি মুহাম্মাদের নাতি হাসান ইবনে আলির বংশধর। এছাড়া ইসমাইলের নিজের দেশে তিনি ‘যুদ্ধবাজ রাজা’ নামে পরিচিত।
শাসন
[সম্পাদনা]ইসমাইল সিংহাসনের আরোহণ করেন তার সৎ ভাই আল-রশিদের মৃত্যুর পর। তিনি তার ঘোড়া থেকে পড়ে মারা যান। ইসমাইলের অভিষেক ঘটে মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে। তখন তার দেশ বিভিন্ন উপজাতির মধ্যে যুদ্ধ, অন্তর্কোন্দল, ও রাজত্বের দখল সংক্রান্ত প্রতিকূলতায় পর্যদুস্ত। তার শাসন কাল ছিলো ১৬৭২ থেকে ১৭২৭ পর্যন্ত। ইসমাইলকে বলা হয় পৃথিবীর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সন্তানের পিতা। তিনি ৫২৫ পুত্র ৩৪২ কন্যাসহ মোট ৮৬৭ জন সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।[৩] মেকনেস নামের যে রাজধানী শহরটি তিনি তৈরি করেছিলেন, তাকে তার মাত্রাতিরিক্ত অপচয়ের কারণ মরক্কোর ভার্সেইলি বলে অভিহিত করা হতো। এই শহর তৈরিতে ব্যবহৃত কিছু পাথর প্রাচীন রোমান ধ্বংসাবশেষ থেকে লুট করে আনা হয়েছিলো।[৪] মৌলে ইসমাইলের সময়কালেই মরক্কোর রাজধানী শহর ফেজ থেকে মেকেনেসে স্থানান্তর করা হয়।
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ "Morocco (Alaoui Dynasty)"। www.usa-morocco.org। ২৯ আগস্ট ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ Abun-Nasr, J.M., A History of the Maghrib in the Islamic Period, page 230. Cambridge University Press, 1987
- ↑ "Some magical Moroccan records"। Guinness World Records। Guinness World Records Limited। মার্চ ৩, ২০০৮। ১৩ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২০, ২০১০।
- ↑ C.Michael Hogan, Volubilis, Megalithic Portal, ed. A. Burnham (2007)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- Abum-Nasr, Jamil M. (1987). A History of the Maghrib in the Islamic Period.
- Pennell, C.R. (2000). Morocco Since 1830.
- Milton, Giles (2004).White Gold: The Extraordinary True Story of Thomas Pellow and North Africa's One Million European Slaves.
- Bakari Kamian. (2001). Des Tranchés de Verdun à l'église Saint Bernard.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Muslim rulers (আরবি)
- Evolution is over[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (আরবি)