ইরিনা বোকোভা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০১:৩০, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

ইরিনা বোকোভা
৬ষ্ঠ বিশ্ব পানি সভায় ইরিনা বোকোভা
জন্ম (1952-07-12) ১২ জুলাই ১৯৫২ (বয়স ৭১)
মাতৃশিক্ষায়তনআন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মস্কো স্টেট ইন্সটিটিউট
পেশাইউনেস্কো মহাপরিচালক
দাম্পত্য সঙ্গীলুবোমির কোলারোভ (বিবাহ-বিচ্ছেদ)
কালিন মিত্রেভ
সন্তানপল এবং নাইয়া
ওয়েবসাইটwww.irinabokova.com

ইরিনা বোকোভা (বুলগেরীয় ভাষায়ঃ Ирина Георгиева Бокова) (জন্মঃ ১২ জুলাই, ১৯৫২) বুলগেরীয় রাজনীতিবিদ এবং ইউনেস্কো'র বর্তমান মহাপরিচালক। তার পুরো নাম - ইরিনা জর্জিয়েভা বোকোভা। তিনি বুলগেরিয়ার সংসদে দুই মেয়াদে বুলগেরিয়ান সোশ্যালিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঝান ভিদেনোভ সরকারের মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী এবং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীরূপে দায়িত্ব পালন করেন।[১] বুলগেরিয়া প্রজাতন্ত্রের পক্ষ থেকে ফ্রান্স এবং মোনাকোয় রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন।[২] এছাড়াও তিনি ইউনেস্কোয় বুলগেরীয় প্রতিনিধি এবং বুলগেরীয় প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি হিসেবে ২০০৫-২০০৯ সাল পর্যন্ত ফরাসী ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা অর্গ্যানাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল দ্য লা ফ্রাঙ্কোফোনি'র দায়িত্ব পালন করেন।

প্রাথমিক জীবন

কমিউনিস্ট যুগের বিতর্কিত রাজনীতিবিদ গিওর্গি বোকোভের কন্যা ইরিনা বোকোভা। তার পিতা ছিলেন বুলগেরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদপত্র র‍বোটনিচেস্কো দেলো'র প্রধান সম্পাদক।[৩] মেসিডোনিয়া অঞ্চলের বুলগেরীয় হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।[৪] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে তিনি মস্কো স্টেট ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হন। ঘটনাক্রমে ১৯৯৬-৯৭ সালের শীতকালে তিনি মন্ত্রীত্ব অর্জন করেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি বুলগেরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন।

ইউনেস্কো মহাপরিচালক

২২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সালে ইউনেস্কোর মহাপরিচালকরূপে বোকোভাকে নির্বাচিত করা হয়।[১] প্যারিসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করেন। ৫ম পর্যায়ের ভোট পর্বে মিশরীয় বিমূর্ত চিত্রকর ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ফারুক হোসনিকে ৩১-২৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন বোকোভা।[১][২] হোসনি জয়ী হবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এলি উইসেল কর্তৃক ইসরায়েল বিরোধী বক্তব্যের কারণে সমালোচিত হন।[১][৫] ৪র্থ পর্বের ভোটে উভয়েই ২৯ ভোট নিয়ে সমান অবস্থানে ছিলেন। এ বিজয়ের ফলে বোকোভা জাপানের কোচিরো মাতসুরা'র কাছ থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[১] ইউনেস্কোয় তিনি চার বছরের মেয়াদকালের জন্য মনোনীত হন।[২] ১৫ অক্টোবর, ২০০৯ সালে ৩৫তম অধিবেশনে ইউনেস্কোর সাধারণ সভায় ১০ম মহাপরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ইরিনা বোকোভা বিশ্বের তথা পূর্ব ইউরোপের প্রথম নারী হিসেবে ইউনেস্কো প্রধানের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন।[১] ২৩ অক্টোবর, ২০০৯ সালের শুক্রবার বিকেলে ১নং কক্ষে অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যসূত্র

  1. "Bokova wins Unesco leadership vote"Al Jazeera। ২০০৯-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২ 
  2. "Bokova beats Hosni for UNESCO head"The Jerusalem Post। ২০০৯-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "A Glance at UNESCO's Next Leader"The New York Times। ২০০৯-০৯-২২।  [অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Стандарт", Брой 5860, 8 май 2009 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-১০-০৫ তারিখে. (বুলগেরীয়)
  5. STEVEN ERLANGER (২০০৯-০৯-২২)। "Bulgarian Defeats Egyptian in Unesco Vote"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২ 

বহিঃসংযোগ