ইয়ামাহা এমএফজি ৩৪ এক্সএল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্রেণি'র সারাংশ
নাম: ইয়ামাহা এমএফজি ৩৪ এক্সএল
নির্মাতা:
ব্যবহারকারী:
নির্মিত: ২০১৫-বর্তমান
অনুমোদন লাভ: ২০১৫-বর্তমান
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার: উদ্ধারকারী নৌযান
দৈর্ঘ্য: ৮.৭ মিটার (২৯ ফু)
প্রস্থ: ২.৫০ মিটার (৮.২ ফু)
গভীরতা: ০.৬০ মিটার (২.০ ফু)
প্রচালনশক্তি: ২ × ইয়ামাহা ১৫০ অশ্বশক্তি (১১০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন (৪ স্ট্রোক), জাপান
গতিবেগ: ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ)
ধারণক্ষমতা: ২০-২৪ জন

ইয়ামাহা এমএফজি ৩৪ এক্সএল হচ্ছে বাংলাদেশে নির্মিত উদ্ধারকারী নৌযানের-শ্রেণী যা বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সীহর্স বোট), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক ব্যবহৃত হয়। উক্ত নৌযানসমূহ ইয়ামাহা মেরিন বাংলাদেশ- বিএফ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির প্রযুক্তিগত সহায়তায় ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড-এ নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি নৌযান নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজগুলো দুর্যোগ কালীন সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম।[১][২][৩][৪][৫]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য এসব নৌযান নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

দেশীয় প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মাণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী জাহাজের নকশা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। নিজস্ব প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতায় আরোও একটি মাইলফলক অর্জন হয় ইয়ামাহা মেরিন বাংলাদেশ- বিএফ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক এসব উদ্ধারকারী নৌযান নির্মাণের ফলে। ইয়ামাহা এমএফজি ৩৪ এক্সএল ফাস্ট প্যাট্রোল বোটের দৈর্ঘ্য ৮.৭ মিটার (২৯ ফু), প্রস্থ ২.৫০ মিটার (৮.২ ফু) এবং গভীরতা ০.৬০ মিটার (২.০ ফু)। প্রতিটি জাহাজে রয়েছে ২টি ইয়ামাহা ১৫০ অশ্বশক্তি (১১০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন (৪ স্ট্রোক), জাপান। যার ফলে জাহাজগুলো সর্বোচ্চ ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ) গতিতে চলছে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজগুলো ২০-২৪ জন সৈন্য বহন করতে পারে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Our range of locally manufactured Fibreglass Boats fitted with Yamaha OBMs. Yamaha Marine Bangladesh - BF International Limited"www.facebook.com। ২০২২-১০-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০২ 
  2. "MFG 34XL"BF Intlernational Ltd. (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২৫ 
  3. "Bangladesh Police"। ৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৩ 
  4. "বুড়িগঙ্গা নদীতে ছুটে চলেছে নৌ পুলিশের বোট I Naval police boat" 
  5. "ALL BOATS - BANGLADESH COAST GUARD" (পিডিএফ)coastguard.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৮