ইকো হায়াশি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইকো হায়াশি
জন্ম (1956-06-09) ৯ জুন ১৯৫৬ (বয়স ৬৭)
জাতীয়তাজাপানিজ
পেশাআইনজীবী
পরিচিতির কারণনারী অধিকার আন্দোলন

ইকো হায়াশি (জাপানি ভাষায় - 林 陽 子, জন্ম - জুন ৯, ১৯৫৬) একজন জাপানি আইনজীবী এবং এথেনা আইন অফিসের অংশীদার।[১] তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রচার ও সুরক্ষা বিষয়ক সাব-কমিশনের (CEDAW) বিকল্প সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০১৫ সালে মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।[২] হায়াশি তার আইনি দক্ষতা ব্যবহার করে নারীর অধিকার রক্ষা এবং মর্যাদা উন্নত করার জন্যে নিরলস কাজ করে চলেছেন।[৩]

জীবনী[সম্পাদনা]

ইকো হায়াশির জন্ম ১৯৫৬ সালের ৯ই জুন[৪] জাপানে[৫] ইবারাকির মিতো শহরে। তিনি ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৭৯ সালে তিনি আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৬] তিনি ১৯৮৩ সালে ডেইনি টোকিও আইনজীবী পরিষদে (বার অ্যাসোসিয়েশনে) যোগ দেন।[৫] ২০০২ সালে থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জাপানের মহিলা আইনজীবী পরিষদের (বার অ্যাসোসিয়েশনের) সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬]

হায়াশি ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত টোকিও রেপ ক্রাইসিস সেন্টারের আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন এবং ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের চতুর্থ বিশ্ব সম্মেলনে জাপান সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৬ সালে, তার প্রবন্ধ "জাপানি সরকারের প্রতি মহিলাদের নীতি" শিরোনামে জাপানি মহিলা আন্দোলনের ভয়েস শিরোনামে একটি সংকলনে প্রকাশিত হয়েছিল। ভাষ্যটি ছিল জাপানে নারীদের জন্য সমতা এবং সুরক্ষার অভাবের সমালোচনা।[৭]

জাপানি মন্ত্রীসভার লিঙ্গ সমতা ব্যুরোর জন্য তিনি একাধিক কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। যেমন মৌলিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি (২০০৯ - বর্তমান), নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা পর্যালোচনা কমিটি (২০১৩ - ২০২০) - ইত্যাদি কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন ইকো হায়াশি।[৬] ২০১১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে তিনি টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন।[১][৮]

২০০৪ সালে, তিনি মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা সম্পর্কিত জাতিসংঘের সাব-কমিশনের বিকল্প সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন[৯] যেখানে তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[১০] ২০০৮ সালে তিনি মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের সকল প্রকার বিলোপ সনদ সংক্রান্ত কনভেনশনের (সিইডএডব্লিউ) সদস্য হন[১১] এবং তার পুরো মেয়াদে নারী বৈষম্য বিরোধী কমিটির একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। সদস্য দেশগুলোর মানবাধিকার পর্যালোচনা সম্পন্ন করা এবং মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি ও সুরক্ষায় তাদের কর্মদক্ষতা মূল্যায়নের দায়িত্ব ছিল এই কমিটির।[৩][১২] ২০১৫ সালে, তিনি মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।[২]

নির্বাচিত গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • "শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন পর্যালোচনা", শিশু নির্যাতন এবং অবহেলা সংখ্যা ২ ক্রম ২, (২০০০) (জাপানি ভাষায়)।
  • 'নারীর প্রতি বৈষম্য' ?: গর্ভাবস্থা এবং সন্তানজন্মের কারণে সম সুযোগ আইন অনুযায়ী নারীর প্রতি বঞ্চনা" জোসেই টু রোডো সংখ্যা ১৫ ক্রম ৫৮ পাতা ৭ – ১৬ (২০০৬) (জাপানি ভাষায়)।
  • "উত্তরাধিকার আইনে বিবাহ বন্ধনের বাইরে জন্ম নেওয়া শিশুদের প্রতি বৈষম্য", হ্যান্ডবুক অন প্র্যাকটিস অব ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ল (২০০৭) (জাপানি ভাষায়)।
  • "মানবাধিকার কাউন্সিল উপ -কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মানবাধিকার", হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল সংখ্যা ১৮, পাতা ১০৭ – ১০৯ (২০০৭) (জাপানি ভাষায়)।
  • "সংশোধিত গার্হস্থ্য সহিংসতা বিরোধী আইনের আওতায় ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা, সম্ভাব্য মানবাধিকার প্রক্রিয়া", ইউশিন্দো-কোবুনশা (টোকিও) (২০০৭) (জাপানি ভাষায়)।
  • "নারীর অধিকারই মানবাধিকার — সমসাময়িক নারীর অধিকারকে ঘিরে সমস্যা", জাপান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের হীরক জয়ন্তী বার্ষিকীর স্মারক প্রকাশনা, শিনহায়রন (২০০)) (জাপানি ভাষায়)।
  • "CEDAW এর ৩০তম বার্ষিকী, অর্জন এবং সংপ্রশ্ন" মানবাধিকার মাসিক সংখ্যা ২৫১, (২০০৯) (জাপানি ভাষায়)।
  • "CEDAW - ভুক্তভোগীদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা এবং প্রতিকার", লিঙ্গ এবং আইন সোসাইটি, সংখ্যা ১; পাতা ১৩৯ – ১৫৩ (২০১২) (জাপানি ভাষায়)।
  • "জাপানে মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের সকল প্রকার বিলোপ সংক্রান্ত কনভেনশন বাস্তবায়ন", জার্নাল অফ ইস্ট এশিয়া এবং ইন্টারন্যাশনাল ল, সংখ্যা ৬ ক্রম ২ (সেপ্টেম্বর ২০১৩): পাতা ৩৪১ – ৩৬৬ (ইংরেজি ভাষায়)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Profile of Lawyers: Yoko Hayashi"। Athena Law। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫ 
  2. "Committee on the Elimination of Discrimination against Women Reviews Situation of Women in Tuvalu"। The United Nations Office at Geneva (UNOG)। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫ 
  3. Makino, Catherine (৩ অক্টোবর ২০০৯)। "RIGHTS-JAPAN: Get Cracking on Gender Equality"। Inter Press Service News Agency। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫ 
  4. https://www.ohchr.org/Documents/HRBodies/CEDAW/CVMembers/Hayashi.pdf
  5. Martindale-Hubbell International Law Directory: Vol. 1: Europe, Asia, Australia, Middle East & Africa। Martindale-Hubbell। ২০০৩। আইএসবিএন 978-1-56160-588-0 
  6. "Meeting of States Parties to the Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination against Women"। United Nations Headquarters। ২৮ জুন ২০১০। ২৯ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫ 
  7. Hayashi, Yoko (১৯৯৬)। "Policies of the Japanese Government Toward Women"। Voices from the Japanese Women's Movement। Sharpe। পৃষ্ঠা 82–89। আইএসবিএন 1-56324-725-9 
  8. "Final Report: Investigation Committee on the Accident at Fukushima Nuclear Power Stations of Tokyo Electric Power Company" (পিডিএফ)www.cas.go.jp/। Japanese Cabinet, Deputy Director General Affairs Office। জুলাই ২৩, ২০১২। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫ 
  9. "Subcommission on Promotion and Protection of Human Rights Concludes Fifty-Sixth Session"। United Nations। ১৩ আগস্ট ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫ 
  10. "Result of the Election of the members of the Committee on the Elimination of Discrimination against Women (CEDAW)"। Ministry of Foreign Affairs of Japan। জুন ২৯, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫ 
  11. "Meeting of States Parties Elects 11 Expert Members to Committee on Elimination of Discrimination Against Women"। United Nations। ৩০ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫ 
  12. "As Women's Anti-Discrimination Committee Begins Review of Country Reports, Spain Boasts Sweeping Legislative Changes, Facing Problems 'Without Embarrassment'"। United Nations। ২২ জুলাই ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫