ইউসুফ আল-আজমা
ইউসুফ আল-আজমা | |
---|---|
![]() জেনারেল ইউসুফ আল-আজমা ১৮৮৩-১৯২০ | |
যুদ্ধমন্ত্রী ও চীফ অব স্টাফ | |
কাজের মেয়াদ ১৯১৮ – ২৪শে জুলাই ১৯২০ | |
সার্বভৌম শাসক | প্রথম ফয়সাল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৮৮৩ [১][২] |
মৃত্যু | ২৪শে জুলাই ১৯২০ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | উসমানীয় সামরিক একাডেমি |
জীবিকা | মন্ত্রী, সৈনিক |
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | ![]() ![]() |
শাখা | সিরিয়ান সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৯০৬ – ১৯২০ |
যুদ্ধ | প্রথম বিশ্বযুদ্ধ |
ইউসুফ আল-আজমা (আরবি : يوسف العظمة Yūsuf al-‘Aẓmah; ১৮৮৩ – জুলাই ২৪, ১৯২০) ছিলেন সিরিয়ার যুদ্ধ মন্ত্রী ও চীফ অব স্টাফ। রাজা ফয়সালের (পরবর্তীতে ইরাকের রাজা) অধীনে তিনি ১৯১৮ থেকে ১৯২০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
আল-আজমা ১৯০৬ সালে ইস্তানবুলের তুর্কি সামরিক একাডেমি থেকে স্নাতক হন। উসমানীয় সেনাবাহিনীতে তিনি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আরব বিদ্রোহে যোগ দেয়ার আগে তিনি ককেসাসে তুর্কি সেনাদের নেতৃত্ব দেন। আরব বিদ্রোহের ফলে সিরিয়া ১৯১৮ সালে উসমানীয়দের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যকার গোপন সাইকস-পিকট চুক্তির অংশ হিসেবে লীগ অব নেশনস ফ্রান্সকে সিরিয়ার মেন্ডেট প্রদান করে। ফরাসি জেনারেল হেনরি গোরাড ১৯২০ সালে সিরিয়ান সরকারকে নিজেদের সৈন্যবাহিনী ভেঙ্গে দিতে ও ফরাসি অধীনতা স্বীকার করে নেয়ার আল্টিমেটাম দেন। দামেস্কের সরকার অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই আল্টিমেটাম মেনে নেয় ও নিজের সৈন্যবাহিনী ভেঙ্গে দেয়। রাজা ফয়সাল ফরাসি আল্টিমেটাম মেনে নেয়া সত্ত্বেও ইউসুফ আল-আজমা তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ভেঙ্গে দেয়া সেনাবাহিনী ও সাধারণ জনতার মধ্য থেকে একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদল গঠন করেন। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ফরাসি সেনাদের মোকাবেলায় তাদের কাছে ভারি অস্ত্র ছিল না। যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে তার মধ্যে কোনো সন্দেহ না থাকলেও আল-আজমা ফরাসিদের বিরোধিতা করে এটি পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন যে সিরিয়া যুদ্ধ না করে আত্মসমর্পণ করবে না।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আল-আজমা তার সেনাদের নিয়ে দামেস্ক ত্যাগ করেন ও দামেস্কের ১২ মাইল পশ্চিমে মায়সালুনের দিকে অগ্রসর হন। ১৯২০ সালের ২৪ জুলাই এখানে দুই বাহিনী একটি অসম যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। যুদ্ধে আল-আজমা নিহত হন। ২৫ জুলাই ফরাসিরা দামেস্কে প্রবেশ করে।
সিরিয়ানদের কাছে ইউসুফ আল-আজমা একজন জাতীয় বীর ও অণুপ্রেরণা হিসেবে গণ্য হন। দামেস্কের একটি চত্বরে তার ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে। সমগ্র সিরিয়ায় তার নামে সড়ক ও বিদ্যালয় রয়েছে।