মোহাম্মদ ইউসুফ আলী
ইউসুফ আলী | |
---|---|
জাতীয় সংসদের সদস্য | |
দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৩ – ১৯৭৯ | |
উত্তরসূরী | গোলাম রহমান শাহ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
মৃত্যু | ১৯৯৮ |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
যে জন্য পরিচিত | স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি |
ইউসুফ আলী (জন্ম: ১৯২৩ - মৃত্যু: ১৯৯৮) স্বাধীনতার সনদ পাঠক, মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পু্নর্বাসন দপ্তরের প্রধান এবং স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি (১৯৭২-৭৬) ছিলেন।[১][২]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]ইউসুফ আলী ১৯২৩ সালে দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন।[৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]পাকিস্তান আমলে ১৯৬৫ সালে তিনি এমএনএ ছিলেন। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু সরকার, পরবর্তী খন্দকার মোশতাক আহমেদ সরকার, জিয়াউর রহমান সরকার এবং এরশাদ সরকারসহ পর্যায়ক্রমে চারটি ভিন্ন ভিন্ন সরকারের শিক্ষা, সমাজ কল্যাণ, বস্ত্র ও ত্রাণ প্রভৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীহিশেবে প্রায় দশবার মন্ত্রীত্বের শপথ গ্রহণ করেন।[১] দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পাতায় এ এক বিরল দৃষ্টান্ত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও পরিচালকের ভূমিকায় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য তিনি প্রশংসিত হন। ওপার রাষ্ট্রে অগণিত শরনার্থীদের ত্রাণ বিভাগের পরিচালনার ভার ছিল তারই দায়িত্বে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওপার রাষ্ট্রে গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতা সনদ পাঠ করে অসাধারণ খ্যাতির অধিকারী হন। মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের মন্ত্রীগণকেও তিনিই শপথবাক্য পাঠ করান। ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত বিনয়ী, সাদাসিধে, মিষ্টভাষী, নিরংহকারী ও লোকপ্রিয়তার স্পর্শে মানুষের হৃদয় জয় করেন।[১] শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে নশিপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-এর ভিত্তি স্থাপন করেন তিনি। বস্ত্রমন্ত্রী রূপে টেক্সটাইল মিল স্থাপন এবং এরশাদের আমলের মন্ত্রিত্বকালে তারই চেষ্টায় পূনর্ভবা নদীর উপর কাঞ্চন সেতু নির্মিত হয়। যে সেতুটির দাবী এলাকাবাসীর প্রায় ৫০ বছরের স্বপ্ন ছিল।[৪][৫]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]ইউসুফ আলী অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের যুব লিগ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। তার আগে বাংলাদেশ গণপরিষদের স্পিকার হিসেবে মহান স্বাধীনতার সনদ পাঠ করেন এবং ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। অধ্যাপক ইউসুফ আলী বাকশাল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) গঠিত হলে জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রধান হন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর মোশতাক সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হন। পরে আওয়ামী লীগের (মিজান) সাধারণ সম্পাদক হন। অধ্যাপক ইউসুফ আলী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে (২০.৮.১৯৭৫ থেকে ৯.১১.১৯৭৫) পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[১]
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব | দিনাজপুর জেলা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ দিনাজপুরে সাংবাদিকতার একশ বছর। পৃষ্ঠা ৭০।
- ↑ মেহরাব আলী সম্পাদিত ‘ভবানীপুর পত্রিকা’, '৪৩ সালের সংখ্যা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- ১৯২৩-এ জন্ম
- ১৯৯৮-এ মৃত্যু
- বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ
- মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভার সদস্য
- শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
- দিনাজপুর জেলার ব্যক্তি
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তি
- আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভার সদস্য
- জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার সদস্য
- বাংলাদেশের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী
- শেখ মুজিবুর রহমানের চতুর্থ মন্ত্রিসভার সদস্য
- শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য
- বাংলাদেশের শ্রমমন্ত্রী
- বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী
- বাংলাদেশের বস্ত্রমন্ত্রী
- বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
- বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য
- বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য
- বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী
- বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
- মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য