ইউক্রেন–কাজাখস্তান সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Kazakh-Ukrainian সম্পর্ক
মানচিত্র Kazakhstan এবং Ukraine অবস্থান নির্দেশ করছে

কাজাখস্তান

ইউক্রেন

ইউক্রেন–কাজাখস্তান সম্পর্ক, কাজাখস্তান এবং ইউক্রেন এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯১৮ সালের আগ পর্যন্ত ইউক্রেন এবং কাজাখস্তান উভয় দেশই রুশ সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। ১৯২২ সালে গঠিত হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। তখন দেশ দুটি সোভিয়েত ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দেশ দুটি অখণ্ড সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনেই ছিল। ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়ে যে ১৫ টি পৃথক এবং স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়, ইউক্রেন এবং কাজখস্তান ছিল তাদের অন্যতম। ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পৃথক হলেও দেশ দুটি এর আগেই তাদের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করে।

১৯৯১ সালের ২৪ আগস্ট ইউক্রেনের পার্লামেন্ট একটি সাংবিধানিক প্রস্তাব অনুমোদন এবং গ্রহণ করে। যেই প্রস্তাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইউক্রেনের স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল। অপরদিকে কাজাখস্তান ১৯৯০ সালের ২৫ অক্টোবর, সোভিয়েত ইউনিয়ন এর একটি অংশ হিসেবেই নিজেদের সার্বভৌমত্বের ঘোষণা দেয়। কিন্তু তখনই দেশটি স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় নি। কাজাখস্তান ১৯৯১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়। স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া সর্বশেষ সোভিয়েত দেশ ছিল কাজাখস্তান।

সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়ে, ইউক্রেন এবং কাজাখস্তান গঠিত হওয়ার পরপরই, ১৯৯১ সালেই দেশ দুটির মাঝে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে, কাজাখস্তানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। এছাড়াও, ইউক্রেনের ওদেসাতে একটি অনারারি কনস্যুলেট রয়েছে। অপরদিকে, কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায়, ইউক্রেনের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। এছাড়াও, কাজাখস্তানের আলমাতি অঞ্চলে, ইউক্রেনের একটি কনস্যুলেট জেনারেল রয়েছে।

২০১০ সালে এই দুই দেশের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪.৪ বিলিয়ন (৪৪০ কোটি) মার্কিন ডলার। তবে দুই দেশের কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ, ২০১০ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল।[১]

২০১৩ সালের ১৪ অক্টোবর, কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, এরলান ইদ্রিসোভ এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী লেনয়েড কোঝারা এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে উভয়েই নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রে সমন্বয় বৃদ্ধির উপর জোর দেন। বৈঠক শেষে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঘোষণা দেন, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি, ভিক্টর ইয়াঙ্কোভিচ, কাজাখস্তান সফরে যাবে। [২]

তবে যদিও ২০১৪ সালে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ইয়াঙ্কোভিচকে ইউক্রেনে সংকটের প্রেক্ষিতে সরে যেতে হয়। রাশিয়ার বিরোধিতা সত্ত্বেও, এই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে গঠিত ইউক্রেন সরকারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে। [৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Trade between Ukraine, Kazakhstan doubles in 2011"কিয়েভ পোস্ট। ২৬ মার্চ ২০১২। ২৭ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১২ 
  2. http://www.mfa.gov.kz/en/#!/news/article/12034সংগৃহীত: ১৫ অক্টোবর ২০১৩ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ আগস্ট ২০১৩ তারিখে
  3. ট্রিলিং, ডেভিড (৩০ আগস্ট ২০১৪)। "As Kazakhstan's Leader Asserts Independence, Did Putin Just Say, 'Not So Fast'?"। ইউরেশিয়ানেট। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]