আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
গঠিত১৯৯৮; ২৬ বছর আগে (1998)
প্রতিষ্ঠাতাজমির উদ্দিন নানুপুরী
প্রতিষ্ঠাস্থাননানুপুর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
ধরনদাতব্য সংস্থা
নিবন্ধন নং৩০২৩
আইনি অবস্থাসক্রিয়
যে অঞ্চলে
বাংলাদেশ
সভাপতি
হেলালুদ্দিন বিন জমিরুদ্দিন
ওয়েবসাইটamwfb.org

আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি দাতব্য সংস্থা। আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব জমির উদ্দিন নানুপুরী এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[১][২] প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটি নলকূপ স্থাপন, মসজিদ, মাদ্রাসা-মক্তব, অজুখানা প্রতিষ্ঠা, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণ এবং রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে সেবা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা সহ নানারকম কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।[৩] করোনাকালে চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদানের জন্য এটি আলোচিত হয়েছে।[৪][৫] এটি আল মানাহিল নার্চার হাসপাতাল নামে একটি হাসপাতালও পরিচালনা করে।[৬]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০০৮ সালে এটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে শংসাপত্র লাভ করে। সভাপতি সহ সাত সদস্যের একটি বোর্ড দ্বারা সংগঠনটি পরিচালিত হয়। সংগঠনের বর্তমান সভাপতি হেলালুদ্দিন বিন জমিরুদ্দিন।[৭]

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

নওগাঁয় খাদ্য বিতরণ

সংগঠনটির বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে: অযু, সবার জন্য খাদ্য, নলকূপ, রমজান, কুরবানি, রোহিঙ্গা ও মসজিদ প্রজেক্ট। এসব প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৩ সহস্রাধিক আশ্রয় ঘর, ২ লক্ষাধিক নলকূপ ও ৫০ টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন ১০ লক্ষ মানুষ।[৮] তার মধ্যে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিবিরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ অন্যতম।[৯] করোনা ভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফনের কাজ শুরু করে সংগঠনটি। প্রথমেই এটি চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ৮০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করে।[১০] করোনা মহামারির শুরুর এক বছরে এটি তিন হাজারেরও বেশি মানুষের দাফন কাফন এবং সৎকারের পাশাপাশি একটি হাসপাতাল পরিচালনা করছে।

আল মানাহিল নার্চার হাসপাতাল[সম্পাদনা]

এটি চট্টগ্রামের হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজারে অবস্থিত। একটি দানকৃত জমিতে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই হাসপাতালে প্রায় সাতশ করোনা রোগীর চিকিৎসা ছাড়াও শত শত করোনা রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে।[১১][১২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মুজাম্মেল, রেজা (১ জুন ২০২০)। "করোনায় মৃতদের শেষ ভরসা 'আল মানাহিল ফাউন্ডেশন'"বাংলাদেশ প্রতিদিন 
  2. খসরু, আতাউর রহমান (২৩ জুন ২০২০)। "চট্টগ্রামে করোনাসেবায় আল মানাহিল"দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২১ 
  3. প্রতিবেদন, আজাদী (১০ জুলাই ২০২১)। "অন্য উচ্চতায় আল মানাহিল"দৈনিক আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২১ 
  4. হাসান, তাসনীম (১৯ মে ২০২০)। "করোনায় কারও মৃত্যু-সংবাদ পেলেই ছোটেন তাঁরা"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২০ 
  5. প্রতিবেদক, সমকাল (২৭ জুন ২০২১)। "৮০ হাজার পরিবার পেল খাদ্যসামগ্রী"সমকাল। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  6. কুতুব, আহমেদ (২১ জুন ২০২০)। "চট্টগ্রামে অনন্য উদ্যোগ: তিন ভাইয়ের করোনা হাসপাতাল"সমকাল 
  7. "আমাদের সম্পর্কে"আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  8. "আমাদের সম্পর্কে"আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  9. "বিবিরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নির্মাণকাজের উদ্বোধন"দৈনিক সমকাল। ৩ জানুয়ারি ২০২১। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  10. "চট্টগ্রামে চালু হলো ৮০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার"দৈনিক সমকাল। ৭ জুলাই ২০২০। 
  11. "চট্টগ্রামের নার্চার হাসপাতালে সেবা পাবেন করোনা রোগীরা"দৈনিক প্রথম আলো। ২৭ জুন ২০২০। 
  12. "চিকিৎসা নৈরাজ্যের বিপরীতে গড়ে উঠল বিদ্যানন্দ ও মানাহিল হাসপাতাল"জাগোনিউজ২৪.কম। ১ জুলাই ২০২০।