আর-রাহমান মসজিদ, পিয়ং ইয়াং
আর-রাহমান মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | শিয়া লা-মাযহাব |
নেতৃত্ব | ইরান সরকার |
অবস্থান | |
অবস্থান | ইরান দুতাবাস, পিয়ং ইয়াং, উত্তর কোরিয়া |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | ইরানীয় স্থাপত্যশৈলী |
সম্পূর্ণ হয় | জানুয়ারি ২০১৩[১] |
আর-রাহমান মসজিদ ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শিয়া ইসলাম অনুসারিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি মসজিদ। ইরানীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদটির অবস্থান উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়াং-এর ইরানি দূতাবাসের ভিতরে।[১] এটি উত্তর কোরিয়ার প্রথম এবং একমাত্র মসজিদ হিসেবে বিবেচিত হয়।[২] শিয়া সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হলেও দেশটির একমাত্র মসজিদ হওয়ায় দেশটিতে অবস্থানরত অন্যান্য মুসিলম সম্প্রদায়ও সালাত আদায়ের জন্য মসজিদটি ব্যবহার করে।
সক্রীয়তা
[সম্পাদনা]২০১৩ সালের জানুয়ারিতে চালু হওয়ার পর হতে আর-রাহমান মসজিদে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ছাড়াও সাপ্তাহিক জুম্মা সালাত আদায় করা হয়। সম্প্রদায় ভিন্নতা বাদে পিয়ং ইয়াং-এ অবস্থিত সকল মুসলিম দেশের দূতাবাসের কর্মীরা মসজিদের সকল সালাতে অংশ নেয়।[২]
গুরুত্ব
[সম্পাদনা]উত্তর কোরিয়ার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা না থাকায়[৩] মসজিদটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আর-রাহমান মসজিদ, উত্তর কোরিয়ার ইরানি দূতাবাসের মুসলিম কর্মীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। ইরানে শিয়া ইসলামের প্রভাবের কারণে মসজিদটি ইরানের শিয়া সংস্কৃতির সাথে যুক্ত। তথাপি পিয়ং ইয়াং-এর শিয়া ব্যতীত অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায় যেমন সুন্নী প্রধান অন্যান্য মুসিলম দেশের দূতাবাসে নিযুক্ত লোকরা, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয় দূতাবাসের লোকেরা এই মসজিদে নিয়মিত সালাত আদায় করেন।[২] উত্তর কোরিয়ার অবস্থিত অন্যান্য মুসলিম দেশ যথা- মিশর, লিবিয়া ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক মিশন আছে, তবে এই দূতাবাসগুলি্র অভ্যন্তরে কোন প্রতিষ্ঠিত মসজিদ নেই। এসকল মুসলিম দেশের কর্মীরা জুমার নামাজ আদায়ের জন্য আর-রাহমান মসজিদে আসেন।[৪]
আর্মেনিয়ার পর উত্তর কোরিয়া পৃথিবীর দ্বিতীয় দেশ যেখানে একটির বেশি মসজিদ নেই।[৪] প্রতিবেদন অনুযায়ী আর্মেনিয়ার ইয়েরেভানে অবস্থিত নীল মসজিদটি দেশের একমাত্র সক্রীয় মসজিদ।[৫] আর-রাহমান ও নীল মসজিদ দুইটি ইরানের পৃষ্টপোষকতায় নির্মিত এবং শিয়া সংস্কৃতির সাথে যুক্ত। ফলে আর্মেনিয়া ও উত্তর কোরিয়া বিশ্বের বিরল দুইটি দেশ, যেখানে সুন্নী মসজিদ নেই।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Iran Build's Pyongyang's First Mosque | NK News"। নর্থ কোরিয়া নিউজ। ২০১৩-০১-২২। ২০২০-১২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১১।
- ↑ ক খ গ "The first and the only mosque in North Korea"। মুসলিম প্রেস। ২০২০-০৪-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১১।
- ↑ "North Korea's sidelined human rights crisis"। বিবিসি। ২০১৯-০২-১৮। ২০২০-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১১।
- ↑ ক খ গ "Google Earth and the DPRK: Pyongyang Mosque, Kobangsan, and new hospital"। নর্থ কোরিয়া ইকোনমি ওয়াচ। ২০২১-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১১।
- ↑ আঘাজানিয়ান, লিয়ানা (২০১৬-০৫-১৬)। "An insider's guide to Yerevan: the city where Kanye likes to swim in Swan Lake"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। ২০১৮-০৮-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১১।