আর্মেনিয়া–মেক্সিকো সম্পর্ক
আর্মেনিয়া |
মেক্সিকো |
---|
আর্মেনিয়া–মেক্সিকো সম্পর্ক হল আর্মেনিয়া এবং মেক্সিকো রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটার এক মাস পর, ১৯৯২ সালের ১৪ই জানুয়ারি মেক্সিকো এবং আর্মেনিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।[১] শুরু থেকেই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল না এবং সাধারণত বিবাদ ঘটত জাতিসংঘের বৈশ্বিক বিষয়সমূহকে কেন্দ্র করেই। ২০০২ সালের মার্চ মাসে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রানিক মার্গারিয়ান মন্টেরি ঐক্য সম্মেলনে যোগ দিতে উত্তর মেক্সিকোর মোন্তেররেইতে আসেন। স্বাধীনতার পর থেকে মেক্সিকোতে হওয়া প্রথম সরকারি আর্মেনিয় সরকারি সফর ছিল এটি।[২] ২০০২ সালের আগস্ট মাসে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তন ওসকানিয়ান মেক্সিকোতে আনুষ্ঠানিক সফর করেন। এ সফরে দুই দেশই সংস্কৃতি ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর চুক্তিস্বাক্ষর করেন। সেইসাথে অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসাবিহীন যাতায়াতের সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারেও সম্মত হন।[৩]
২০১২ সালের অক্টোবর মাসে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এডুয়ার্ড নালবান্দ্যন মেক্সিকোতে আনুষ্ঠানিক সফর করেন। তিনি তার সফরে নাগর্নো—কারাবাখ যুদ্ধকালীন ২০১১ সালে খোজালিতে ঘটে যাওয়া খোজালি হত্যাকাণ্ডে মেক্সিকোর স্বীকৃতির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ হত্যাকাণ্ডে প্রায় ১৬১ জন আজেরি মৃত্যুবরণ করেন।[৪] নালিবন্দ্যন আজারবাইজানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হায়দার আলিয়েভকে স্মরণ করে মেক্সিকোর প্রধান পাসেও দেল লা রিফর্মাতে একটি মূর্তি স্থাপন সম্পর্কিত ঘটনা নিয়েও তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মেক্সিকোর মানবাধিকার সংস্থাগুলো এর প্রতিবাদ করায় রাষ্ট্রপতি আলিয়েভের মূর্তি অপসারণ করা হয়।[৫] মেক্সিকোতে তার সফরে নালিবন্দ্যন মেক্সিকোর সিনেটে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে কথা বলেন। সেইসাথে মেক্সিতো আর্মেনিয়ার দূতাবাস স্থাপনের কথাও বলেন।[৬] ২০১৪ সালের শুরুর দিকে আর্মেনিয়া মেক্সিকো সিটিতে একটি দূতাবাস স্থাপন করেন।[৭]
২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে মেক্সিকোর সিনেট 'আর্মেনিয় সাংস্কৃতিক সপ্তাহ' উদ্যাপন করে। অনুষ্ঠানটি আর্মেনিয়ার ইতিহাস এবং দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ২৩ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত হয়।[৮] এখনও পর্যন্ত মেক্সিকো অটোমান সাম্রাজ্যের সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত আর্মেনীয় গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি।[৯]
বাণিজ্য
[সম্পাদনা]২০১৪ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬২৩,০০০ মার্কিন ডলার।[১০] মেক্সিকোতে রপ্তানিকৃত আর্মেনিয়ার প্রধান দ্রব্যসামগ্রি হল কেবল বক্স, ইলেকট্রিক সার্কিট এবং রঞ্জন রশ্মিসম্পর্কিত মেশিনের আনুষঙ্গিক দ্রব্যসামগ্রি। আর্মেনিয়াতে রপ্তানি করা মেক্সিকোর প্রধান দ্রব্য হল তিন-চাকার মোটরসাইকেল, বিয়ার, তাকিলা এবং কফি।[১০]
কূটনৈতিক মিশন
[সম্পাদনা]- মেক্সিকো সিটিতে রয়েছে আর্মেনিয়ার দূতাবাস[১১]
- মেক্সিকো রাশিয়ার মস্কোতে অবস্থির দূতাবাসের মাধ্যমে আর্মেনিয়ায় প্রতিনিধিত্ব করে[১২]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Visita al Senado de la República del Emb. Edward Nalbandian" (পিডিএফ)।
- ↑ "Statement by Prime Minister Andranik Margaryan"।
- ↑ "Bilateral Relations: Mexico"। ২ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Armenia rebukes Mexico over Khojalu stance"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "México y su embrollo caucásico"।
- ↑ "Comisión de Relaciones Exteriores" (পিডিএফ)।
- ↑ "মেক্সিকোতে নতুন আর্মেনীয় রাষ্ট্রদূত"। ৬ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Armenian Cultural Week Opens in Senate"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Armenians and the Azeri lobby in Mexico"। ১১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Mexican Ministry of the Economy: Armenia"। ২৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Embassy of Armenia in Mexico City"। ১৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Embassy of Mexico in Moscow, Russia"।
টেমপ্লেট:আর্মেনিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক টেমপ্লেট:মেক্সিকোর বৈদেশিক সম্পর্ক