আমের আচার

আমের আচার আমের সাথে বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করা হয় । এটি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় খুব জনপ্রিয়। কখনও কখনও এই মশলাদার আচার বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যায়।
আমের আচার তৈরির প্রস্তুতিঃ
যা যা লাগবে :
কাঁচা আম – দেড় কেজি,
সিরকা – আধা কাপ,
রসুন বাটা – দুই চা-চামচ,
হলুদ – দুই চা-চামচ,
চিনি – তিন টেবিল-চামচ (অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী),
লবণ – পরিমাণ মতো।
সরিষার তেল-১ কাপ
মসলা তৈরির জন্য যা যা লাগবে:
,মেথি গুঁড়া – এক চা-চামচ
জিরা গুঁড়া – দুই চা-চামচ,
মৌরি গুঁড়া – এক চা-চামচ,
সরষে বাটা – তিন টেবিল-চামচ,
শুকনো মরিচ গুঁড়া – দুই টেবিল-চামচ,
শুকনো মরিচ – ২ টা
বানানোর প্রণালী
খোসাসহ কাঁচা আম টুকরো করে লবণ দিয়ে মেখে একরাত রেখে দিতে হবে অথবা সকালে আম কেটে সন্ধ্যা পর্যন্ত লবণ দিয়ে মেখে রেখে দিতে পারেন। পরের দিন ধুয়ে , হলুদ, রসুন মাখিয়ে কিছুক্ষণ রোদে রাখুন। এরপর একটি সসপ্যানে আধা কাপ তেল দিয়ে এতে আমগুলো দিয়ে নাড়া-চাড়া করতে থাকুন। গলে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
অন্য একটি সসপ্যানে বাকি তেল দিয়ে চিনিটা গলিয়ে ফেলুন। কম আঁচে চিনি গলে গেলে সব মসলা দিয়ে) আম কষিয়ে নিতে হবে। আম কষানো হয়ে গেলে মৌরি গুঁড়া, মেথি গুঁড়া দিয়ে তিন – চার মিনিট নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
নামানোর পর একটি ট্রেতে ছড়িয়ে রোদে এক থেকে দেড় ঘন্টা রাখতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা করে একটি কাঁচের পাত্রে তুলে একটু সরিষা তেল দিয়ে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন।
আর হ্যাঁ, আচার ভালো রাখতে মাঝে মাঝে রোদে দিতে পারেন।
বৈচিত্র্য[সম্পাদনা]
কাঁচা আমের আচার[সম্পাদনা]
এটি বিশেষ জাতের আমের ব্যবহার করে প্রস্তুত করা হয় যা আচারের সময় দীর্ঘকাল ধরে চকচকে থাকতে পারে। এই জাতের আমের ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে বংশবৃদ্ধি এবং কলমযুক্ত। তবে, বেশিরভাগ কাঁচা আমের জাতগুলি যদি মানের উদ্বেগ না হয় তবে তা মিশ্রিত করা যায়। আমের এক ধরনের জনপ্রিয় আচারকে "অবাকায়া" বলা হয়, এটি "উড়াকায়া" নামেও পরিচিত এবং এটি মশলা এবং গন্ধের জন্য পরিচিত। এটি সাধারণত সরল সাদা ভাত দিয়ে বা পাশের পাশে গরম সসের মতো স্বাদযুক্ত ভাতের আইটেমগুলির সাথে খাওয়া হয় এবং এটি সোচারারেন ভারতে বিশেষত অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যে মূল খাবার।
আচারের আমের চাটনি[সম্পাদনা]
এটি একটি প্রকরণ যেখানে চাটনি-জাতীয় আচার তৈরিতে আম চূর্ণ করে তৈরি করা