আবু ওবায়দা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কনস্টান্টিনোপলের দেয়ালে তোলা আল-কাসাম ব্রিগেডের সরকারী মুখপাত্র আবু উবাইদার একটি ছবি

আবু ওবাইদা বা আবু উবায়দা ( আরবি : أبو عبيدة ) হলো ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ–গোষ্ঠী হামাসের একজন সামরিক নেতার ছদ্মনাম, যিনি শহীদ ইজ্জুদ্দীন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র, যা হামাসের সামরিক শাখা। [১]

ব্যক্তিগত বিবরণ[সম্পাদনা]

আবু ওবাইদার প্রকৃত নাম জানা যায়নি। এছাড়া তার বেশিরভাগ ব্যক্তিগত বিবরণও জানা যায়নি। ভিডিও বার্তায় তাকে কেবল মুখ ঢেকে একটি কেফিয়াহ পরা অবস্থায় দেখা যায়। ২০১৪ সালে ইসরায়েলী মিডিয়া হুজাইফা সামির আবদুল্লাহ আল-কাহলুত নামে আবু ওবাইদার একটি ছবি প্রকাশ করে। তবে ছবি ও নাম বৈধ হওয়ার বিষয়টি আল-কাসসাম ব্রিগেড অস্বীকার করে। [২] এর একজন সিনিয়র নেতা বলেন যে, আবু ওবাইদা মিডিয়ার কাছে উপস্থিত হয় না এবং কখনো হবেও না। শুধুমাত্র অল্প সংখ্যক লোক জানে যে, তিনি আসলে কে।

এই ছদ্মনামটি সম্ভবত আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ নাম থেকে নেওয়া, যিনি নবী মুহাম্মাদ সা. এর সহচর ছিলেন এবং সপ্তম শতাব্দীতে সংঘটিত ইয়ারমুকের যুদ্ধ ও জেরুজালেম অবরোধকালে মুসলিম-বাহিনীর কমান্ডার।

আবু ওবাইদার প্রথম উপস্থিতি ২০০৬ সালে হয়, যখন তিনি ইস্রায়েলি সৈনিক গিলাদ শালিতকে বন্দী করার ঘোষণা দেন। [৩]

বিবৃতি[সম্পাদনা]

২০২০ সালের জুনে ইস্রায়েলি নেতাদের পশ্চিম তীরের বিভিন্ন ফিলিস্তিনি এলাকা আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্রায়েলে সংযুক্ত করার পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায়, আবু ওবাইদা বলেছিলেন যে প্রতিরোধবাহিনী বিশ্বস্তভাবে ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা করবে এবং তিনি তাদের শত্রুদেরকে অনুশোচনায় আঙুল কামড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন এবং তিনি এ ইস্রায়েলি পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। [৪]

২০২১ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সংঘাতের বৃদ্ধির সময় আবু ওবাইদা বলেন যে, তেল আবিব, আশদোদ, ডিমোনা, আশকেলন এবং বের্শেবাতে আঘাত করা পানীয় জলের চেয়ে আমাদের জন্য সহজ [৫] এবং তিনি ঘোষণা করেন, যে প্রতিক্রিয়ার সময় কোন লাল রেখা (সীমান্ত) নেই। [৬] যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পর তিনি বলেন, আল্লাহর সাহায্যে আমরা শত্রু, তার ভঙ্গুর সত্তা ও তার বর্বর সেনাবাহিনীকে অপমান করতে সক্ষম হয়েছি।" [৭]

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ইস্রায়েলি বাহিনী গিলবোয়া কারাগার থেকে পলাতকদের মধ্যে চারজনকে পুনরায় গ্রেপ্তার করলে আবু ওবাইদা ঘোষণা করেছিলেন যে, পলাতকদের মুক্ত না করে ইস্রায়েলের সাথে ভবিষ্যতে কোনো বন্দী বিনিময় হবে না। [৮]

২০২২ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে ইস্রায়েলিদের উপর বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি হামলার পর শীর্ষ হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করার জন্য ইসরায়েলি আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায়, আবু ওবাইদা বলেছিলেন যে "শত্রু এবং তার ব্যর্থ নেতৃত্ব" যদি সিনওয়ারকে আঘাত করে তবে এটি একটি "আঞ্চলিক ভূমিকম্প ও একটি অভূতপূর্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। " [৯]

২০২২ সালের জুনে আবু ওবাইদা ঘোষণা করেন যে, গাজায় একজন ইস্রায়েলি বন্দীর চিকিৎসার অবস্থার অবনতি হয়েছে।[১০] আল কাস্সাম ব্রিগেড পরবর্তীতে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা যায় যে, বন্দী ব্যক্তির নাম হিশাম আল-সাইদ। [১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "What about Hamas? Question snarls peace bid"NBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ অক্টোবর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০২ 
  2. Press, Zamn (২৫ জুলাই ২০১৪)। "القسام: صورة أبو عبيدة المتداولة غير حقيقية"zamnpress.com (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০২ 
  3. من هو أبو عبيدة المتحدث العسكري لكتائب القسام؟। الوطن। ২০২১-০৫-২১। 
  4. "Hamas Says West Bank Annexation Is 'A Declaration of War,' Israel 'Will Regret It'"Haaretz (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৩ 
  5. Episkopos, Mark (২০২১-০৫-১৩)। "Is Israel's Iron Dome Enough to Protect It From Hamas?"The National Interest (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০২ 
  6. https://www.aa.com.tr/en/middle-east/no-red-lines-in-responding-to-israeli-aggression-hamas/2240164&usg=AOvVaw3mLrpeMAqmIx-lTrvg9cF7  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  7. Al-Mughrabi, Nidal; Williams, Dan (২০২১-০৫-১৯)। "Israel and Hamas agree Gaza truce, Biden pledges assistance"Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৪ 
  8. "With rockets and rhetoric, Hamas seeks to leverage Palestinian prisoner escape"Washington Post (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0190-8286। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৩ 
  9. "Egyptian Officials Mediating to Prevent Gaza Rocket Fire at Israel, Report Says"Haaretz (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৩ 
  10. "Isreali prisoner's health is deteriorating: Al-Qassam" [অকার্যকর সংযোগ]
  11. "Hamas video claims to show captive Israeli"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৬-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৩