আতিয়া পাতিয়া
| বহিঃস্থ ভিডিও | |
|---|---|
আতিয়াপাতিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় খেলা। এটি দুই দলের মধ্যে খেলা হয় এবং প্রত্যেক দলে ৯ জন খেলোয়াড় থাকে। খেলাটি ভারতের গ্রামাঞ্চলে বেশি জনপ্রিয়। এটি পশ্চিম ভারতের রাজ্য মহারাষ্ট্রে বেশি খেলা হয়।[১] আতিয়া পাতিয়াকে "কৃত্রিম আক্রমণের খেলা" বলা হয়।[২] খেলার মাঠটি একটি কেন্দ্রীয় পরিখার উভয় পাশ থেকে বেরিয়ে আসা নয়টি পরিখা নিয়ে গঠিত, এক দল পরিখা জুড়ে অগ্রগতি রোধক পার করে পয়েন্ট অর্জন করে, অপর দল এই অগ্রগতি অবরুদ্ধ করে।[৩] এটিকে "যোদ্ধা পশ্চাদ্ধাবন" খেলা হিসাবে অভিহিত করা হয়।[৪] এই খেলাটি তুলনামূলকভাবে ছোট্ট একটি মাঠে খেলা হয় এবং এতে কাবাডি, সাত পাথর, খো খো, ডাংগুলি এবং ল্যাংড়ির মতো ভারতের দেশীয় খেলাগুলির মতো প্রায় কোনও উপকরণের প্রয়োজন হয় না।[২]
খেলাটির জাতীয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হলো "ভারতের আতিয়া পাতিয়া ফেডারেশন"।[৫] ১৯৮২ সালে আতিয়া পাতিয়া ফেডারেশন গঠিত হয়।[৬] ২০১৩ সালে ভারত সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ফেডারেশনকে স্বীকৃত ফেডারেশনের তালিকায় তালিকাবদ্ধ করে। ফেডারেশন সদর দফতর নাগপুরে অবস্থিত। এর সভাপতি হলেন এইচ. বি. হাল্লাদ।[৭]
প্রথম দক্ষিণ এশীয় আতিয়া পাতিয়া চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৩ সালের জুনে ভুটানে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়।[৮]
২০১৩ সালের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
[সম্পাদনা]২০১৩ সালের জাতীয় স্তরের আতিয়া পাতিয়া টুর্নামেন্ট কর্ণাটকের ভটকল এ অনুষ্ঠিত হয়। ২২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এতে অংশগ্রহণ করে, এই প্রতিযোগিতাটি কর্ণাটক আতিয়া পাতিয়া এসোসিয়েশন দাবণগেরে এবং ভটকল আতিয়া পাতিয়া এসোসিয়েশন যৌথভাবে আয়োজন করে।
বিতর্ক
[সম্পাদনা]পুদুচেরি আতিয়া পাতিয়া এসোসিয়েশনের সভাপতি সেলভান পুদুচেরি বিধানসভার সদস্য অনুভবের অভিযোগ খণ্ডন করেন, অনুভব অভিযোগ করেছিলেন যে মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের জন্য প্রাপ্ত কোটার সুবিধা গ্রহণের জন্য আতিয়া পাতিয়া সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। তিনি জানান যে এই খেলাটি তামিলনাড়ু সহ ভারতের ২২ টি রাজ্যে নিবন্ধিত হয়েছে।[৯] ১৯৯৭ সালে ওড়িশা হাইকোর্ট তা নিরীক্ষণ করে; "আবেদনকারীর স্পষ্ট ও নিঃশর্ত বিষয়টি হলো তিনি উড়িষ্যা রাজ্য দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং তিনি ১৯৯৪ সালে ২২ থেকে ২৪ জুলাই নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত স্বীকৃত জাতীয় প্রতিযোগিতা ষষ্ঠ জাতীয় (জ্যেষ্ঠ) আতিয়া পাতিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন ফলে তিনি খেলোয়াড় কোটার আওতায় প্রকৌশল-এ প্রথম বর্ষ ডিপ্লোমাতে ভর্তির অধিকারী।" খেলোয়াড় কোটার আওতায় ভর্তি প্রত্যাখ্যানকারী আবেদনকারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ S.r.tiwari। History of Physical Education। APH Publishing। পৃ. ২০০। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৩১৩-০০৪১-১। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- 1 2 "Games"। Gazette। Government of Maharashtra। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Dale Hoiberg (২০০০)। Students' Britannica India: Select essays। Popular Prakashan। পৃ. ১১০। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৫২২৯-৭৬২-৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Katrin Bromber; Joseph Maguire; Birgit Krawietz (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। Sport Across Asia: Politics, Cultures, and Identities। Routledge। পৃ. ১৩৫। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪১৫-৮৮৪৩৮-৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Matthew Nicholson; Russell Hoye; Barrie Houlihan (১০ সেপ্টেম্বর ২০১০)। Participation in Sport: International Policy Perspectives। Routledge। পৃ. ১৫১। আইএসবিএন ৯৭৮-০-২০৩-৮৭০৪৯-৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Thite, Dinesh (২৭ জুন ২০১২)। "Atya patya is set to make a comeback"। Pune Mirror। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "List of Recognised National Sports Federations (as on 16-07-2013)" (পিডিএফ)। Ministry of Youth Affairs and Sports, Government of India। ১৬ জুলাই ২০১৩। ১৯ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Schoolboy wins South Asian Atya Patya Championship"। The Hindu। ২৩ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Atya Patiya is recognised game: Selvam"। Chennaionline.com। Chennai Interactive Business Services (P) Ltd.। ২ আগস্ট ২০১৩। ২০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Sasmita Palei vs State Of Orissa And Ors. on 30 September, 1997"। www.indiankanoon.org। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।