আগনেজ মো
আগনেজ মো | |
---|---|
![]() ২০০৯ সালে আগনেজ মো | |
জন্ম | আগনেস মনিকা মুলজতো ১ জুলাই ১৯৮৬ |
জাতীয়তা | ইন্দোনেশিয়ান |
পেশা | |
কর্মজীবন | ১৯৯২–বর্তমান |
পিতা-মাতা | রিকি মুলজতো জেনি সিসয়োনো |
আত্মীয় |
|
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
বাদ্যযন্ত্র |
|
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
আগনেস মনিকা মুলজতো (জন্ম: ১ জুলাই ১৯৮৬), তার স্টেজ নাম আগনেজ মো নামে পরিচিত, হচ্ছেন ইন্দোনেশিয়া এর একজন গায়িকা, গীতিকার এবং অভিনেত্রী। তিনি ইন্দোনেশিয়া এর জাকার্তা এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে ধনী সেলিব্রিটি।[১][২] আগনেস মাত্র ছয় বছর বয়সে একটি শিশু গায়িকা হিসাবে বিনোদন শিল্পে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি তিনটি শিশুদের অ্যালবাম রেকর্ড করেছেন এবং বেশ কয়েকটি বাচ্চাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান এর উপস্থাপক হয়েছেন। ২০০৩ সালে, আগনেজ মো তার প্রথম প্রাপ্তবয়স্ক অ্যালবাম "এন্ড দ্য স্টোরি গোস" মুক্তি দেন, যার ফলে তার নাম ইন্দোনেশিয়ার মিউজিক শিল্পে পুনরায় পদার্পণ হয়। আগনেজ মো এর গৃহভূমি সাফল্য তাকে আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দৃশ্য লক্ষ্য করতে উৎসাহিত করেছে। ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবাম দ্বিতীয় অ্যালবাম, "ওয়াডআপ এ ..?!", তিনি একক ""আই'ল লাইট এ ক্যান্ডেল" এর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর গায়ক কিথ মার্টিন এর সহযোগিতা নিয়েছেন। আগনেজ মো তাইওয়ানি নাটক সিরিজ, "দ্য হসপিটাল" এবং "রোম্যান্স ইন দ্য হোয়াইট হাউস" এ অংশ নেন।
আগনেজ মো দক্ষিণ কোরিয়া এর সিউল এ অনুষ্ঠিত এশিয়া গান উৎসব ২০০৮ এবং ২০০৯ সংস্করণ এ এক টানা দুই বছর পুরস্কার পেয়েছেন। তার তৃতীয় অ্যালবাম, "সেক্রেডলি আগনেজিয়াস" (২০০৯) উৎপাদন করেন, তিনি প্রযোজক এবং গীতিকার হিসাবে জড়িত হতে শুরু করেন। ২০১০ সালে, ইন্দোনেশিয়ান আইডলের বিচারক হিসেবে তাকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি চেরি পার্টির সাথে একটি রেকর্ডিং চুক্তি স্বাক্ষর করেন, সনি মিউজিক এন্টারটেইনমেন্ট এর সাথে যুক্ত একটি লেবেল এর সাথেও সংযুক্ত হন। আগনেজ মো এর দুই আন্তর্জাতিক একক মুক্তি পায়, "কোক বোতল" (টিম্বাল্যান্ড এবং টি.আই.কে সমন্বিত করে) এবং "বয় ম্যাগনেট"। ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে আগনেজ মো তার প্রথম আন্তর্জাতিক অ্যালবাম প্রকাশ করে, যার নাম "এক্স"।[৩]
বাণিজ্যিক সাফল্যের পাশাপাশি, আগনেজ মো হল ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বেশি পুরস্কার পাওয়া একজন গায়িকা। তিনি ১৭ টি অ্যুঞ্জারার সঙ্গীত ইন্দোনেশিয়া, ৮ টি প্যানাসনিক অ্যাওয়ার্ডস, ৫ টি নিকেলডিয়ান ইন্দোনেশিয়া কিডস্ চয়েস অ্যাওয়ার্ডস এবং ৪ টি এমটিভি ইন্দোনেশিয়া পুরস্কারসহ কয়েকটি ট্রফি পেয়েছেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া এ ২০১২ সালের এমনেট এশীয় মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে শ্রেষ্ঠ এশিয়ান শিল্পী পুরস্কার লাভ করেন। তিনি এশিয়ায় একটি অ্যান্টি ড্রাগ অ্যাডাপ্টার এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এমটিভি এক্সিলের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Top 10 Richest Celebrities of Indonesia 2017"। TopRichest.com (Online)। TopRichest.com। ২০১৬। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৭।
- ↑ "How much is Agnes Monica Worth? in Richest Celebrities › Singers"। Celebrity Net Worth (online)। Celebrity Net Worth। ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Agnez Mo releases first international album"। The Jakarta Post। ১০ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৭।
উদ্ধৃতি সূত্র[সম্পাদনা]
- Cordova, Cozy (২০০৭)। Jangan Mau Jadi Cewek Biasa: Muda, Kaya, Ternama! Bagaimana Bisa?। Kawan Pustaka। আইএসবিএন 978-979-757-215-0।
- Karsito, Eddie (২০০৮)। Menjadi Bintang: Kiat Sukses Jadi Artis Panggung, Film, dan Televisi। Ufuk Publishing House। আইএসবিএন 9786028224338।
- Putranto, Wendi (২০০৯)। Rolling Stone Muc Biz: Manual Cerdas Menguasai Bisnis Musik। PT Mizan Publika। আইএসবিএন 978-979-24-3867-3।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
