অশোকা গুপ্ত (বিপ্লবী)
অশোকা গুপ্ত | |
---|---|
জন্ম | গুপ্তিপাড়া হুগলি ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ) | ৮ নভেম্বর ১৯১২
মৃত্যু | ৮ জুলাই ২০০৮ | (বয়স ৯৫)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | সমাজসেবিকা |
দাম্পত্য সঙ্গী | শৈবালকুমার গুপ্ত |
পিতা-মাতা | কিরণচন্দ্র সেন জ্যোতির্ময়ী দেবী |
অশোকা গুপ্ত (৮ নভেম্বর ১৯১২ - ৮ জুলাই ২০০৮) একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজকর্মী ছিলেন।[১][২] তিনি ছিলেন মহিলা সেবা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা, অল ইন্ডিয়া উইমেন্স কনফারেন্সের সদস্য এবং ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর স্পনসরশিপ অ্যান্ড অ্যাডপশনের সভাপতি।[৩]নোয়াখালী গণহত্যার সময় তিনি উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযানে অংশ নেন।
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]গুপ্ত ছিলেন কিরণচন্দ্র সেন এবং জ্যোতির্ময়ী দেবীর ছয় সন্তানের চতুর্থ সন্তান এবং দ্বিতীয় মেয়ে। তার পিতা ছয় বছর বয়সে মারা যান, এবং তিনি তার মা দ্বারা লালিতাপালিতা হন, যিনি তাকে অন্য পাঁচ ভাইবোন সহ দেখাশুনা করতে সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি কলকাতায় সেন্ট মার্গারেট স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন। তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন। তিনি গণিত নিয়ে সম্মানিক স্তরে বেথুন কলেজ থেকে স্নাতক হন। ২০ বছর বয়সে তিনি আই.সি.এস. অফিসার শৈবাল গুপ্তকে বিয়ে করেন।[১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৩৬ সালে গুপ্ত ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া উইমেন্স কনফারেন্সের সদস্য হন। তিনি এআইডব্লিউসি এবং বিভিন্ন কল্যাণমূলক সংস্থাগুলির শাখা স্থাপনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষের সময় তিনি বাঁকুড়ায় ত্রাণ কাজে অংশ নেন। ১৯৪৫ সালে, তিনি স্বামীর স্থানান্তরিত জায়গা চট্টগ্রামে চলে যান।[১] ১৯৪৬ সালে নোয়াখালী গণহত্যার সময় নোয়াখালীতে উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযানের জন্য তিনি এআইডাব্লিউসি চট্টগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে ত্রাণ কর্মীদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেন। ভারত-বিভাজনের পর, তিনি তার স্বামী সঙ্গে কলকাতা চলে যান।
ভারত-বিভাজনের পর, তিনি শরণার্থী পুনর্বাসন, শিশু সাক্ষরতা এবং গ্রামীণ নারী ও উপজাতিদের উত্থানে নিজেকে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। ১৯৫২ সালে বিধানচন্দ্র রায় ও দুর্গাবাঈ দেশমুখের পরামর্শে গুপ্ত কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বোর্ডের সদস্য হন। ১৯৬৪ সালে, তিনি মন এবং দণ্ডকারণ্যে অন্যান্য শিবিরগুলিতে বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ কাজের অংশ নেন।
তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত রাজ্য কমিশনার (গাইডস্) এবং ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ভারত স্কাউটস এবং গাইডসের রাজ্য প্রধান কমিশনার ছিলেন।
তিনি ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের ফেলো ছিলেন। তিনি ১৯৫৬ সাল থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পল্লী সংগঠন বিভাগের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদের সদস্য হন এবং ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]২০০৭ সালে, গুপ্তকে নারী ও শিশুদের জন্য তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মানসূচক ডি.লিট. দেওয়া হয়েছিল। ২০০৭ সালে তিনি যমনালাল বাজাজ পুরস্কার লাভ করেন।[৪]
প্রকাশনা
[সম্পাদনা]- নোয়াখালীর দুর্যোগের দিনে
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "Gandhian Ashoka Gupta dead"। Indian Express। ৯ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪২, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ Sood, Saroj। "From the Desk of Founder Secretary Mrs. Saroj Sood"। Indian Society for Sponsorship and Adoption। ২ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ "Jamnanal Bajaj Award"। Jamnanal Bajaj Foundation। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ভারতীয় মহিলা সমাজকর্মী
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় রাজনীতিবিদ
- পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- ১৯১২-এ জন্ম
- ২০০৮-এ মৃত্যু
- পশ্চিমবঙ্গের সমাজকর্মী
- বাঙালি হিন্দু
- পশ্চিমবঙ্গের নারী শিক্ষাবিদ
- ২০শ শতাব্দীর বাঙালি
- বেথুন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কলকাতার ব্যক্তি
- পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নারী
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় নারী রাজনীতিবিদ
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় লেখিকা
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় লেখক
- ভারতীয় সক্রিয়কর্মী
- ভারতীয় নারী সক্রিয়কর্মী
- ভারতীয় নারী অধিকারকর্মী
- ভারতীয় নারীবাদী
- ভারতীয় সমাজকর্মী
- পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদ